প্রচীনকালের ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা

in hive-131369 •  2 years ago 

.

আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।আজকে আমি ঐতিহ্যবাহী হামানদিস্তা নিয়ে কিছু আলোচনা করবো, আশা করি সবার ভালো লাগবে।

received_3457993471081614.jpeg

হামানদিস্তা প্রাচীন কাল থেকেই আজ পর্যন্ত প্রচলিত আছে কারন এর ব্যবহার শুধুই রান্নায় না,আরো বিভিন্ন ধরনে কাজে লাগে। হামানদিস্তা দৈনন্দিন জীবনের অতি প্রয়োজনীয়।তবে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই লোহার হামানদিস্তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে,এখন কাঠেঁরো হামানদিস্তা বের হয়েছে।তবে হামান দিস্তা কাঠের তৈরি গুলো দেখতে বেশ সুন্দর আর নকশা করা। আর কাটের তৈরি হামানদিস্তা গুলো বেশি দিন টেকে না এটা তারাতারি ফেটে যায় । তবে লোহার হামানদিস্তা গুলো বেশি দিন টিকে কারন এগুলো ফেটে যায় না। হামানদিস্তা রান্না করার সময় মসলা বেটে তরকারির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

received_202921219056365.jpeg

আগের যুগে মানুষ এই হামান দিস্তাই অনেক কাজ করছে,যেমন মসলা বাটা,মরিচ বাটা মুরব্বিদের পান বেটে দেওয়া ইত্যাদি।এগুলো কাজ করতে ধৈর্যের প্রয়োজন পরে,আবার এগুলো কাজ করতে কেউ কেউ ধৈর্য রাখতে পারে না।আমারে কথা বলি আমার দাদার দাঁত নেই, আমি প্রায় আমার দাদার জন্য পান বেটে দেই। এখনো অনেকের বাসায় আছে যারা ঠিক মতো দাঁত দিয়ে চাবাইতে পারে না,তাদের জন্য এই হামানদিস্তাই গুড়ো করতে হয়।তবে একটা মজার বিষয় হলো কি, এই হামানদিস্তার ঠুক ঠুক শব্দ শুনে খুব ভালো লাগে।

received_809028520792735.jpeg

আর আপনারা খেয়াল করবেন কাঠের তৈরি যেগুলো হামানদিস্তা আছে এগুলোতে বেশি জরে ঠক ঠক করলে ফেটে যাওয়ার ভয় লাগে যার কারনে জরে জরে কেউ ঠক ঠক করে না,আর লোহার যে হামানদিস্তা আছে এখানে আমরা জরে জরে টক ঠক করতে পারি এটা ফেটে যাওয়ার কনো ভয় লাগে না।তাই এটা বেশি টিকসই,আর আপনারা যে গুলো ছবি দেখতেছেন সব ছবি আমার নিজের তোলা,এটা আমাদের বাসার হামানদিস্তা।

received_542257747893580.jpeg

আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এই হামানদিস্তাকে আমরা সবাই হামু বলে চিনি,আমাদের এই দিকে সবাই হামু বলে। আজকে আমি এখানেই হামানদিস্তা নিয়ে আমি আমার কথা শেষ করলাম,আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার এলাকায় এইটাকে ডুকডুকি বলে। আমার দাদির বাসায় আছে। তবে এখন আর তেমন দেখা যায় না এই প্রযুক্তি। সময়ের সাথে বিলিন হয়ে গেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন হামানদিস্তাকে। অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি।

ধন্যবাদ আপনাকে

হামানদিস্তা দিয়ে মসলা গুড়া করা ও চালের গুঁড়া করা হয়। হামান দিস্তা আমাদের ঐতিহ্য, আধুনিকতার ছোঁয়া নানা রকম মসলা বাটার নামার জন্য এগুলো এখন বিলুপ্ত প্রায়। তবে একসময় এই হামান দিস্তা রাজ করে করেছে সমস্ত জিনিস গুড়া করার জন্য। আপনি অনেক সুন্দর উপস্থাপন করছেন আপু অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

আপনি অনেক পুরনো একটি ঐতিহ্য নিয়ে পোস্ট অরেছেন। আগে আমাদের বাসায় দুইটি হামাদিস্তা ছিল। একটি মসলাগুলো করার জন্য আরেকটি দাদির পান খাওয়ার জন্য। দাদীর সাথে সাথে আমিও কিছু পান খেতাম। হামানদিস্তা অনেক কাজে লাগে বিশেষ করে মসলার গুড়া, চাল ভাজা গুড়া, চালের আটা না আরো বিভিন্ন প্রকার কাজ করা যায়। আপনি ভালো একটি পোস্ট করেছেন। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এটিকে হামু বলে থাকি। আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো।

এতো সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনি অনেক পুরনো একটি জিনিসের কথা আজ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। হামান দিস্তার ব্যাপার এখন অনেক কমে গেছে। বাড়িতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের মসলা ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শস্য গুড়ো করার কাজে এই হামানদিস্তার ব্যবহার করা হতো। আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ।ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু

হামানদিস্তা হলো আমাদের এক পুরনো দিনের ঐতিহ্য, আমরা সবাই এই হামানদিস্তায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করতাম।কিন্তু এখন অনেক ধরনের হামানদিস্তা বের হয়েছে, আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন হামানদিস্তা নিয়ে, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপনাকে

CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

আপনি অনেক পুরনো একটি জিনিসের কথা আজ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। হামান দিস্তার ব্যাপার এখন অনেক কমে গেছে।আমাদের এইদিকে এইটাকে ডুকডুকি বলে। আমার চাচাদের বাসায় আছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

আমাদের বাসায় একটি রয়েছে। মাঝে মাঝে চাঁলের গুড়া তেরি করার জন্য ব্যবহার করা হয়। অনেক কষ্টের একটি কাজ। শহরাঞ্চলে ঢেঁকির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে অনেক কমে গিয়েছে কারণ সবার বাসায় এখন ব্লেন্ডার রয়েছে।ভালো লিখেছেন। মার্কডাউনের ব্যবহার করতে হবে।