একজন ফলের শরবত বিক্রেতা

in hive-131369 •  last year 

আজ মঙ্গলবার,
তারিখঃ ২৯-আগষ্ট-২০২৩

আসসালামুআলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। "স্টিম ফর ট্রেডিশন" কমিউনিটির সকল সদস্যদের জানাই মন থেকে ভালোবাসা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আজকে "স্টিম ফর ট্রেডিশন" কমিউনিটি সদস্যদের মাঝে এলাম নতুন এক ব্যবসায়ীর আলোচনা নিয়ে, যিনি "একজন ফলের শরবত বিক্রেতা"।আশা করি সকলের ভালো লাগবে।চলেন তাহলে কথা আর না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

IMG-20230829-WA0007.jpg

ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি ফলের শরবত বিক্রেতা,এ দোকানটি রংপুর খামার মোড়ে অবস্থিত।আমি যখনই যাই ফলের শরবত খেয়ে আসি।সেদিনও খেয়েছি কিন্তু আমার অন্য একটি কাজ থাকার জন্য ছবি নেয়া হয়নি।খাওয়ার আগে এ কয়টি ছবি তুলেছি।এ দোকানটিতে প্রায় সব ধরনের ফলের শরবত পাওয়া যায়। যেমনঃ-আনারস,আপেল,ড্রাগন,পেঁপে,বেল,আম,মালটা ইত্যাদি।যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।এ ফলের মূল্য ৩০-৪০ টাকা।বিভিন্ন প্রকার ফলের বিভিন্ন গুনাগুন এবং ভিটামিন রয়েছে।গরম মানেই মানুষের ভিতর অস্বস্তি শুরু।এমন প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচার জন্য আমরা ইলেকট্রনিক জিনিস ব্যবহার করি,যার বাতাসে নিজের শরীরকে ঠান্ডা রাখতে চাই,তাই ফ্যান,এসি,এয়্যার কুলার ব্যবহার করি।কিন্তু শরীরের ভিতর থেকে যে গরম অনুভব হয়,সে গরম নিবারনের জন্য শরবতের কোনো বিকল্প নেই।এ জন্য বিক্রেতা তার দোকানের টাইটেল দিয়েছে " মন যারে চায় শরবত"।

IMG-20230829-WA0006.jpg

দোকানটিতে সব সময় ভির লেগে থাকে,আমাকে ছবি তুলতে দেখে অনেকে সাইডে দাড়িয়েছে।এ দোকানটিতে বিভিন্ন ধরনের মিল্ক শেক পাওয়া যায় যেমনঃ- মিল্ক শেক,ওরিও শেক,কিটকাট শেক,চকলেট শেক,ভ্যানিলা শেক,স্ট্রবেরি শেক,ম্যাংগো শেক।এ শেক গুলোর মূল্য ৪০ টাকা।
প্রত্যেক শেক এর গুনাগুন আলাদা।তার মধ্যে দুইটি শেকের উপকারীতার কথা আমি তুলে ধরতে চাই।
মিল্ক শেকের উপকারীতাঃ- মিল্ক শেকে ভিটামিন 'বি' কমপ্লেক্স রয়েছে।এ জন্য শরীরকে সতেজ রাখে। ভিটামিন 'বি' কমপ্লেক্স থাকার কারনে শরীরের স্নায়ু গুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয়।এ ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।মিল্ক শেক নিয়মিত খেলে শরীরের ক্ষয়রোধ হয়।খনিজ লবণের উপস্থিতি থাকার কারণে দাঁত,নখ,চুল মজবুত করার জন্য আমের খনিজ লবণের কাজ করে।

IMG-20230829-WA0001.jpg

চকলেট শেকের উপকারীতাঃ- চকলেট শেক খেতে খুবই মজাদার হয়।চকলেট শেক তৈরিতে চকলেট বেশি ব্যবহার করা হয়।আমরা সকলই জানি চকলেট আমাদের চেহরার সৌন্দর্য ধরে রাখে।শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়।স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে সহায়তা করে।চকলেটের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম থাকে তাই শরীরকে সতেজ করতে সাহায্য করে সাথে মনকে খুশি রাখে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
এছাড়া এ দোকানটিতে অন্যান্য পানীয় খাবারের মধ্যে রয়েছে লেমন মিন্ড,লাচ্চি,বোরহানি পাওয়া যায়,যার মূল্য ৪০ টাকা।

IMG-20230829-WA0002.jpg

IMG-20230829-WA0000.jpg

প্রতিটির মূল্য তালিকা দেয়ালে দেয়া আছে।ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন মিশ্রণকারী মেশিনে ফলকে শরবত বানানোর জন্য দেয়া হয়েছে।এ বিক্রেতার শরবত নিয়মিত বিক্রি হয়।ওনার ব্যবহার যেমন আন্তরিক তেমনটাই ওনার বানানো শরবত অনেক মজাদার।দোকানটি অনেক সুন্দর করে সাজানো।সেই সাথে সব সময় পরিষ্কার রাখেন সব কিছু।যে কোনো ব্যবসা করতে হলে লাগে ধৈর্য্য,আন্তরিকতা এবং পরিশ্রম তবেই ব্যবসায়ে সফলতা আসবে।যা আমি এ ফলের শরবত বিক্রেতার মাঝে দেখেছি।

