আসসালামুআলাইকুম,
আমি @afsanaety,
আশা করি সবাই আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।"স্টিম ফর ট্রেডিশন" কমিউনিটির সকল সদস্যদের এবং সকল মডরেটরদের জানাই অন্তরের গভির থেকে ভালোবাসা ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।আজকে নতুন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো আর তা হলো "ঐতিহ্যবাহী টাকা পয়সা সঞ্চয় করার মাটির তৈরি ব্যাংক" নিয়ে।তবে চলুন কথা আর না বাড়িয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
হাজার বছর ধরে চলে আসছে এ মাটির তৈরি ব্যাংক।নব্বই দশকের সকল ছেলে মেয়েরাই এ মাটির ব্যাংক কিনেছে বলে আমি মনে করি।নব্বই দশকের ছেলে মেয়েদের শৈশব অন্য ভাবে কেটেছে যা এ যুগের ছেলে মেয়েরা চোখ দিয়েও দেখেনি।মাটির জিনিস দিয়ে খেলা করা বা কিনে কিনে জমিয়ে রাখা ছিল আমাদের শখ।
হাজার বছর ধরে চলে আসছে টাকা পয়সা সঞ্চয় করার মাটির ব্যাংক।আগের মানুষরা সবাই মাটির ব্যাংক কিনে বাসায় রাখতেন যারা টাকা পয়সা জমাতে চেতো তাদের জন্য মাটির ব্যাংক এক মাত্র উপায় ছিল।ছোটরা বা বড়রা সবাই এ ব্যাংকে টাকা জমাতো।দিন দিন মাটির ব্যাংক বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
আমারও মাটির ব্যাংক অনেক গুলো ছিল ছোট বেলায়।যেই আমাকে উপহার দিতো টাকা,আমি সাথে সাথেই ব্যাংকে ধুকে রাখতাম।আর মাঝে মাঝে ঝাঁকিয়ে দেখতাম সম্পুর্ণ ভর্তি হয়েছে নাকি।ভরে গেলে সেটা ভেঙে ফেলতাম।আবার আব্বুকে বলতাম নতুন একটি ব্যাংক আনতে।
ছবিতে যে ব্যাংক গুলো দেখতে পাচ্ছেন আপনারা সে গুলো অনেক আগের নকশা।যত দিন যাচ্ছে নতুন নকশা বের হচ্ছে ব্যাংকের।কুমাররা অনেক পরিশ্রম করে এ ব্যাংক বানিয়ে থাকে।তাদের পরিশ্রম অনুযায়ী যে দামে মাটির ব্যাংক বিক্রি করে তারা সেটা অনেক কম।মাটির ব্যাংক গুলোর দাম বেশি না।
শহরে বা গ্রামে সব জায়গায় মাটির ব্যাংক পাওয়া যায়।শহরের অলিতে গলিতে এবং বাজারে বা যে কোনো মেলায় মাটির ব্যাংক গুলো দেখতে পাওয়া যায়।গ্রামের বাজারে এবং হাটে মাটির ব্যাংক গুলো পাওয়া যায়।এ যুগের মানুষের মাটির ব্যাংকের প্রতি এতো চাহিদা নেই বললেই চলে।যারা কিনে শখের বশে কিনে থাকেন।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন বিভিন্ন নকশার মাটির ব্যাংক।যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।যত দিন যাচ্ছে বিভিন্ন নকশার বিভিন্ন রংয়ের মাটির ব্যাংক বের করছেন কুমাররা।মাটির ব্যাংক গুলো দেখতে অনেক সুন্দর হয়ে থাকে।এখনকার মানুষ অনেকেই টাকা পয়সা না জমিয়ে ঘরের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য ঘরে সাজিয়ে রাখে সোপিসের মতো।
যে হারে মাটির তৈরি ব্যাংকের চাহিদা কমে যাচ্ছে, আমার মনে হয় এর পরের প্রজন্ম মাটির ব্যাংক কি জিনিস তা জানতেই পারবে না।বিক্রেতারা যখন দেখবে চাহিদা কমে বিক্রি কম হচ্ছে তখন তারাও এ ব্যবসা বন্ধ করে দিবে।সকল ব্যবসায়ীরা চায় তাদের ব্যবসায় দিন দিন উন্নতি হোক।আর যদি সে ব্যবসায়ে ক্ষতি হয়,বেচা কেনা না সে ব্যবসা টিকে রাখা অনেক কষ্ট সাধ্য হয়ে যায়।মাটির তৈরি ব্যাংক এখন সে পথেই আগাচ্ছে।
