গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সরিষা ক্ষেত এর দৃশ্য ।

সুপ্রিয় ,

স্টিম ফর ট্র্যাডিশন ব্যবহারকারী সকল ছোট বড় ভাই বোন বন্ধুগণ কে জানাই আমার সালাম আসসালামু আলাইকুম এবং অন্যদের প্রতি আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। । বর্তমানে অনেক শীত এবং ঠান্ডা দেশে বিরাজ করছে। কারণ এটা হচ্ছে শীতকালীন ঋতু ।
শীতের সকাল অনেক শীত আর সেই শুতকে অপেক্ষা করেও আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।
আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ছোট-বড় সকলেরই দোয়া এবং ভালোবাসায় আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে

.
নিয়ে কিছু আলোচনা উপস্থাপন করব।

.

আজ অনেকদিন পর গ্রামে ঘুরতে বের হলাম। শেষ বিকেলে আকাশটা আজ অনেক সুন্দর ছিল। সেই সাথে অনেক রোদও ছিল আজকে আকাশে। আজকে এত সুন্দর আকাশটা মনে হচ্ছিল যে খুব হাসছে এবং খুব উজ্জ্বল ছিল। কারণ আমি যে আজ গ্রামের ঘুরতে এসেছি
। এসে দেখতে পেলাম যে গ্রাম থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জমি বাড়ি। সেই জমি বাড়িতে কৃষকরা খুব সুন্দরভাবে খুব কষ্ট করে তারা সরিষ লাগিয়েছে। এবং সরিষা লাগার এক থেকে দেড় মাস পর তা গাছের রূপান্তরিত হয়েছে। এখন গাছে অনেক ফুল ধরেছে। এবং খুব সুন্দর একটা কালার চলে এসেছে। আর সেটা হচ্ছে হলুদ রং। আজ মনে হচ্ছে গ্রাম গঞ্জের আকাশে বাতাসে মনে হয়।যে রংধনুর সাতটি রং তার মধ্যে একটি রং হলুদ বর্ণের সেই রং টি আজকে আমার হাতের কাছে এসেছে। কারণ আজকে আমি সরিষা খেতে এসেছি । আর খুব রৌদ্রময় বিকেল বেলা সরিষার তেল রঙে রঙিন হয়েছে।

আর যখন সরিষার ক্ষেত এর ভেতর দিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম তখন মনে হচ্ছে যে আমি এক অচেনা অজানা তোমার দেশে চলে এসেছি। কিন্তু সেটা না কারণ সরিষা, আমার প্রিয় মাতৃ ভূমি দেশ সে উৎপাদিত একটি ফসল। এই সরিষা থেকে আমরা গ্রাম বাংলায় খাঁটি সরিষার তেল ঘানির মাধ্যমে পেয়ে থাকি।

প্রথমে আমরা বেলে দশ মাটি বা ইটেল মাটি ‌ জমি নির্বাচন করি। তারপর সে জমিতে গোবর এবং জৈব সার এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করে থাকি। ঠিক এভাবে বেশ কয়েকদিন জমিতে ফেলে রাখা হয়। তারপর খুব সুন্দর ভাবে সেই জমিতে চাষ করা হয় টিলার অথবা লাঙ্গল দিয়ে ।

তার কিছুদিন পর জমিতে সরিষার বিচ সিটিএ দেওয়া হয় । তারপর বেশ কিছুদিন পর লক্ষ্য করা যায় যে ছোট ছোট গাছ মাটি থেকে বের হচ্ছে। সেই গাছ আস্তে আস্তে বড় হতে লাগে। এভাবেই প্রায় এক দেড় মাস জমির পিছনে শ্রম দিতে লাগে। অনেক জৈব সার এবং রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে লাগে। তারপর সরিষা ধরে। এবং সরিষায় যাতে আবার পোকা ধরতে না পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হয়। এবং তার জন্য ঔষধের সাহায্য এক্সরে মেশিন দিয়ে এক্সরে করতে হয়।
.

তারপর অনেক সময় এবং শ্রম ব্যবহার করে সেই সরিষা ক্ষেত থেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে হয়। তারপর সেই সরিষ াবা কৃষকের দাঁড়ায় মারতে হয়। এবং সরিষা মারাই শেষ ‌ হয়ে গেলে সেই সরিষা আবার হাতে কিংবা বাজারে নিয়ে যেতে হয়। হাটে কিংবা বাজারে বিক্রি করে। অর্থ পাওয়া যায়। সেই অর্থ পেয়ে তারা সুন্দরভাবে নিজের পরিবার পরিজন দেরকে নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করেন।
আমাদের বাংলাদেশে শুধু ধান উৎপাদন হয় এমনটা না। ধানের পাশাপাশি সরিষা উৎপাদন হয়। এবং গম উৎপাদন হয়। যা থেকে কৃষকরা খুব মোটা ধরনের মূলধন পেয়ে থাকে।

বাংলাদেশের কৃষকরা শুধু
ধান চাষ করে এমনটা না। ধানের পাশাপাশি আরো অনেক ফসল তারা উৎপাদন করে থাকে।

তাই আজকে আমি

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সরিষার ক্ষেত্রে কিছু আলোচনা এবং দৃশ্য আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আশা করি আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে
এবং আপনারা খুব যত্ন সহকারে পড়বেন । এবং ভালো ভালো মতামত প্রকাশ কর।

.

.