চটের বা পুরনো বস্তার তৈরি পর্দা।। যা এক সময় গ্রামের প্রতিটি মাটির ঘরে ব্যবহৃত হতো।।

in hive-131369 •  last year 


হ্যালো বন্ধুরা,,

আসসালামু আলাইকুম। কি অবস্থা সবার ! আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর রহমতে আর একটু ভালই আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে গ্রামাঞ্চলের হারিয়ে যাওয়া পাটের বস্তার তৈরি পর্দা বা অনেকেই একে চট বলে থাকে। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

চটের বা পুরনো বস্তার তৈরি পর্দা


IMG_20230914_184141.jpg

গ্রামাঞ্চলে বাস করলে কখনো বা কখনো আপনাকে এই পর্দার সম্মুখীন হতেই হবে। আসলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ মাটির ঘরে এই ধরনের পর্দা ব্যবহার করে থাকে। এই ধরনের পর্দা গুলো গ্রামের মানুষ বিভিন্নভাবে তৈরি করে থাকে কখনো কখনো তারা পুরাতন বা নতুন বস্তা কেটে পর্দা তৈরি করে থাকে। আবার কেউ মাঝে মাঝে পুরাতন শাড়ি বা পুরাতন লুঙ্গি ব্যবহার করতেন এই ধরনের পর্দা হিসেবে।


IMG_20230914_184831.jpgIMG_20230914_184436.jpg

আগেকার দিনে মাটির তৈরি ঘরগুলোতে তেমন ভালো মানের কোন জানালা ছিল না। তারা শুধুমাত্র বাসের লাঠি বা গাছের ছোট ছোট ডালগুলো ব্যবহার করে এক ধরনের জানলা তৈরি করতো। ছিল একপ্রকার জ্বালা না ছোট ছোট তবে সেগুলো ভেতর থেকে খোলাও বন্ধ করতে হতো। বাইরে দিক থেকে যাতে কোন কিছু ভেতরে ঢুকতে না পারে তাই এ ধরনের পর্দা বাইরে থেকে লাগিয়ে দিত গ্রামাঞ্চলের মানুষজন। আবার বাইরে থেকে বিড়াল বা অন্য কোন পশুপাখিরাতে ভেতরে ঢুকতে না পারে সেজন্য তারা এ ধরনের ব্যবস্থা করতেন।এগুলো লাগানোর জন্য একটা সম্পূর্ণ বস্তা ভালো করে কেটে জালানার মাপ করে নিত। তারপর চার কোনায় চারটি পেরেক গেথে দিত আবার কেউ কেউ বাঁশের কঞ্চি হাতুড়ি দিয়ে গেড়ে দিত। আবার কোন শিবা পেরেকগুলো যাতে বের হয়ে যেতে না পারে সেজন্য তাদের মাথায় কাগজ দিয়ে আলাদাভাবে একটি টোপা করে দেয় যাতে চোপা গুলোর সাথে পেরেক আটকে থাকে।


IMG_20230914_185209.jpgIMG_20230914_185229.jpg

তবে বর্তমানে এই এই পর্দাগুলো তেমন একটা দেখা যায় না।। কালের বিবর্তনে পরিবর্তিত হয়ে সকল মাঠের ঘর এখন প্রায় দালানের ঘরে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। সবাই এখন আধুনিক প্রযুক্তির বিল্ডিং তৈরি করতেছি এবং আধুনিক প্রযুক্তির দরজা জানলা ব্যবহার করছে। যা বাইরে থেকে দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি কার্যকরী।


IMG_20230914_185603.jpg

যে ঘরটির ছবি তুলেছি সেটি প্রায় অনেক পুরনো। আমি জন্মের পর থেকে এই ঘরটি দেখে আসতেছি। একবার ভেঙ্গে গিয়েছিল কিন্তু পরে আবার সেটিকে মেরামত করালেও এখনো এই চটের পর্দা জানালায় ব্যবহৃত করে রেখেছে।


ধন্যবাদ সবাইকে। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ পর্যন্ত সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকুন এই কামনা করি। শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
  ·  last year (edited)

চটের বস্তা মুলত বিভিন্ন কাজে লাগে। বিশেষ করে চটের বস্তা বা পুরনো বস্তা দিয়ে তৈরি করা হতো জানলার পর্দা। এটি মুলত আগেকার সময়ে মাটি তৈরি বাড়িতে ব্যবহার করা হতো। এখনো কিছু কিছু অঞ্চলে জানলার পর্দা হিসেবে চটের বস্তা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।

