হাজার বছরের ঐতিহ্য ওয়ালমেট

আসসালামুআলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমি @afsanaety,আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।"স্টিম ফর ট্রেডিশন" কমিউনিটির সকল সদস্যদের জানাই মন থেকে ভালোবাসা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।
আজকে "স্টিম ফর ট্রেডিশন" সদস্যদের জন্য নিয়ে এলাম নতুন এক আলোচনা নিয়ে,
"হাজার বছরের ঐতিহ্য ওয়ালমেট" আশা করি সকলের ভালো লাগবে।চলেন তাহলে কথা আর না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।

বাংলাদেশে কিংবা অন্য দেশের প্রায় প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে ওয়ালমেট দেখা যায়।এমন আমাদের দেশে এমন বাসা-বাড়ি পাওয়া যাবে না, যাদের ঘরে ওয়ালমেট নেই।ঘরের সাজসজ্জার জন্য সবার পছন্দের তালিকায় বসবাস করছে যুগ যুগ ধরে ওয়ালমেট।যুগের সাথে সাথে নতুন করে রুপ নিচ্ছে ওয়ালমেট।বিভিন্ন নকশার ওয়ালমেট বের হচ্ছে।আগের যুগের মানুষ নিজের হাতে তৈরি করতো ওয়ালমেট।ডালা বা কুলা তে উলের সুতা দিয়ে নিজেই মন মতো নকশা বা নাম দিয়ে সেলাই করতেন।আমাদের বাসায়ও আছে এমন ওয়ালমেট।এছাড়াও চিকন সুতা দিয়ে,চুমকি দিয়ে,ধান দিয়ে,কটনবার্ড দিয়ে,কাগজ দিয়ে এছাড়াও নাম না জানা অনেক জিনিস দিয়ে নিজেরা ওয়ালমেট বানাতেন।এ ধরনের ওয়ালমেট এখনো দেখা যায় কিন্তু আধুনিকতার সাথে সাথে মানুষ কিনা জিনিসের মায়ায় জড়িয়ে পরছে।অনেকে নিজের হাতে,রং দিয়ে অংকন করে ওয়ালমেট বানাতে পছন্দ করে।কত ধরনের ওয়ালমেট এ পৃথিবীতে আছে যার হিসাব হয়তো গুনে শেষ করা যাবেনা।

আমাদের বাসায় অনেক ধরনের ওয়ালমেট আছে।তার মধ্যে কিছু ওয়ালমেট আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন গ্রামের দৃশ্য,ডিজিটাল প্রিন্ট করা ওয়ালমেট।মাঝে দৃশ্যটি তার উপরে কাঁচ দেয়া আর চার পাশে কাঠের তৈরি ফ্রেম।পিছনে হুক বা সুতা থাকে দেয়ালে আটকানোর জন্য।এ ধরনের ওয়ালমেট গুলোকে একই পদ্ধতিতে দেয়ালে আটকানো হয়।তার নিচে যে ওয়ালমেট দেখতে পাচ্ছেন ডিজিটাল প্রিন্ট করা তবে এ ওয়ালমেটের ফ্রেম বোর্ডের তৈরি।এটি আকারে অনেক বড়।ওয়ালমেট গুলো ছবিতে যতোটা সুন্দর বাস্তবে আরো অনেক সুন্দর যা দেয়ালের সৌন্দর্য কে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।যেহেতু আমাদের বাসার দেয়ালের রং অনেক ধরনের,তাই অনেক সুন্দর লাগে দেখতে।

ছবিতে যে ওয়ালমেট দেখতে পাচ্ছেন সেটি বাঁশ ও কাঠের তৈরি।নিখুঁত ভাবে তৈরি করা এ ওয়ালমেট সত্যি অনেক সুন্দর বাস্তবে দেখতে।কারিগর নিখুঁত ভাবে তৈরি করেছে এমন ভাবে যে তাকিয়ে থাকলেও মন ভরেনা।সাথে রং করেছে সুন্দর করে।বাঁশের তৈরি নকশাতে ছোট একটি দৃশ্য,দুইজন কৃষক সবুজ ঘাসের উপর দিয়ে,গাছের নিচে দিয়ে মাথায় করে ধানের খড় নিয়ে যাচ্ছে যা বাংলাদেশের গ্রামের দৃশ্য।বাংলাদেশের প্রকৃতিকে ছোট আকারে ধারণ করেছে।যা সম্পুর্ণ কাঠের তৈরি।বাঁশ এবং কাঠ মিলে কতো সুন্দর একটি ওয়ালমেটের আকার দিয়েছে।
তার নিচে যে ওয়ালমেট দেখতে পাচ্ছেন তা সম্পুর্ণ কাঠের তৈরি।যেখানে আরবি লিখা আছে।আরবিতে লিখা অনেক ওয়ালমেট প্রত্যেক মুসলমানদের বাসায় আছে।যা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে।

আরো দুইটি যে ওয়ালমেট দেখতে পাচ্ছেন তা থ্রিডি ওয়ালমেট যা সামনে দেখলে মনে হয় বাস্তব কোনো চিত্র।তাই লাইটের আলোতে উজ্জ্বল হয়ে যায় আর চকচক করে।এ ওয়ালমেট গুলো বাস্তবে এতো সুন্দর লাগে যে কিভাবে ভাষায় প্রকাশ করবো তা আমার জানা নেই।

এ ধরনের ওয়ালমেট নতুন বের হয়েছে যে গুলো প্রিন্ট করা বিভিন্ন ফুলের ছবি।এ ওয়ালমেট গুলো বাস্তবে দেখলে মনে হয় ফুটন্ত ফুল যার দিকে তাকালে চোখ সরানো যায়না।এ ওয়ালমেট গুলোর পিছনে এক প্রকার আঠা লাগানো থাকে যা দেয়ালে আটকানোর কাজে সাহায্য করে।যতই টানাটানি করা হোক কিছুতেই খুলে পরবেনা বা উঠে আসবেনা।উঠানোর একটি পদ্ধতি আছে।সাবধানে না উঠালে দেয়ালের রং সহ উঠে আসবে।
এ ওয়ালমেট গুলো এখন অনলাইনেও অনেক প্রচার বিস্তার করেছে।আমিও অনলাইন থেকেই কিনেছি।বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটা করেনি এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে।যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত নানান ধরনের এবং নানান নকশার ওয়ালমেট আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা।তারপরও আমি যতটুকু পেরেছি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

লিখায় কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন।আবারও আগামীতে হাজির হবো অন্য কোনো কিছু নিয়ে।ততোদিন সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন আশা করি।