ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার মাটির চুলা

in hive-131369 •  2 years ago  (edited)

.

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা,

আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন
কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মাটির চুলা নিয়ে আলোচনা করবো।আশা করি সকলকেই অনেক ভালো লাগবে। ইনশাআল্লাহ।

IMG_20230305_162607.jpg

গ্রাম বাংলা ঐতিহ্যর মধ্যে অন্যতম ঐতিহ্য হচ্ছে মাটির চুলা। এক সময় এই মাটির চুলা ধনী,গরিব সবার বাড়িতে ছিলো। আগের মানুষের রান্না করার একমাত্র অবলম্বন ছিল মাটির চুলা। এখন হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলা ঐতিহ্য মাটির চুলা। হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলার রান্না এবং রান্নার স্বাদ। হারিয়ে যাচ্ছে দাদি, নানিদের হাতের বানানো মাটির চুলা।

IMG_20230305_162507.jpg

মাটির চুলা সাধারণত মাটিকে গর্ত করে বানানো হয়। গর্তে করার পরে চারদিকে কাঁদো লাগিয়ে দেয়া হয়। তারপরে তিনটা উঁচু মাথা বাহির করি দেয়। তবে এক মুখো চুলায় তিনটি মাথা। আর দু,মুখো চুলায় ছয়টি মাথা।এগুলোর উপর হাঁড়ি, পাতিল,কড়াই বসিয়ে রান্না করা হয়। তবে জ্বালানির জন্যে একটা করে মুখ থাকে। জ্বালানির জন্য ব্যবহার করা হয় কাঠ,গাছের ডাল,শুকনো পাতারি এগুলা জ্বালিয়ে রান্না করা হতো। যতবেশি পুরনো চুলা ততবেশি তার ভিতরে পুড়ে লাল হয়ে যায়।পুরাতন চুলার আগুনের তাব খুব দ্রুত ছড়ায়। জ্বালানি গুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আর ছাই দিয়ে আগের মানুষ থালা বাটি পরিষ্কার করত।ছাই মাছ পরিষ্কার করতে কাজে লাগত।প্রাচীন যুগের মানুষ ছাই দিয়ে দাঁত মাঝত।

IMG_20230306_082646.jpg

তবে এক মুখো চুলা খুব একটা কম ব্যবহার হয়। যখন খুব দরকার তখন জ্বালোনো হয়। যেমন শিতের সকালে চা বানানোর জন্য এই এক মুখো চুলা ব্যবহার হয়। সাধারণত হালকা খাবার রান্না করার জন্য পানি গরম করার জন্য, দুধ গরম করার জন্য এই এক মুখো চুলা ব্যবহার হয়।

IMG_20230306_082627.jpg

তবে দুমুখো চুলা বেশি ব্যবহার হয়।দুইপাশে দুইটা পাতিল দিয়ে রান্না করা হয়। দুমুখো চুলা বিশেষ করে ধান সিদ্ধ করতে ব্যবহার হতো। তবে একমুখো,দুমুখো চুলা ছাড়াও আরো অনেক চুলা আছে। যেমন বাল্টি চুলা,ড্রাম চুলা, বন্ধু চুলা ইত্যাদি। কিন্তু দুমুখো চুলা কম বেশি সবার বাড়িতে দেখা যায়।

IMG_20230305_162507.jpg

কালের প্রবাহে হারাতে হচ্ছে মাটির চুলা। বর্তমানে আধুনিক যুগে রান্না কাজে ব্যবহার হচ্ছে গ্যাসের চুলা।আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের মুখের রুচি পাল্টে যাচ্ছে। এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা। দেশ উন্নত হচ্ছে দেশের মানুষ ও উন্নত হচ্ছে। দিন দিন গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা। তবে আশা করা যায় কয়েক বছর পরে এই মাটির চুলা কথা বইতে দেয়া হয়েছে। আলোচনা এখানে শেষ। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আগে আমাদের গ্রামের বাড়িতে মাটির চুলা ছিল রান্নার প্রধান ধাপ। প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার কারণে বর্তমানে আমরা এসব ঐতিহ্য হারিয়ে পেলতে যাচ্ছি।এর বাস্তব উদাহরণ মাটির চুলার রান্না। মাটির চুলায় রান্না যেমন সুস্বাদু তেমনি লোভনীয়। অনেক স্বাধ হয় মাটির চুলার রান্নায়। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় প্রতি বাসায় রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয় আধুনিক প্রযুক্তি। আপনি সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা।

