গ্রাম বাংলার মাছ ধরার পদ্ধতি

আসসালামু আলাইকুম?
প্রিয় ষ্টীমবাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আমার গ্রামের নিজেদের পুকুরের কিছু মাছ ধরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

---

গ্রামের পুকুর থেকে মাছ ধরা

---

আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। মাছ আমাদের প্রধান খাদ্য সেই মাছটা যদি একদম নিজে ধরতে পারেন তাহলে সেটার মতো আনন্দ আর কিছু নাই। শীতের মৌসুমে নিজেদের পুকুর থেকে একদম প্রাকৃতিক মাছ ধরতে অনেক আনন্দ পাওয়া যায়। দেশীয় মাছ স্বাদে অতুলনীয়। আমাদের পুকরটা বিলের মাঝে, সেজন্য পুকুরে মাছ চাষ করতে হয় না। বর্ষা মৌসুমে যখন পানিতে টইটম্বুর থাকে তখন তলিয়ে যায় পুকুর। তখন নানা রং বেরংঙ্গের মাছ এসে জমা হয় আমাদের পুকুর এ। এ মাছের মধ্যে হলো, কই, শিং, মাগুর, টাকি, শৈল, পুটি, খইসা, টেংরা আরে অনেক মাছ। সাড়া বছর এ পুকুর থেকে মাছ পাওয়া যায়। এখনকার সময়ে এসব মাছ বাজারে পাওয়া যায় না।

যেহেতু শীতল পানি তাই আমি সকাল ১০ টার সময় চলে গেলাম আমাদের পুকুরে। অনেক ঠান্ডা পানি, নামাই যায় না, তবো যেহেতু আমি একদম বিলের মাছ ধরবো তাহলে তো কষ্ট করতেই হবে। কষ্ট করে নেমে গেলাম পুকুরে। পুকুরে নামতেই গা শিহরণ হয়ে গেলো, পানি যেনো নয় বরফ, অন্য এক অভিজ্ঞতা হলো আমার। তবে হাল ছাড়ার পাত্র আমি না। আমিও পুকরে যেহেতু নেমেছি মাছ আমি ধরবই।

---

---

মাছ ধরার জন্য আমি মশারী নিয়েছি, মশারী টা নেট জাল দিয়ে বানানো, পুকুরে দলকচু ভর্তি, যেটাকে পানা বলা হয়। সেটার ভেত করে জাল বা মশারী টানতে হয়। সেই মশারীর ভিতর থেকে পানা সরাতে হয়। তারপর সেই পানা ঝাকুনি দিলে সেটার নিচে মাছ জমা হয়ে থাকে। সেই মাছ মশারিতে জমা হয়। অনেক কষ্ট করেতে হলো তারপর জাল তুলে দেখতে পেলাম অনেক মাছ। মনটা খুশিতে ভরে গেলো।

---

---

অনেকগুলো মাছ পেলাম, বাংলাদেশ সত্যি অনেক অপরুপ। নদী নালা খাল বিল থেকে অসংখ্য মাছ পাওয়া যায়। মাছ ধরা এবং সেই মাছ রান্না করে খাওয়ার মজাই আলাদা। আমি এখানে আমার নিজের মাছ ধরার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। আপনারা যদি কেউ মাছ ধরে থাকেন, তাহলে আপনাদের কেমন অভিজ্ঞতা জানাবেন কমেন্ট এর মাধ্যমে। আমার এই মাছ ধরাটা কেমন লাগলো সেটাও জানাবেন।