গ্রাম বাংলার রাতের আলো কুপি

in hive-131369 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম?

আজ মঙ্গলবার ৭ মার্চ ২০২৩

প্রিয় ষ্টীমবাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের একটি ঐতিহ্যবাহী এক সময়ের পরম বন্ধু আধাঁর রাতের আলো কুপি নিয়ে বলবো। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। চলেন শুরু করা যাক।


Picsart_23-03-05_21-50-51-069.png


কভার ফটো
ঐতিহ্যবাহী কুপি

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারাতে বসেছে বহুকাল এর ব্যবহার করা কুপি। যখন চারপাশে অন্ধকার ছিলো, বিদ্যুৎ এর কোনো অস্তিত্ব ছিলো না তখন ভরসা ছিলো মানুষের এই একমাত্র কুপি। আমাদের টাংগাইলের আঞ্চলিক ভাষায় এই কুপিকে দোয়াত বলা হয়। তবে এই কুপি ছাড়া কখনো মানুষের রাত এর অন্ধকার দূর হতো না।


IMG_20230304_160508_528.jpg


এখন চারপাশে শুধু আলোর সমারোহ, বিদ্যুৎ এর উপর মানুষের শতভাগ নির্ভরশীল। তবে নব্বইয়ের দশকে বিদ্যুৎ ছিলো না। তখনকার ছেলে মেয়েরা এই দোয়াত দিয়েই বা কুপির আলো জ্বালিয়ে পড়াশোনা করতো। কুপি গ্রামের ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে এই কুপির ব্যবহার চলে আসতাছে , এখন বিদ্যুৎ এর বাতির আলোয় এসব বিলুপ্ত প্রায়।


IMG_20230304_160505_572.jpg

IMG_20230304_160453_449.jpg


গ্রামের রাতের অন্ধকার দূর হতো এসব দোয়াত বা কুপির আলেও, তবে আস্তে আস্তে এসব আর দেখাই যাবে না, সব জায়গায় আধুনিক সবকিছু। মানুষ এখন কতো উন্নত জীবন কাটাচ্ছে, আগে এসব দোয়াত বা কুপিতে তৈল দ্বারা চালানো হতো, একটা টিনের কৌটার ভিত পাটএর সুতা বা কাপড়ের সুতা ব্যবহার করা হতো। এই কাপড়ের সুতার এক মুখ ভিতরে থাকতো আরেকমূখ বাহিরে থাকতো। বাহিরের মূখে আগুন দেওয়া হতো এবং ভিতর থেকে আগুন আস্তে আস্তে তৈল টানতো এভাবেই চলতো এই ঐতিহ্যবাহী কুপি বা দোয়াত।


IMG_20230304_161542_317.jpg

IMG_20230304_161556_269.jpg


ম্যাচ বা গ্যাস লাইট দ্বারা আগুন জ্বালিয়ে এসব দোয়াত বা কুপিতে আগুন জ্বালানো হয়। গরিবের পরম বন্ধু ছিলো এক সময়ের সেরা আলোদান করা এই কুপি। মানুষ অনেক আধুনিক হয়েছে বদলে গেছে সবকিছু তবে অতীত কখনো ভূলা যায় না, এই দোয়াত এর আলো দিয়ে পড়াশোনা করছি আমি, আমার সাথে এর গভীর সম্পর্ক, সৌর বিদ্যুতের সংযোগ দিয়েও মানুষ বিদ্যুৎ এর ঘাটতি পূরণ করতো তবে যারা দরিদ্র ছিলো তারা কখনো বদলাতে পারতো না এই কুপি বা দোয়াত এর আলো।


IMG_20230304_160445_786.jpg


হয়তো এ যুগের পোলাপান চিনবেই না এই দোয়াত এর আলো। বা দোয়াত কেমন ছিলো এগুলো। কিন্তুু যারা নব্বই দশকে জন্ম তারা অবশ্যই মিস করবে। এখনো আমাদের বাড়িতে এ দোয়াত আছে। মা রেখে দিয়েছে পরম যত্নে কারণ মাঝে মাঝে কারেন্ট চলে গেলে এখনো এই কুপি জ্বালানো হয়। তখন অন্য রকম একটা ফিল আসে। কে কে এই কুপির আলোয় পড়াশোনা করছেন? এবং কার কার বাড়িতে আছে সবাই কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
লোকেশন :সৈয়দপুর
ডিভাইস :TECNO 16 CAMON PRO
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্রামগঞ্জে আলোর একমাত্র উৎস ছিল এই কপি। তবে বিদ্যুৎ আসার কারণে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এই কুপি। এখন তেমন নেই বললেই চলে ছোটবেলায় কুপির আলোতে অনেক খেলেছি পড়ালেখা করেছি এখনো সেই শৈশবের কথা মনে পড়ে আমার। খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাই

কুপি একটি পুরাতন জিনিস। এটি আগে প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে বিদ্যুৎ আসার ফলে কুপি আর ব্যবহার করা হয় না। দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। ধন্যবাদ