ধন্যবাদ ভাই

CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

মাটির চুলা হল গ্রামীন এক অন্যরকম ঐতিহ্য। সেই প্রাচীনকাল থেকে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষজন এই মাটির চুলা ব্যবহার করে রান্না করার জন্য। মাটির চুলায় রান্নার গুনাগুন অনেক ভালো হয়।খুব সুন্দরভাবে পোস্টটি উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাই

মাটির চুলায় তৈরি রান্না খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। লাকড়ি দিয়ে রান্না করা খাবার এর মজাই আলাদা। আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট করছেন। এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিলুপ্ত প্রায়, তবে গ্রামে এখনো বিরাজমান। অনেক ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর পোস্ট করার জন্য

ধন্যবাদ

প্রযুক্তির উন্নতির কারণে বর্তমানে আমরা এসব ঐতিহ্য ভুলে যাচ্ছি।আর এর অন্যতম একটি উদাহরণ এই মাটির চুলা।আগে গ্রামের বাড়ি গুলোতে মাটির চুলা ছিল রান্নার প্রধান মাধ্যম। কিন্তু এখন প্রতিটি বাড়িতেই রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু

আধুনিক যুগে মানুষ এখন আর মাটির চুলায় রান্না করে না।সবাই গ্যাস এর চুলা এবং ইলেকট্রিক চুলায় রান্না করে। তবে এসব চুলায় রান্না করা খাবারের স্বাদ বেশ ভালো লাগে না। মাটির চুলায় রান্না করলে বেশ চমৎকার লাগে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই।

গ্রামীন মানুষের পরিচিতি মূলত এই উনুন বা চুলা।কিন্তু এখন আর দেখা যায় না অনেকের বাসায় এখিন কারেন্টের চুলা। তাই আর আগের মত রান্নার স্বাদ পাওয়াও যায় না।। প্রযুক্তির ভিড়ে আজ বিলুপ্তি প্রায় দারপ্রান্তে এই চুলা। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন।

ধন্যবাদ

সাধারণত গ্রামে গাঁয়ে মাটির চুলা দেখা যায়। কিন্তু এখন গ্রামে গাঁয়েও মাটির চুলা তেমন নেই। সময়ের সাথে সাথে মানুষ ও পরিবর্তন হয়েছে। এখন সবার ঘড়ে ঘড়ে আছে মেজিক চুলা,গ্যস এর চুলা, কারেন্ট এর চুলা আর ও কত কি। কিন্তু তবুও গ্রামে এখন ও মাটির চুলা আছে। আপনার পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাই

ধন্যবাদ ভাই

মাটির চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই, গ্রাম বাংলায় বেশির ভাগ মানুষের বাসায় মাটির চুলা আছে,তবে এখন দিন দিন এই মাটির চুলা হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের কাজ থেকে, এখন সবার ঘরে ঘরে ম্যাজিক বা গ্যাসের চুলা আছে, আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য

ধন্যবাদ ভাই

মাটির চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।গ্রামের মানুষ দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রান্নার কাজে ব্যবহার করে থাকে। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে কমবেশি মাটির চুলা আছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ

মাটির চুল আমাদের গ্রাম বাংলার অনেক পুরনোই ঐতিহ্য। বর্তমানে এর ব্যবহার অনেক কমে গিয়েছে। শহর এবং গ্রাম অঞ্চলের প্রায় সব জায়গায় এখন গ‍্যাস এবং ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করে। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল