গরমে গ্রামের মানুষের আড্ডার স্থান বাঁশের তৈরি টং

in hive-131369 •  last year 

সবাইকে আদাব
আমি বিপ্লব সরকার



তারিখঃ১৭-০৬-২০২৩ ইং



প্রিয় বন্ধুরা আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আমি আজকে একটি বিশেষ ঐতিহ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করব।



টং

InCollage_20230617_171015517.jpg



আমরা গ্রামের বিশেষ বিশেষ কিছু জিনিস দেখতে পাই যা আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্য বহন করে। এরকম ঐতিহ্যবাহী একটি জিনিস হচ্ছে টং। টং বসে থাকার জন্য বিশেষ একটি বাহন। গ্রামে গেলে প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় এমন একটি টং দেখতে পাওয়া যাবে। যেখানে মানুষ বসে আরাম করে গরমের সময়। টঙে অনেক লোক দেখা যায় এবং সবাই মিলে বসে আড্ডা দেয়। আজকে আমি এই গ্রামীন অঞ্চলের টং নিয়ে কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করব।

InCollage_20230617_170342109.jpgInCollage_20230617_170324849.jpg

গ্রামের মানুষেরা বিকেলবেলা অথবা সকালবেলা অলস সময় যখন কাটায়, তখন বসে থাকার জন্য এমন কিছু জিনিস তৈরি করে যেখানে বসে থাকলে খুব আরাম পাওয়া যায় এবং বেশ লোকজন পাওয়া যায় এই জায়গাটিতে। আমাদের দেশের প্রতিটি অঞ্চলে এই টং দেখতে পাওয়া যায়। তেমনি আমাদের গ্রামে এরকম একটি টং রয়েছে। এই টঙের সবাই বসে থাকে এবং আড্ডা দেয় আমাদের এলাকার ছেলেপেলেরা একটি টং বানিয়ে রেখেছে। এই রঙে বসে ওরা সবাই আড্ডা দেয়। আমিও মাঝে মাঝে গিয়ে ওদের সাথে আড্ডা দেই টং এ। সবাই একসাথে বসে থাকলে বিভিন্ন ধরনের গল্প হয়। বিভিন্ন রকম বিষয় নিয়ে হাসি মজা করা হয়।

InCollage_20230617_170310232.jpg

এ ধরনের বসার টং গুলো সাধারনত গাছের ছায়া এবং বেশ নিরিবিলি পরিবেশে তৈরি করা হয়। আমাদের এলাকায় রাস্তার পাশে একটি টং ছিল অনেক আগে এই টং টি বেশ ১০ বছর ধরে ছিল। আমরা এই টংটি তৈরি করেছিলাম তবে এখন আর এই টংটি নেই। আমরা সবাই কাজে ব্যস্ত হওয়ার পর এই টংটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে আর তৈরি করা হয়নি। তবে এখনকার ছেলেরা আর একটি নতুন টং তৈরি করে করেছে। সেই টংটিও বেশ কয়েক বছর ধরে রয়েছে আমরা এই টং এ বসে আড্ডা দেই।

InCollage_20230617_170250024.jpgInCollage_20230617_170237347.jpg

তবে বর্তমানে মানুষ ব্যস্ত হয়ে যাওয়াতে মানুষ এখন আর বসে তেমন আড্ডা দিতে পারে না। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকে সবসময় তাই এখন তেমন একটা লোক একসঙ্গে পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে সবাই ফ্রি থাকলে টঙ্গে বসে থাকতে পারে। এছাড়া একসঙ্গে অনেক লোক দেখতে পাওয়া যায় না।

InCollage_20230617_170213458.jpg

বন্ধুরা এই ছিল আমার আজকের আলোচনার বিষয়। আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।



তথ্যবিস্তারিত
বিষয়ঐতিহ্য
ক্যামেরাস্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৫২
সম্পাদন করাহ্যাঁ
অবস্থানপার্বতীপুর,দিনাজপুর ,বাংলাদেশ
ফটোগ্রাফার@biplobsarker