ধন্যবাদ

DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

ধন্যবাদ

এগুলো পাটের তৈরি বস্তা।বস্তা গুলো যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন এগুলো কেটে এমন কাজে ব্যবহার করা হয়।এগুলো আগের দিনে পরিমাণে ব্যবহারে করত।গোয়াল ঘরে শীতের সময় এগুলো বেশি ব্যবহার করা হয়। এগুলো দিয়ে গোয়াল ঘরে পর্দা বানালে বেশ ভালো কাজ করে।গরুকে ঠান্ডা থেকে বাঁচাতে এগুলো বেশ কাজে লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর এবং ভিন্ন রকম পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

পুরানো দিনের কথা মনে পরে গেলো। পাটের বস্তা দিয়ে পর্দা দেওয়া হতো আগের দিনের মানুষ। তখন আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া এখন আর দেখা যায় না। দরিদ্র মানুষের ভরসা ছিলো এই বস্তা। জানালা মধ্যে এই পদ্ধতিতে পাট এর বস্তা দিয়ে পর্দা দেওয়া হতো। আগের দিনে মাটির ঘর বেশি ছিলো, আর এই ঘরে বৃষ্টিতে পানি প্রবেশ না করতে পারে সেই জন্য এই পর্দা দেওয়া হয়। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন ভাই। ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

পূরানো চটের বস্তার পর্দা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পূরানো চটের বস্তা কেটে আগের যুগের মানুষেরা জালনার পর্দা হিসেবে ব্যবহার করতো। যেন বৃষ্টির পানি জানলা দিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। আমাদের গ্রামে ও এই রকম অনেক দেখেছি।

@md-sajalislam.

20230511_105644__01.jpg

ধন্যবাদ

আপনার পোস্টটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। ছোটবেলায় আগে আমাদের গ্রামে এই ধরনের পর্দা অনেক দেখেছি। পুরনো বস্তা বা চট যেগুলো কাজে লাগে না সেগুলো দিয়েই জানার পর্দা বানিয়ে টাঙিয়ে রাখে। একটা সময় গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই এই ধরনের পর্দা দেখা গেলেও এখন এটা বিলুপ্ত প্রায়।

ধন্যবাদ

আপনার পোস্ট দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আগেকার সময়ে দেখতাম মাটির তৈরি বাড়িঘরে জানলার পর্দা হিসেবে এই পুরনো চটের বস্তা হিসেবে ব্যবহার হতো।চটের বস্তা অনেকে দরজার সামনে রেখে দিত যাত ভিতরে প্রবেশ করার সময় পা মুছে ভিতরে প্রবেশ করে। তবে এই চটের বস্তা জালনার পর্দা হিসেবে কাজ লাগতো। আর গ্রামঞ্চলে এমন দৃশ্য দেখা যেত। কিন্তু কালের বিবর্তনে মাটির বাড়ি বিলুপ্ত প্রায়।

ধন্যবাদ

চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাই। গ্রামের মাটির বাড়িগুলো সংখ্যা যেমন দিন দিন কমেছে তেমন মাটির বাড়িতে ব্যবহার করা এসব জিনিসের ব্যবহার ও দিন দিন কমেছে। যদিও পাটের তৈরি এই বস্তা গুলোর ব্যবহার এখনো গ্রামে করা হয় কিন্তু আগের মতো দেয়ালে বা জানালার পর্দা হিসেবে নয়। ধান চাল রাখার জন্য এখনো পাটের তৈরি বস্তা গুলো ব্যবহার করা হয়। গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া এক ঐতিহ্য নিয়ে চমৎকার লিখেছেন ভাই। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

আমিও এমন পর্দা দেখেছি নানা বাড়ির স্থানে অনেক বাড়িতে।আপনি যে সব নাম উল্লেখ করেছেন আমিও দেখেছি গ্রাম অঞ্চলে এমন পর্দা।ঠিকই বলেছেন বর্তমানে এমন পর্দা এখন গ্রামেও দেখা যায় না।সবাই এখন আধুনিক প্রযুক্তির বিল্ডিং তৈরি করছে।আপনার পোস্টের উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ

ধন্যবাদ

পোস্টটি কিন্তু বেশ ইউনিক ছিল। এরকম চটের বা পাটের তৈরি বস্তা কিন্তু চোখে পড়েনি। আজ আপনার করা পোস্ট হতে দেখতে পেয়ে কিন্তু ভালোই লাগলো। আমি তো মনে করি চটের তৈরি বস্তাগুলোর ব্যবহার করা প্রয়োজন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।