লিখায় কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।পোস্টটি পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন এবং আপনার মতামত জানাবেন। সকলেই আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন আশা করি।
সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাটির ব্যাংক নিয়ে দারুন উপস্থাপন করেছেন, ছোটবেলায় আমিও মাটি ব্যাংকে টাকা জমাতাম। গ্রামীণ মেলাতে এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজার সময় মাটির ব্যাংকপাওয়া যেতো। সেখান থেকে বাসায় গিয়ে নিয়ে আসতাম। আবার টাকার দরকার হলে ব্যাংক ভেঙ্গে টাকা বের করতাম। সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন, ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/afsana_ety/status/1700869599380820145?t=-N7hUgBVXt3HAtGLkDnw5A&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসাধারণ একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো এখনো অনেকের অভ্যাস হিসেবে রয়ে গেছে। আমাদের বাড়িতেও আমার ভাই এখনো মাটির ব্যাংকে টাকা জমায়। শুধু ৯০ দশকের ছেলে মেয়েরাই নয় আমরাও এই মাটির ব্যাংকে টাকা জমিয়েছি আপু। আপনার ফটোগ্রাফিতে দেখানো মাটির ব্যাংকগুলো চমৎকার। অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। মাটির ব্যাংক নিয়ে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির তৈরি ব্যাংকগুলো নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। শুধুমাত্র ৯০ দশকে না একবিংশ শতাব্দীতে এসেও অনেকেই এই মাটির ব্যাংকে টাকা ফেলে। ছোটবেলায় আমিও মাটির ব্যাংক কিনেছিলাম। আর সেগুলোতে পয়সা ফেলতাম। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই মনের মধ্যে ঘুরপাক খেত যে কত টাকা হয়েছে। তাই কয়েকদিন যেতে না যেতেই ব্যাংক ভেঙে টাকা বের করতাম। মাঝেমধ্যে মাথার চিকন ক্লিপ গুলো দিয়ে টেনে টেনে টাকা বের করতাম। আপনি ঠিকই বলেছেন যে এখন মাটির ব্যাংকের নকশার পরিবর্তন ঘটেছে। আপনি দারুন কিছু ছবি উপহার দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পকেটে টাকা না থাকলেও আমি অনেকবার এই মাটির ব্যাংক কিনেছি। মাটির ব্যাংক কেনা এক প্রকার নেশা ছিলো আমার। কিন্তু বর্তমানে ছেলে মেয়েরা এই ব্যাংক চিনতেই পারবে না। এই ব্যাংক গুলো সবথেকে বেশি গ্রামীন মেলায় এবং ঈদগাঁ মাঠে বিক্রি কর।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির তৈরি ব্যাংকগুলো দেখে মনে হইতেছে। এগুলো কাঠ দিয়ে তৈরি। কারঙ কাঠের মতো রং করা। আর এই সব ব্যাংক যখন আমরা ছোট্ট ছিলাম তখন ঈদ বা বিষয় ধরনের মাহফিলের জন্য টাকা জমাইতাম। আর আপনি সেই পুরনো জিনিসটা নিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির তৈরি ব্যাংকগুলো আগে থেকে বাজারে বেশ পরিমানে দেখা যেত এখন আর তেমন দেখা যায় না। আমি আগে এমন অনেক গুলো ব্যাংক কিনে পয়সা দিয়ে ভর্তি করে ফেলতাম।