অনেক ধন্যবাদ ভাই

ক্ষমতা সবসময়ই একজনের সারা জীবন থাকে না। তবে এক সময় কুপি রাজার মত দিন পার করেছে। মানুষ তার অনেক যত্ন নিত তাকে ভালো ভাবে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখতো। আমাদের বাড়িতে আগে বারান্দায় একটি কুপি এবং দুই ঘরে দুটি হারিকেন জ্বালা থাকতো। আর সেগুলো প্রতিদিন পরিষ্কার করার দায়িত্ব ছিল। আমি প্রতিদিন তেল দিতাম। একদিন চাচা বাসায় ছিলনা। তাই একটি হারিকেন লাগবে না। আমি একটি হেরিকেন আর একটি কুপি জ্বালাইছি। রাতে শোয়ার পর হেরিকেনের ফিতা শেষ হয়ে গেছে তাই বারান্দায় থাকা কুপও নিয়ে এসে ঘরে দিয়েছি। আর বিশ্বাস করবেন না সকালপ ঘুম থেকে উঠে সবাই আমাকে দেখে আর হাসে। আমি কিছুই বুঝতে পারিনি। পরে আয়নার সামনে গিয়ে দেখি আমার মুখে কুপির কালি দিয়ে ভুত ভুত লাগছে। কালের বিবর্তনে আজ কুপি দেখতে পাওয়া যায় না। আধুনিক প্রযুক্তি আজ মানুষকে অনেক আধুনিক বানিয়েছে।

অনেক ধন্যবাদ ভাই

কুপি এক সময় গ্রামগঞ্জের মাধ্যম ছিল। এই কুপি দিয়ে রান্না ঘরে রান্না করত। আর হারিকেন বাতী ও কুপি ছিল বিধায় কেরসিন তেল ব্যবহার। এখন কেরসিন তেল পাওয়া যায় না। বিদ্যুৎ এখন প্রতিটি গ্রামে পৌঁছায় হারিকেন বা কুপিবাতি বিলুপ্ত প্রায়। তবে এই কুপিকে আমরা গ্রাম্য ভাষায় নেমপো বলতাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।

ধন্যবাদ ভাই

আগের মানুষে রাতের অন্ধকার কুপি জ্বালাতো। আগে তো সবার বাসায় কুপি ছিলো। এখন বিদ্যুৎ এর কারনে কুপির প্রচলন উঠে গেছে। আমি কুুপি জ্বালানি পড়াশোনা করছি। আপনি সুন্দর করে কুপির উপস্থাপনা করছেন।আপনাকে ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাই

CategoryYes ✅ / No ❌
Club StatusClub5050 ✅
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

কুপি আমাদের গ্রাম বাংলার বিশেষ ঐতিহ্য। কুপি আগে প্রচুর পরিমানে দেখা যেত।কারেন্ট যখন ছিল না কুপি একমাত্র আলোর উপকরণ ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ দাদা

আগের দিনে রাতের বেলায় আলোর মাধ্যম ছিল কুপি। কিন্তু এখন আর এই কুপির ব্যবহার দেখা যায় না।কুপি নিয়ে আপনি অসাধারণ একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।

ধন্যবাদ আপু

আগের সন্ধ্যা বেলার আলো মানেই কুপি নাহলে হারিকেন।গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই কুপি ব্যবহার করা হতো।কিন্তু বর্তমানে এই কুপির ব্যাবহার নেই। প্রয়োজনীয় এই জিনিসটি পড়ে আছে কোনো এক আবর্জনার সাথে।আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।

ধন্যবাদ আপু

গ্রাম অঞ্চলে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত লাইট হলো এই কুপি বা ল্যাম্প ভাইয়া। আমাদের এলাকায় এটি কুপি নামে পরিচিতো। গ্রামীন মানুষের অনেক সৃতিচারণ আছে এই কুপির সাথে। আধুনিক প্রযুক্তির ভিড়ে আর তেমন এই কুপি দেখতে পাই না। কারন এখন সবাই কারেন্ট ও সৌরবিদ্যুত ব্যবহার করে থাকে।

ধন্যবাদ ভাই

গ্রামের ঐতিয্যবাহি ও ঐতিহাসিক লাইট হলো কুপি। আগে গ্রামে কারেন্ট ছিল না, এজন্য আলোর দেখা যেতো না অনেক ঘড়ে। কুপি জ্বালানোর জন্য কেরোসিন তেল লাগতো যার দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। গ্রামের লোকের সামর্থ্য ছিল না তেল কেনার। এজন্য অনেক ঘড়ে আলো জ্বলতো না। এখন সবার ঘড়ে ঘড়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,যার কারণে সবার ঘড়ে ঘড়ে আছে আলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য। আপনার পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলো।

অনেক ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর কমেন্ট করার জন্য

কুপি নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, গ্রাম অঞ্চলের এক মাত্র মাধ্যম ছিল কুপি,আগের দিনে মানুষ সবাই কুপি ব্যবহার করতো, আগে সবার বাসায় বাসায় কুপি ছিল, এখন এই কুপি আর চোখে পরে না,আপনার পোস্ট পরে খুব ভালো লাগলো, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য

সুন্দর কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

কুপি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।প্রাচীন কালের মানুষ কুপি জালিয়ে রাতের বেলা কাজ করত এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়া আসা করত। এখন গ্রামে বিদ্যুৎ আসায় কুপি তেমন একটা দেখা যায় না। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

যখন গ্রামে ইলেক্ট্রিসিটি ছিলনা তখন এর ব্যবহার এবং গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি।এখন প্রয় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। ছোটবেলা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন এটা বেশি চোখে পড়তো। ভালো লিখেছেন ভাই শুভকামনা রইল

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই