কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি এবং কাচকি শুঁটকির মজাদার রেসিপি।

আসসালামু আলাইকুম।
এবং আদাব।

আজ শুক্রবার ২৮ এ এপ্রিল

প্রিয় স্টীমবাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের চিংড়ি মাছের সাথে হালকা কাচকি শুটকির মিশ্রনে কচুর লতির রেসিপি শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। তো দেরি কেনো চলেন শুরু করি।

কভার ফটো

🦐কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি শুঁটকির রেসিপি🦐

উপকরণ

উপাদান	পরিমাণ
কচুর লতি	পরিমাণ মতো
চিংড়ি শুঁটকি	পরিমাণ মতো
পিঁয়াজ কুঁচি	১ কাপ
মরিচ ফালি	৬ বা ৭ পিস
হলুদ গুড়ো	১ চা চামচ
মরিচ গুড়ো	১ চা চামচ
লবণ	পরিমাণ মতো
তৈল	পরিমাণ মতো
জিরা গুড়ো	১ চা চামচ
রসুন বাটা	হাফ কাপ

এই সামান্য উপকরণ দিয়ে আমি আজকে মজাদার চিংড়ি মাছের শুঁটকির সাথে কাচকি শুঁটকির সংমিশ্রণে কচুর লতি দিয়ে সুস্বাদু একটি রান্না শেয়ার করব আপনাদের মাঝে। তো আমি শুরু করতে যাচ্ছি।

ধাপ ১

• যেহেতু আমার রান্নাটি শুটকি মাছ দিয়ে, তাই আমি শুটকি মাছ প্রথমে নিয়ে নিব। এবং আমি শুটকি মাছ নিয়ে নিয়েছি।

ধাপ ২

• এরপর শুটকি মাছগুলো গরম পানি দিয়ে টেলে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

ধাপ ৩

• গরম পানি দিয়ে ধোয়া শেষ হলে এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে নিতে হবে।

ধাপ ৪

• এবার আমার ধুয়া শেষ এখন আমি রেখে দেবো পানি ঝড়ার জন্য। এ ফাঁকে আমি বাকি কাজগুলো সেরে নিব ।

ধাপ ৫

• যেহেতু চিংড়ি মাছের প্রক্রিয়া করা শেষ, এবার আমার লতাগুলো কেটে নেব সুন্দর করে। আপনি চাইলে লতা বাজার থেকে কিনেও আনতে পারেন অথবা আপনার বাড়ির আশেপাশের কচু গাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। আমি বাজার থেকে কিনে এনেছি। এবং সুন্দর করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি।

ধাপ ৬

• এবার পিয়াজ মরিচ গুলো সুন্দর করে কেটে নেব। সাথে রসুন বাটা আমি করে নিব।

ধাপ ৭

• এবার একটি কড়াইয়ে তেল নিয়ে পিঁয়াজ মরিচ রসুনগুলো সুন্দর করে ভেঁজে নেব হালকা বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত ।

ধাপ ৮

• এবার বাদামি রং করা পিঁয়াজ মরিচ ভাজির সাথে শুটকি দিয়ে নিব, শুটকিগুলো তেলের সাথে সুন্দর করে ভেজে নিব।

ধাপ ৯

• এবার আমি মসলা নিয়ে নেব যে মসলাগুলো আমি শুটকি রান্নায় ব্যবহার করব।

ধাপ ১০

• এবার মসলাগুলো মিশিয়ে নিবো সুন্দর করে এবং আরেকটু ভাজি করে নিব।

ধাপ ১১

• এবার আমি পানি যোগ করে নিব। পানি দিয়ে সুন্দর করে কষিয়ে নিব, এটাই শেষ পানি আমি আর পানি ব্যবহার করব না।

ধাপ ১২

• এবার কচুর লতিগুলো যোগ করে দিবো। এবং সুন্দর করে মাঝে মাঝে নাড়াচাড়া করব এবং ঢেকে দিবো এভাবে ১৫ রান্না করব।

ধাপ ১৩

• আমার কচির লতি গুলো দেয়া হয়ে গেছে এবং মাঝে মাঝে আমি নাড়াচাড়া করে নিচ্ছি, আমি আর পানি ব্যবহার করব না আমি যে পানি ব্যবহার করেছিলাম সেই পানিতেই হয়ে যাবে আমার রান্নাটা, মাঝে মাঝে ঢেকে দিব এবং চুলার আঁচ একবারের লো কোয়ালিটিতে থাকবে। রাতে আমার রান্না ভালোভাবে হয়ে যাবে।

পরিবেশন

• আলহামদুলিল্লাহ আমার রান্না হচ্ছে অনেক সুন্দর ভাবে হয়ে গেছে। আমি কোন রান্নাতে ঝুল রাখিনি একবারে ভাজি ভাজি করেছি, তাতে রান্নাটি একদম সুস্বাদু লাগে। মসলা কষানোর সময় যে হালকা পরিমাণ পানি দিয়েছিলাম সেই পানিতে আমার রান্না ঠিক হয়ে গেছে। আমি অতিরিক্ত আর কোন পানি ব্যবহার করিনি। কচুর লতিটা ভাজি ভাজি রাখলে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে তাই আমি ভাজি ভাজি রেখেছি।

নামিদামি রান্নার ভিঁড়ে আমার এই রান্নাটুকু জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগলো। তবে আমি এই সিম্পল রান্না দিয়ে ভাত একটু বেশিই খেতে পারি, আমার কাছে তো অসাধারণ লাগে। আপনাদের কাছে কেমন লাগে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সব সময় তো মাছ গোস্ত খাওয়াই হয়, একবার চেষ্টা করে দেইখেন কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছের শুটকি আপনার কাছে কেমন লাগে। আশা করি মন্দ লাগবে না। আমি সবসময় সহজ ভাবে রান্না করার চেষ্টা করি, এবং সামান্য উপকরণ ব্যবহার করে রান্না করার চেষ্টা করি, আপনারা চাইলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে। কচুর লতিতপ অনেক পরিমান ভিটামিন রয়েছে। যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। তাই মাঝে মাঝে এসব রান্না খাওয়া যায়। আমার রান্নার মেনুতে মাঝে মাঝে ভিন্ন রকম কিছু থাকে। তাই আমার রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। কেমন হয়েছে তা কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আজ এ পর্যন্তই। আবারো লিখব অন্য কোন বিষয় নিয়ে।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ

লোকেশনঃ সৈয়দপুর

ডিভাইসঃ TECNO CAMON 16 PRO