IMG-20230829-WA0004.jpg

লিখায় কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন।আবারও আগামীতে হাজির হবো অন্য কোনো কিছু নিয়ে।ততোদিন সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন আশা করি।

সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ফলের জুসের দোকান নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু। গরমের সময় এসব দোকানের জুস বেশি চলে। শহরের প্রত্যেকটি মোড়ে এরকম দোকান গড়ে উঠেছে। শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য শরবত অবশ্যই প্রয়োজন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।

আমাদের কুষ্টিয়া শহরে এরকম বেশ কয়েকটি ফলের জুসের দোকান রয়েছে। ওই দোকানগুলোতে প্রতি গ্লাস জুসের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা করে নেয়। এসব ফলের দোকানের জুস অনেক মজাদার হয়। একদম পিওর ভেজাল মুক্ত স্বাস্থ্যসম্মত জুস। জুসের দোকান সম্পর্কে খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

  ·  last year (edited)

আপনি ঠিক বলেছেন শরীরের ভিতর থেকে গরম নিবরনের জন্য শরবত দরকার। শরীর ঠান্ডা রাখার জন্যেই রাস্তার পাশে এবং বিভিন্ন স্থানে শরবতের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। ফল খেলে বয়স বাড়ে না এটা নতুন জানতে পারলাম। আপনার পোস্টে নতুন তত্ত্ব পেয়েছি আপু। আমার মনে হয় শরবতটি বেশ মজার ছিলো। ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।

ধন্যবাদ

গ্রাম অঞ্চলে তেমন ফলের জুসের দোকান দেখা যায় না।তবে আমাদের এলাকায়ও একটি জুসের দোকান আছে। তবে দোকানটি নতুন। আপনি এই দোকান থেকে প্রায়ই জুস খান। গরমে ফলের জুস আরাম মেনে দেয়। প্রচণ্ড গরমে একটু স্বস্তি মেলে। তাছাড়া এগুলোতে খুবই ভিটামিন রয়েছে। প্রতিদিন ফল খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আপনি খাবার গুলোর উপকারী গুণ সম্পর্কেও ব্যাখ্যা করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

শহর অঞ্চলে এরকম ফলের জুসের দোকান অধিক পরিমাণে দেখা যায়। তবে দুঃখজনক বিষয় হলো গ্রাম অঞ্চলে এরকম ফলের জুসের দোকান একটাও দেখা যায় না। আমি শহরে গেলেই এরকম ফলের দোকান থেকে জুস কিনে খাই। টাটকা ফলের জুস খাওয়ার মজাই আলাদা। ফলের শরবত বিক্রেতা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে

ধন্যবাদ ভাইয়া।

টাটকা ফলের শরবত মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। এরকম শরবতের দোকান গুলো শহরে বেশি দেখা যায়। গ্রাম অঞ্চলে এসব শরবতের দোকান নাই বললেই চলে। এক গ্লাস ফলের শরবত শরীর ঠান্ডা করে তুলে। ফলের শরবত নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছে। পোস্টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাহ !চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। রংপুরের খামার মোড়ে অবস্থিত এই ফলের শরবত এর দোকানটি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। খনিজ লবন আমাদের শরীরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহণ করে। মিল্কশেক নিয়ে অনেক সুন্দর একটি বিস্তারিত আলোচনা আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

"মন যারে চায় শরবত "- ফল বিক্রেতার ভদ্রলোকটি এরকম একটি নাম দিয়ে ফলের দোকান খুলেছেন যা নিঃসন্দেহে অনেক ইউনিক । এই দোকানে বেশ ভ্যারাইটির জুস পাওয়া যায়। এই দোকানটির সবচেয়ে ইতিবাচক দিকটি হল এর মূল্য তালিকা। যেকোনো দোকানে যদি তার পন্যের মূল্য তালিকা দেওয়া থাকে তবে সেটি ক্রেতাদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু।

ফলের শরবত বিক্রেতা নিয়ে সুন্দর পোস্ট করেছেন। প্রচন্ড এই গরমের ফলের শরবত শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ফলের শরবত খেলে শরীর ঠান্ডা ও সতেজ থাকে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমি মেসে থাকাকালীন সময়ে সপ্তাহে দুই এক দিন এই মামার কাছে ফলের শরবত খেতাম। কি মামা অনেক প্রকারের ফল মিক্স করে শরবত বানিয়ে দেন। খামার মোড়ে মাত্র একটি ফলের দোকান রয়েছে তাই সেখানে প্রচুর পরিমাণ ভিড় দেখা যায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।