এরপর যখন মন চাইতো ভেঙ্গে ফেলতাম। আমি কতবার যে এগুলো কিনে ভেঙে ফেলেছি আমার সঠিক মনে নাই। আপনার ছবিতে নতুন রকমের কিছু মাটির ব্যাংক দেখা যাচ্ছে। আগে এমন ডিজাইন করা পাওয়া যেত না। আপনি ছবিগুলো বেশ চমৎকার তুলেছেন। কিছু কিছু ছবিতে মনে হচ্ছে এগুলো কাঠের তৈরি করা। কাঠের মত রং করে এগুলো তৈরি করা হয়েছে। এখন আর ছোট বাচ্চা রা এমন কিছু সহজে বুঝে না ওরা সবসময় মোবাইল নিয়ে বেশি সময় কাটায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির তৈরি ব্যাংক গুলো বর্তমান সময়ে বিলুপ্ত প্রায়। আগেকার সময়ে দেখা যেত এই মাটির তৈরি ব্যাংক নেয়ার জন্য বায়না করতাম। আর ব্যাংক নেয়ার পর টাকা জমা করে কিছুদিন পরে ভেঙে সেই জমানো টাকা দিয়ে কোন কিছু করতাম। মাটির তৈরি ব্যাংক নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির তৈরি এ ব্যাংকগুলোতে শৈশবে প্রচুর টাকা জমাতাম। বাড়ি থেকে যে টাকা পয়সা দিত সেগুলো না খেয়ে টাকা জমাতাম। বলতে গেলে এক ধরনের নেশা ছিল এই টাকা জমানো। ছয় থেকে সাত মাস পর সেগুলো ভেঙ্গে যখন অনেকগুলো টাকা পেতাম তখন কতই যে ভালো লাগতো তা বলার বাইরে। মাটির তইলে ব্যাংকগুলো বর্তমানে খুব কমই দেখা যায় আধুনিক প্রযুক্তির বা প্লাস্টিকের কিছু ব্যাংক রয়েছে এখন সেগুলোতে মানুষ টাকা সঞ্চয় করে রাখে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোষা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যুগ যুগ ধরে এসব মাটির ব্যাংক আমাদের দেশে চলে আসতেছে টাকা সংগ্রহ করার জন্য। মাটি দিয়ে এসব মাটির ব্যাংক তৈরি করা হয় এবং সেগুলোতে বিভিন্ন রকম নকশা তৈরি করা হয়।তবে আপনি ঠিক বলেছেন মাটির ব্যাংকের ব্যবহার আর তেমন দেখা যায় না।দিন দিন এটি হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাছ থেকে। মানুষ এখন আর মাটির ব্যাংক ব্যবহার করতে চায় না।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে দারুন একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির তৈরি ব্যাংক নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। প্রথমে ছবি দেখে আমি মনে করেছি এগুলো কাঠের তৈরি ব্যাংক। পরে আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম যে এগুলো নকশা করা মাটির ব্যাংক। আমিও ছোটবেলায় মাটির ব্যাংকে টাকা জমাতাম। তবে কিছুদিন পরেই সেটা ভেঙে ফেলতাম। আম্মু বকা দিবে এই ভেবে একপাশে একটা টেপ লাগিয়ে দিয়ে যেই পাশে ভালো ওইপাশটা বাইরের দিকে মুখ করে রেখে দিতাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টাকা সঞ্চয় করা মাটির তৈরি ব্যাংক সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। দেখে বুঝা যাইতেছে না যেসব মাটির তৈরি ব্যাংক। মনে হইতেছে কাঠের তৈরি টাকা সঞ্চয় করা ব্যাংক। এরকম ব্যাংক গুলোতে ছোট বেলায় অনেক টাকা জমা করেছিলাম। আপনার পোস্টে পড়ে সেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মনে পড়ে গেল আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
৯০ দশকের ৯০% কিশোররাই মাটির ব্যাংকে টাকা জমা করেছিল। আমি নিজেও কয়েকবার মাটির ব্যাংকে টাকা জমা করেছিলাম। প্রতি ঈদে একটা করে মাটির ব্যাংক কিনতাম। আপনার ফটোগ্রাফিতে যেগুলো মাটির ব্যাংক দেখতে পারতেছি। মাটির ব্যাংক গুলো দেখতে অসম্ভব সুন্দর। আমাদের সময় এরকম নকশা করা মাটির গাং ছিল না। মাটির ব্যাংক সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit