১৮ টাকায় দুপুরের খাবার।। যা এক মাত্র রাজশাহী হলে সম্ভব।।

in hive-131369 •  last year  (edited)

হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। কি অবস্থা সবার? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও মহান সৃষ্টিকর রহমতে বেশ ভালই আছি। আজ আমি আবারো উপস্থিত হয়েছি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে রাজশাহী হলের ১৮ টাকায় দুপুরের অসাধারণ খাবারের চিত্র তুলে ধরব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

১৮ টাকায় দুপুরের খাবার

IMG_20230810_001515.jpg

১৮ টাকায় দুপুরের খাবার ভাবতে অবাক লাগতেছে তাই না?তাও আবার পেট ভরে যত ইচ্ছা তত খাও মাত্র ১৮ টাকায়। যদি খেতে চান তাহলে যেতে হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ও পরিষ্কারময় শহর রাজশাহীতে। রাজশাহী হলে মাত্র ১৮ টাকায় দুপুরে পেট ভরে খাওয়া যায়।এখন মনে হয় একটু কম বেশি হতে পারে। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন ১৮ টাকা ছিল।

রাজশাহীতে গিয়েছিলাম অনেক কয়েক মাস আগে একটি কাজ করার জন্য। সেখানে গিয়ে কোথায় উঠব সেটা ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল সেখানে আমার একজন আঙ্কেল থাকে। তিনি আবার রাজশাহীতে লেখাপড়া করে রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে। তাকে ফোন করে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে আমিও আমার এক ফ্রেন্ড চলে যাই।

IMG_20230809_235440.jpgIMG20220512132405.jpg

IMG_20230809_235428.jpg

সেখানে গিয়ে আমি অবাক হই সেখানে এখনো ৭ টাকা ,৬ টাকার ভাড়া রয়েছে। আঙ্কেলের কাছে পৌঁছেতে দুপুর হয়ে যায়। খুব ক্ষুধা লেগেছিল আঙ্কেলকে বলাতে তিনি বলে চল আজকে তোকে কম টাকায় আমাদের হলে পেট ভরে খাওয়াবো। তিনি আরো বলেন তোকে আজকে ১৮ টাকায় পেট ভরে খাওয়াবো। আমি তার কথা য় হেসে উঠি আর বলি একজন সাধারন মানুষের হোটেলে দুপুরবেলা খেতে সর্বনিম্ন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লাগে। সেখানে আপনি ১৮ টাকায় আমাদের খাওয়াবেন।

তিনি বলেন চল আমার সাথে গিয়ে দেখবি। আমিও তার সাথে সাথে চলে যাই সেখানকার একটি হলে। গিয়ে দেখি সবাই খাইতেছে। তিনি আমাদের তিনজনের জন্য ৫৪ টাকা দিয়ে তিনটি প্লেট নিলেন। আসলে হলে আগে টাকা দিয়ে প্লেট নিতে হয় তারপর খাইতে হয়।

IMG20220512132923.jpg

আমিও তার পিছু পিছু গিয়ে একটি আসনে বসি। বসার পর তিনি আমাদের জন্য ৩ পিস মাছ ও সবজি নিয়ে আসে। টেবিলের সামনে ভাতের অনেক বড় একটা গামলা রয়েছে সেখান থেকে ইচ্ছে মত ভাত নিতে পারবে। আর রয়েছে অনেক বড় একটা পাতিল যেখানে পাতলা ডাল রয়েছে।

তিনজন বসে খেতে শুরু করলাম। টাকার তুলনায় খাওয়া দাওয়া বেশ ভালই হয়েছে। পেট ভরে তিনজন খেলাম। তারপর আমি আমার বন্ধু আমাদের ব্যক্তিগত কাজ করতে চলে যাই।

