দূর্গা পুজো ২০২৪ ( পর্ব ১২ )

in hive-129948 •  2 months ago 
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

আজকে আপনাদের সাথে দূর্গা পুজোর কিছু আলোকচিত্র শেয়ার করে নেবো। এই পর্বে অন্য্ একটি প্যান্ডেলের আলোকচিত্র তুলে ধরবো। তবে এই প্যান্ডেলে যাওয়ার আগে আরো একটি প্যান্ডেলের বা মন্ডপের আলোকচিত্র তুলে ধরবো, কারণ এটি রাস্তায় যেতে যেতে অর্থাৎ অন্য্ আরেকটা দেখতে যাওয়ার সময় এটি চোখের সামনে বাধে। তবে এটি কোন প্যান্ডেলের তা সঠিক জানিনা, কিন্তু প্যান্ডেলের সম্মুখে গোলমাঠ বলে লেখা ছিল, হয়তো এটাই ক্লাব এর নাম হবে। তবে যাইহোক, এই পুজোটা বহু পুরোনো, প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরে হচ্ছে। আসলে এটা বুঝলাম তার স্থাপিত দেখে। প্যান্ডেলটি রাস্তার পাশে ছোট করে করলেও দেখতে অনেক সুন্দর করেছে। ফ্রন্ট এর দিকে ডিজাইনটিও বেশ আলোকসজ্জার মাধ্যমে সাজিয়ে তুলেছে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

ভিতরে যাবো না ভেবেছিলাম,তবে ভাবলাম দেখছি যখন, ভিতরটাও দেখে আসি। এখানে মায়ের মূর্তিটা অনেক সুন্দর করেছে বলতে গেলে, দারুন ফুটিয়ে তুলেছে শিল্পকলার মাধ্যমে। মুখমণ্ডলটা এমনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে, যেন সত্যিকারের মতো লাগছে। প্রত্যেকটা মূর্তির মুখমন্ডল দারুন করেছে। যাইহোক, এটাই ছিল এই ক্লাব এর পুজোর সামান্য কিছু বিষয়। এখন মেইন যে পুজো মন্ডপে যাচ্ছিলাম, সেটা হলো "বকুলবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব"। এই পুজোটাও বহু পুরানো বলা যায়, ৯৭ বছর ধরে চলছে এই পুজোটা। অনেক ঐতিহ্য রয়েছে এইসব দুর্গোৎসবগুলোর। এই বছর তাদের ভাবনা ছিল একদম ভিন্ন রকম, তবে একটু অদ্ভুত বিষয়ের উপরে।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

কারণ তাদের থিম ছিল "মাশান"। তবে এই মাশান কথাটির মূল ভাবার্থ এসেছে বলতে গেলে স্মশান থেকে। আসলে এই মাশান কিন্তু মূলত একজন দেবতার নাম। মূলত এই দেবতার পুজো করা হতো স্মশানে। এই বিষয়টির মূল অর্থ খুঁজতে গেলে দাঁড়ায় যে, এখানে স্মশান বলতে একটা ভয়ের কাজ কিন্তু করে সবার মাঝে, আর এই ভয় থেকে বাঁচার জন্য সেই শক্তির আরাধনায় ব্রতী হয়ে তাঁকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করে। এইরকম আরো নানা কারণ আছে, যার জন্য এই মাশান নামের দেবতাকে পুজো করা হতো স্মশানে বলে জানা যায় । এখানে সবকিছুর ডিজাইন অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে ভিতরে, থিমের সাথে মূল ভাবার্থ মিল রেখে বিষয়গুলো সাজানো ছিল।

