ম্যাচ সেরা ওয়াশিংটন সুন্দর

আজকে আপনাদের সাথে খেলাধুলা বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে নেবো। ইন্ডিয়া জিম্বাবুয়ের মধ্যে ৫ সিরিজের মধ্যে গতকাল তৃতীয় টি২০ সিরিজ খেলা হয়েছে। খেলাটা এমন সময়ে ফেলেছে, ঠিকমতো দেখার সময় হয় না, ছাড়তে ছাড়তে খেলা খানিকটা হয়ে যায়। আমি এই ম্যাচে প্রথমে কয়েক ওভার দেখতে পাইনি অর্থাৎ যাইস্বল এর খেলাটা, ভালোই খেলেছে ছেলেটা পরে দেখলাম। এই ম্যাচ মনে হয় সবগুলোই হারারে ফেলেছে, এই পিচটা যদিও সেম প্যাটার্নের না। এমনিতেও কোনো পিচ এর অবস্থা একরকম থাকে না, খেলার শেষে চেঞ্জ করে ফেলে ঠিক করতে গিয়ে। তবে গতকাল মোটামুটি ড্ৰাই ছিল, খুব একটা খারাপ ছিল না। ইন্ডিয়া এই ম্যাচেও টস জিতে যায় আর আগেরবারের মতোই আগে ব্যাটিং এর সিদ্ধান্ত নেয়, যদিও এর সুফল পাচ্ছে তারা প্রথম ম্যাচের পরে। তবে এই ম্যাচে স্যামসন-কে নিয়ে এসেছে দেখলাম।

এই ছেলেটাও বেশ ভালো ফর্মে আছে, আর মোটামুটি থাকেও ভালো। আইপিএল যখন দেখেছিলাম, তখন রাজস্থানের হয়ে ভালো দায়িত্ব পালন করেছিল, বিশেষ করে অধিনায়ক এর পদ এবং ব্যাটিং এর ক্ষেত্রেও। এরা বর্তমানে ইয়ং বয়েসে ভালো পারফর্ম করছে হিসেবে করে দেখলে, একদিন ইন্ডিয়া টিমের হয়ে বড়ো কিছু করবে এই গ্রূপটা আশা করা যায়। গতকাল মাঠে নেমেই যাইস্বল বেশ ভালোই শুরু করেছিল আর সাথে গিল। অনেকদিন পরে গতকাল গিল এর একটা ভালো ফর্মে খেলা দেখলাম। যাইস্বল বেশিক্ষন না থাকলেও কম বলে বড়ো একটা ভূমিকা রেখে গিয়েছিলো পাওয়ারপ্লে ওভারে। তবে এখানে ভেবেছিলাম গতকাল অভিষেকও ভালো একটা ভূমিকা রাখবে, তাহলে ভালো একটা রান হবে গতদিনের মতো। কিন্তু সেটা আর হলো না, তুলে মারতে গিয়েই ক্যাচটা তুলে ফেলে।

তবে গিল মোটামুটি ভালো খেলে দিয়েছে প্রায় লাস্ট পর্যন্ত আর সাথে পার্টনারশীপ হিসেবে রুতুরাজ ভালো করে গিয়েছিলো। তবে ওর একটা আফসোস রয়ে গেলো যে, মাত্র ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি করতে পারেনি। তবে এখানে ওরও কোনো ভুল শর্ট ছিল না, মাঝে মাঝে সুইপ শর্ট খেলতে গেলে এই অবস্থাটা হয়ে যায়। আর যাইহোক, রান খারাপ করেনি একেবারে, লাস্ট ২-৩ ওভারে ১৮২ রানের মতো ভালো একটা পজিশনে নিয়ে গিয়েছিলো। জিম্বাবুয়ের এক্ষেত্রে বলতে গেলে প্রথম থেকেই যেন একদম ভেঙ্গে পড়ে সবকিছু। প্রথম ৩ ওভারেই ৩ টা উইকেট চলে যায়, এক্ষেত্রে রান আর কি করে হবে, তবে তাদের ময়েরস নামের এক ব্যাটসম্যান একটু ভালো পজিশন ধরে রাখার চেষ্টা করে এবং এক্ষেত্রে তাকে একটু হলে সাপোর্ট হিসেবে সাহায্য করে সিকান্দার। বেশ খানিক্ষন খেলতে লাগলে ওয়াশিংটন এর বলে আউট হয়ে যায়।

তবে ওয়াশিংটন ভালো বোলিং করেছে হিসেবে, কম রানও দিয়েছে আবার উইকেটও নিয়েছে। স্পিনার হিসেবে একজন উইকেট ট্যাকারও বলা যায় তাকে। জিম্বাবুয়ের অবস্থা যা ছিল, তাতে ১৫০ রান হওয়ার কথা না, ১০০ রানেই খেলা শেষ হওয়ার কথা। কারণ এই পর্যায়ে আর রান চেজ করার মতো তেমন কেউ ছিল না, তবে লাস্ট মুহূর্তে তাদের মাদন্ডে নামের একজন খারাপ খেলে যায়নি টুকিটাকির মধ্যে। আমাদের বিষ্ণই আবার ভালো গতির একটা ক্যাচ ধরেছিলো, বলটা অনেক গতির ছিল, গতির বল সোজাসুজি ধরা অনেক কঠিন, কারণ হাতে যখন তখন ইনজুরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ম্যাচে মেইনলি রান চেপেছে ওয়াশিংটন আর খলিল। তবে যেহেতু ভালো বল করার সাথে সাথে ভালো উইকেট পেয়েছে ওয়াশিংটন, তাই তাকেই সেরাটা দিয়েছে এই ম্যাচে।