ধন্যবাদ সবাইকে



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

গ্রামে এভাবে টঙ্গে বসে আড্ডা দিতে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া দিন দিন গ্রামে যে পরিমাণ কারেন্টের সমস্যা দিচ্ছে তা অকল্প নিয়ে। তাই গ্রামে যেতে প্রচুর ভয় করতেছি। অনেক সুন্দর ভাবে পোস্ট করছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাই

  ·  last year (edited)

বাঁশের তৈরি এই টং গুলো গ্রামেই দেখা যায় বেশি। আমাদের বাসার সামনেও এইরকম একটি বাঁশের টং রয়েছে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া বাঁশের তৈরি টং নিয়ে এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

বাঁশের টং নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। এগুলো গ্রাম অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। কারণ গ্রাম অঞ্চলে থাকা জায়গা বেশি থাকে। এগুলোতে আড্ডা দেওয়া যায়, গল্প গুজব করা যায়। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

বাঁশের টং নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন। বাঁশের টং বসে গল্প আর আড্ডা দেয়া হয়। বিশেষ করে গরমের সময়ে বেশির ভাগ সময়ে টং বসে আড্ডা দেয়া দেখা যায়। বাঁশের তৈরি টং নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।

ধন্যবাদ ভাই

বাঁশের তৈরি টং খুবই উপকারে আসে আমাদের৷ বিশেষ করে গরমের দিন টং উপর সুয়ে থাকতে সেই মজা৷ পুকুর পারে টং থাকলে প্রাকৃতিক বাতাসে সুয়ে থাকতে সেই আরাম লাগে৷ টং নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই৷ ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

বাঁশের তৈরি টং নিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই। আমাদের এইদিকেও গরমের কারনে অনেক মানুষ বিভিন্ন বিভিন্ন জায়গায় বসে আড্ডা দিতেছে। আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ ভাই

Loading...

বাঁশের তৈরি এসব টং গ্রামের আড্ডাখানা, গ্রামের মানুষ গরমে পরম বিকালে এসব টং এ সময় কাটায়। আপনি খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই অনেক ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই

এই টংকে আমাদের এদিকে চরাট বলে। গরমের সময় গ্রামে এরকম চরাটের উপর বসে আড্ডা দিতে প্রায়ই দেখা যায়। সাজিয়ে গুছিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছে, ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ

লোড শেডিং এর সময় গ্রামের মানুষ টং-এ এসে বসে বিশ্রাম করে। টং নিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট করেছেন। এ ধরনের বাশের টং গ্রামে ছাড়া দেখা যায় না।

ধন্যবাদ

প্রচন্ড গরমে বাঁশের তৈরি টঙের মধ্যে বেশির ভাগ আড্ডা জমে উঠেছে। সেখানে গ্রামের ছোট বড় সবাই মিলে আড্ডা দিয়ে থাকে। আপনাদের টঙের লোকেশনটা অনেক সুন্দর ভাইয়া। অনেক সুন্দর ছবি তুলেছেন আপনি।

ধন্যবাদ

অবশ্য এটা সঠিক বলেছেন যে, পরিমাণে গরম এবং লোডশেডিং এর সমস্যা হচ্ছে তাতে মানুষের জীবন যাপন করা কষ্টকর হয়ে উঠছে ৷ আর সেই জন্য গ্রামের মানুষ বাঁশের তৈরি টং তৈরি করে তারা নিরিবিলি পরিবেশে আড্ডা দিচ্ছে এবং কিছু সময় কাটাচ্ছে ৷ অবশ্য শহরের মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৷ সুন্দর লিখেছেন ভাই ধন্যবাদ৷

ধন্যবাদ

বাঁশের তৈরি টং নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন।গরমে গ্রামের মানুষের আড্ডার স্থান বাঁশের তৈরি টং।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করেছেন।ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ

গ্রীষ্মকালীন সময়ে গ্রাম অঞ্চলে বাঁশের তৈরির টং আমাদের ক্ষণিকের জন্য প্রশান্তি এনে দেয়। টঙ্গে বসে আড্ডা দিতে আমার বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোষ্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