ঐতিহ্যবাহী টিনের তৈরি দেয়াল ঘড়ি

আসসালামু আলাইকুম?

আজ বৃহস্পতিবার ২৩ এ ফেব্রুয়ারী

প্রিয় ষ্টীম বাসী সবাই কেমন আছেন? আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি অর্ধশত বছর আগের টিনের তৈরি দেয়াল ঘড়ি সম্পর্কে বলবো এবং দেখাবো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবো।

---

---

কভার ফটো

টিনের তৈরি দেয়াল ঘড়ি

এই ঘড়িটি স্বাধীনতার আগের তৈরি টিনের ঘড়ি। ১৯৬৭ সালে এই ঘড়িটি তৈরি হয়।তখন বাংলাদেশ এর নাম ছিলো পূর্ব পাকিস্তান। তৎকালীন সরকার এই ঘড়িটি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পাঠায় সময় দেখার জন্য। তখন কারখানা বেহারী দ্বারা পরিচালিত হতো। বাঙ্গালি খুবই কম ছিলো। ঘড়িটি মজবুত টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল।

---

---

যা এখনো চলমান, বাংলাদেশ রেলওয়ের আওতাভুক্ত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ক্রেন সপে এখনো চলমান। ঘড়িটির বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য ছিলো, যেমন এর্লাম দিতো এবং সূর্যের তাপে চলতো। সূর্যের তাপে টিন গরম হতো আর সেই টিনের তাপ হতে শক্তি তে রুপান্তিত হয়ে ঘড়ি চলতো। তবে অর্ধশত বছর হওয়ার কারণে এখন বেটারি সংযুক্ত করা হয়েছে।

---

---

টিনের তৈরি দেয়াল ঘড়ি সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। আমি ক্রেন সপে চাকরি করে এক কাকার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম। যে ঘড়িটা সৈয়দ পুর এর মধ্যে প্রথম ঘড়ি যেটার সময় দেখার জন্য বা শুনার জন্য দূর দূরান্তের লোক কারখানা গেটে এসে ভীড় জমাতো, সেই ভীর থেকে রক্ষা পেতে কারখানা কৃতপক্ষ এইটি হুইসেল এর ব্যবস্হা করে দেয়।

---

---

এই টিনের তৈরি দেয়াল ঘড়ি এখনো অনেক মজবুত। তবে এটাকে নতুন করে চলার জন্য বেটারি সংযুক্ত করা হয়েছে। রেলওয়ে কতৃপক্ষ যে হুইসেল এর স্হাপন করেছিলো সেটা সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন এর পূর্ব পাশের কলোনি রসূলপুর এ পাওয়ার হাউস এর উপরে রয়েছে। প্রতিদিন এখনো হুইসেল বাজে। সকালে ৩ বার দুপুর ৩ বার বিকালে ৩ বার বাজে। যা শুনে মানুষ কারখানায় আসে। বর্তমানে ঘড়িটি রেলওয়ে যাদুঘরে রাখা হবে বলে শুনা যাচ্ছে। কারণ এই ঘড়িটি মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম ব্যবহার করা টিনের ঘড়ি, তাই স্মৃতি ধরে রাখতে সংরক্ষিত করে রাখা হবে। কেমন লাগলো আমার এই পোস্ট টি আশাকরি সবাই জানাবেন।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