ধন্যবাদ সবাইকে। সবাই সুস্থ সুন্দর থাকুন এই কামনাই করি। শুভকামনা রইল আপনাদের প্রতি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আসলেই অনেক অবাক হয়ে গেলাম ভাই ১৮ টাকায় এত কম দামে দুপুরের খাবার আপনারা পাইতেছেন সত্যিই অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার এখনকার বাজারে। কারণ এখন প্রত্যেকটি জিনিসের যে পরিমাণে দাম কি বলবো। আমাদের অনেকেরই এটি জানা ছিল ভাই। অনেক সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

ধন্যবাদ আপনাকে

সত্যি বিষয়টা অনেক অবিশ্বাস্য, ১৮ টাকায় কেমনে সম্ভব বর্তমান জিনিসপত্রের যে দাম, এরপর পোস্টটা করে বুঝতে পারলাম সত্যি এটা সম্ভব, ১৮ টাকার খাবার নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন, যদি কখনো রাজশাহীতে যাই তাহলে অবশ্যই একদিন এই হোটেলে খাওয়ার ট্রাই করবো, বিষয়টি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।

ওটা হোটেল নয় ভাইয়া।ওটা হলের ক্যান্টিন।

ধন্যবাদ ভাই

বাহ এখনো সম্ভব এই ১৮ টাকায় ভরপেট খাওয়া যায়। প্রথমে অবাক হলাম। রাজশাহীতে এতো কম খরচে খাওয়া যায় জেনে ভালো লাগলো। দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতিতে এখনো মানুষ এতো কম টাকায় খেতে পারে সেটা সত্যি প্রশংসনীয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ

রাজশাহী ইউনিভার্সিটিতে ১৮ টাকায় খেতে পাওয়া যায়। এখানে খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমারও আছে।আসলে ভাই সরকার ভর্তুকি দেয় বলে এত কম দামে খাবার পাওয়া যায়। তবে দারুন সময় পার করেছেন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ

অবাক হইলাম এতো কম টাকায় খাওয়া যায় পেট ভরে। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যান্টিনে এখন ২৫ টাকা করছে। আর হাঁসের মাংস দিয়ে খেলে দিতে হবে ৪০ টাকা। আসলেই মাছ দিয়ে যে খাবার আপনাদের দিয়েছে তা বাহিরে খেতে গেলে কমপক্ষে ১২০ টাকা লাগবে।

ধন্যবাদ

Loading...
আমার জানামতে প্রতিটি হলের ক্যান্টিনেই কমদামে খাবার পাওয়া যায়। এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই।কারণ এরা সরকারিভাবে অর্থ পেয়ে থাকে। তবে বাইরের খাবারের থেকে দাম অনেক কম।যেহেতু তারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট, অনেকেই গরীব ফ্যামিলি থেকে এসেছে। বাইরে থেকে খাবার প্রতিদিন কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। সবকিছু বিবেচনা করেই মূলত এই সুবিধাগুলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।তবে আপনার অভিজ্ঞতা জানতে পেরে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

আসলেই এটি অনেক আশ্চর্যজনক একটি ব্যাপার। ১৮ টাকায় এখনো পেটপুরে খাওয়া যায় এটা কল্পনাও করা যায় না। বাংলাদেশে এখনো এরকম হোটেল রয়েছে এটা জানা ছিল না। অসাধারণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। কিন্তু হোটেলের নামটি উল্লেখ করলে আরো ভালো লাগতো বিষয়টি। এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

আাসলে অবাক করা বিষয় এটা।মাত্র ১৮ টাকা দিয়ে দুপুরের খাওয়া করলেন। আমাদের এইদিকে কোথাও খেতে গেলে কম পক্ষে ২০০ টাকা লাগে।আপনি খুব সুন্দর ভাবে ১৮ টাকা খাবারের রিভিউ উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।

ধন্যবাদ

আমি যখন কুষ্টিয়া ইসলামী ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলান তখন ভার্সিটির এক হলের ক্যান্টিতে ১৭ টাকা দিয়ে দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম।তবে সেই খাবারটি খেতে আমার তেমন ভালো লাগেনি।দেশের প্রায় প্রতিটি পাবলিক ভার্সিটিতেই এইরকম সুবিধা রয়েছে।