ঐতিহাসিক গোলাহাট কবরস্থান

আসসালামু আলাইকুম? প্রিয় ষ্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রত্যেক প্রানীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তাই আজ আমি আপনাদের ঐতিহাসিক গোলাহাট কবরস্থান সম্পর্কে বলবো।

---

---

গোলাহাট কবরস্থান ১৮৩৭ সালে স্হাপন করা হয়, মুসলমানদের মৃত্যুর পরে কবরস্থানে দাফন করা হয়।আল্লাহ তালা মাটি থেকে মানুষকে সৃষ্টি করছে, এবং মাটিতেই যেতে হবে। আল্লাহ মানুষ কে মৃত্যুর পর মাটিতেই কবর দিতে বলেছেন। আল্লাহ অন্য পশু পাখির মতো মানুষকে ফেলে দেওয়ার অনুমতি দেন নাই। কবরস্থান হলো মানুষের আসল বাড়ী।

সৈয়দপুর রেললাইন এর পাশেই এই আসল বাড়ী অবস্থিত। এখানেই মুসলমানদের দুনিয়ায় শেষ হয়ে আসল বাড়ী তে জীবনের সমাপ্তি ঘটে। করব হলো মানুষের সমাপ্তি স্থল। মানুষকে যেখানে সেখানে মৃত্যুর পর ফেলে রাখলে পোকামাকড় এর খাবার হতে পারে, তাই মহান আল্লাহ মানুষকে পোকামাকড় এর খাবার হওয়ার অনুমতি দেন নাই। মানুষ মরনশীল জন্ম হলে মৃত্যু অনিবার্য।

এই কবরস্থানকে কেন্দ্র করে মাজার গড়ে ওঠেছে, জানিনা এসব মাজার কতোটা শরিয়ত সম্মত। তবে মাজার সংস্করণ এবং মাজারের জন্য জমি দান বৈধ নয়। ইসলামের ইতিহাসে মাজারে দান করার কোনো খাত নয়। এবং মাজারে মোমবাতি জ্বালানো, এবং আলোকিত করা একটা অপচয় ইসলামের ভাষায়। তবে কবর স্থানে দান করা যাবে কবরস্থান পরিচ্ছন্নতার কাজে। এবং দান করা টাকা পয়সা গরিব মানুষের জন্য দান করা যাবে।

এই গোলাহাট কবরস্থানটি দুটি ভাগে বিভক্ত। মাঝখানে বয়ে গেছে সৈয়দপুর হতে চিলাহাটি পযন্ত রেল লাইন, এই রেল লাইন দিয়ে দিনে অসংখ্য ট্রেন চলাচল করে, কবরস্থান এর আয়তন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ একর এর মতো। সৈয়দপুর এ প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। এবং সৈয়দপুর সব থেকে বড় এবং পুরাতন কবরস্থান এটি, এখানে লক্ষাধিক এবং তার ও বেশি কবর রয়েছে। যা গনণা করা অসম্ভব। সৈয়দপুর কে বিহারীর শহর ও বলা চলে, তারা ইসলাম ধর্মের, তারা এই কবর স্থান এর দেখবারে রয়েছে। এই কবরস্থান দেখাশোনা করার জন্য একজন খাদেম রেয়েছে। সেই খাদেম ই সব সময় এই কবরস্থান এর দ্বায়িত্বে থাকে।

মানুষের মৃত্যুর পর সকল কাজের হিসাব নেওয়া হবে। মুনকার নাকির নামের ২ জন ফেরেস্তা কবরে দাফন করার পর জিগ্যেস করা হবে তোমার রব কে, তোমার দীন কি? তোমার রাসূল কে? এই সকল প্রশ্নের সম্মুখীন হতে প্রত্যেক মুসলমানদের। লাশ এক সময় মাটিতে পরিণত হয়, একটা লাশ মাটিতে পরিণত হতে ২৫ থেকে ৩০ বছর সময় লাগে। সেখানে আবার কবর দেওয়া হয়। এক স্থানে আবার কবর দেওয়া হয়। কিন্তুু এই গোলাহাট কবরস্থানে সারিবদ্ধভাবে কবর দেওয়া হয়। এবং প্রতিটি কবর ই সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে, শত শত বছের পুরাতন কবর ও এই কবরস্থানে সংরক্ষিত আছে বলে ধারণা করা হয়, এই কবরস্থান এর পাশে একটি মসজিদ ও রয়েছে, যেখানে মুসল্লীরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। আল্লাহ সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন আমিন।

---

---