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

Photo by @winkles

এখানে একটা জায়গায় মানুষের মতো দেখতে কাঠপুতলি মতো তৈরি করে কিছুটা মাকড়শার জালের মতো দেখতে ডিজাইনে আটকিয়ে রেখেছে। এছাড়া উপরের দিকে দেখলে বুঝতে পারবেন অসংখ্য খোপ খোপ করা, যেখানে প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছে। এইরকম মাটির তৈরি আরো বিভিন্ন ধরণের পাত্র দিয়ে বিষয়টিকে সাজানো হয়েছে। এখানে আরো একটি ডিজাইন ছিল অর্থাৎ এখানে গাছের মতো কিছুটা দেখতে, মানে একদম পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে নিয়ে গিয়েছে। দেখতেও অদ্ভুত লাগলেও একটা আলাদা আকর্ষণীয় বিষয় ছিল এই কারুকার্যটিতে। এছাড়াও মায়ের মূর্তিটিকেও ভিন্ন ভাবে তৈরি করেছে এখানে অর্থাৎ এটা থিমের সাথে মিল রেখে মূল বিষয়টিকে তুলে ধরা আর কি। সবমিলিয়ে এই বকুলবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব এর পুজোটা অনেক ভালো লেগেছিলো, থিমের সাথে সবকিছুর একটা আলাদা আকর্ষণ ছিল।


শুভেচ্ছান্তে, @winkles

ক্যামেরাস্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশনকলকাতা
তারিখ৭ অক্টোবর ২০২৪


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দুর্গাপুজা শেষ হয়ে গেলেও তার স্মৃতি এখনো আমাদের ফোনের গ্যালারিতে রইয়ে গেছে।তেমনি আপনার এই দূর্গা পুজোর ফটোগ্রাফিগুলি দেখে ভালো লাগলো।আসলে প্রথম মায়ের মূর্তিটি এককথায় দুর্দান্ত তবে মহিষাসুর ও সিংহটি একটু ছোট টাইপের মনে হয়েছে আমার কাছে।তাছাড়া দ্বিতীয় প্যান্ডেলের থিম "মাশান" ,এটা বেশ ইউনিক লাগলো।ধন্যবাদ দাদা।

দাদা আপনি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে দুর্গাপুজোর আরেকটা সুন্দর প্যান্ডেলের আলোকচিত্র আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমার কাছে পুজো প্যান্ডেলের আলোকচিত্রগুলো দেখতে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। অনেক সুন্দর থিমের উপরে পূজা প্যান্ডেলটা সাজানো হয়েছে। দ্বিতীয় প্যান্ডেলের থিম আসলে একেবারে ইউনিক ছিল। সব মিলিয়ে ভালো লাগলো দাদা দুর্গাপূজার ১২ তম পর্ব টা পড়তে।

দুটো পূজা প্যান্ডেলের ডেকোরেশন ছিল দুই রকম, বেশ নান্দনিক ও দুর্দান্ত। দারুণ উপভোগ করলাম ছবিগুলো দাদা। বেশি ভালো লেগেছে মাশান থিমের ছবিগুলো।

বকুলবাগান সার্বজনীন দুর্গোৎসব এর পূজা প্যান্ডেলটা যেমন সুন্দর, তেমনি উপরের পূজা মন্ডপটিও খুব সুন্দর। দারুণভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছেন দাদা। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

দাদা আপনি অনেক সুন্দর করে দুর্গাপূজার ১২ তম পর্ব আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আমার কাছে দূর্গা পূজার এই পর্ব টা খুব ভালো লেগেছে। প্রতিটা প্যান্ডেলের মতো এই প্যান্ডেলটাও অনেক বেশি সুন্দর ছিল। এই প্যান্ডেলের সৌন্দর্য আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করেছে। কারণ পুরোটা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। আর আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন। সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দাদা। আর মুহূর্তটাও শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৬০-৭০ বছর মানে বেশ অনেক আগে থেকেই এরা পূজা টা করে আসছে। আর প‍্যান্ডেলের থিমগুলো সবসময় একটু ভিন্ন কিছু প্রকাশ করে থাকে। বেশ সুন্দর লাগল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ভাই। ধন্যবাদ পূর্জর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।