লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ এখন বিনোদনের স্থান।

in hive-131369 •  last year  (edited)

আচ্ছালামুআলাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা আশাকরি সবাই ভালো আছো। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।

লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ এখন বিনোদনের স্থান।
20200825_170548.jpg20200825_165734.jpg

লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ নামে পরিচিত। এই তিস্তা ব্যারেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৭৯ সালে আর ব্যারেজটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৯০ সালে। ১৯৯০ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এইচ. এম. এরশাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে ব্যারেজটি উদ্বোধন করেন তার পরপরেই শুরু হয় যানবাহন চলাচল কিন্তু ব্রীজটি দিয়ে চলতো হালকা যানবাহন কারণ ব্রীজটির সংযোগ সড়ক গুলো ছিলো কাঁচা এখন পাকারাস্তা হয়েছে। ব্রীজটি দেখতেও অনেক সুন্দর ব্যারেজটিতে রয়েছে ৫২ টি গেট। এই গেট গুলো দিয়ে নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করে বর্ষা মৌসুমে গেট গুলো খুলে দেয় আবার খড়া এর মৌসুমে গেট গুলো বন্ধ করে দেয় তার কারণ এই পানি দিয়ে লালমনিরহাট জেলার ও নীলফামারি জেলার কৃষকরা ইরি ধান চাষে সেচ দেয়।

20200825_170240.jpg

এখানে দেখার মতো কিছু জিনিস আছে। এখানে একটা রেস্টহাউস আছে যেটার নাম দিয়েছে অবসর, আর আছে কন্ট্রোলরুম। এই কন্ট্রোলরুম থেকে ব্যারেজর ৫২ টা গেটে উঠা নামা করা হয় কন্ট্রোলরুমেট ভিতরে ছবি তোলা নিষেধ। আরও আছে পিকনিক স্টপ, নদীতে ঘোরাঘুরি করার জন্য আছে স্পিডবোট। ব্রীজে আছে সুন্দর ল্যাম্পপোস্ট।

20210202_124219.jpg

এখানে সবসময় ঘুরতে আসা মানুষের ভিড় থাকে। বিশেষ কিছু সময়ে মানুষের ভিড় অনেক বেশি হয়। যেমন ছুটির দিনে, দুই ঈদে, পহেলাবৈশাখ, দুর্গাপূজা, ইত্যাদি এই সময় গুলোতে ব্যারেজ এলাকায় যাওয়াই যায় না মানুষের ভিড় কারণে৷

20200825_165734.jpg20210202_122127.jpg

প্রিয় বন্ধুরা আমি ব্যারেজ সম্পর্কে তেমন কিছু জানিনা যতটুকু জানি তাই লিখলাম।


Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ
@mazadul

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

২০১৭ সালে আমি এই তিস্তা ব্যারেজে গিয়েছিলাম। ঈদের সময় গিয়েছিলাম বলে অনেক মানুষের ভীড় ছিলো। অনেক সুন্দর একটি জায়গা। উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে এখন এটি অন্যতম একটি বিনোদন কেন্দ্র। বর্তমানে অনেক পানি আছে। এখন বেড়াতে গেলে সুন্দর ভিউ পাওয়া যাবে। সুন্দর সব ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ এরকম একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

লালমনিরহাটে অবস্থিত এই তিস্তা ব্যারেজ নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আমি প্রায় আট থেকে নয় বছর আগে এ তিস্তা ব্যারেজে আমার মামার সাথে গিয়েছিলাম। জায়গাটা আসলেই কেমন সে নিয়ে তেমন কিছুই মনে পড়ে না এখন। তবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে পুনরায় জায়গাটি অনেকদিন পর একটু দেখতে পেলাম। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু।

DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300+ Words

Regards
@sohanurrahman (Moderator)
Steem For Tradition

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

তিস্তা ব্যারেজ আমার কখনো যাওয়া হয়নি। জায়গাটি এতো সুন্দর আগে আমি জানতাম না। ৫২ টি গেট দিয়ে পানি যাওয়ার সৌন্দর্যটাই আলাদা রকমের ভাই। আপনি তিস্তা ব্যারেজের সকল তত্ত্ব দিয়েছেন। ছবি গুলো অনেক সুন্দর তুলেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাই।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

তিস্তা ব্যারেজে আমি কখনো যাইনি।টিভিতে দু'একবার দেখেছিলাম। কিন্তু আপনার পোস্টের ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে জায়গাটা অনেক সুন্দর। সেই সাথে ব্রিজটা ওঅনেক সুন্দর।আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে না দেখা সৌন্দর্যগুলো আমরা উপভোগ করতে পারলাম, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

লালমনিহাট জেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ আমারও কখনো যাওয়া হয়নি, শুনেছি অসাধারণ একটা জায়গা। তবে এই জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে আমার। এখানে দর্শনার্থীদের অনেক ভিড় থাকে। আপনি অনেক তথ্য শেয়ার করেছেন ভাই। অনেক ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে যাওয়ার ইচ্ছা আরো বেড়ে গেলো। আশা করি অতি শীঘ্রই আমরা বন্ধুরা মিলে চলে যাবো।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

তিস্তা ব্যারেজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।ব্যারেজটিতে ৫২টা গেট এটা জানা ছিলোনা।অনেক সুন্দর করে বিস্তারিত লিখে তথ্য দিয়েছেন।আপনার ছবি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।শুভ কামনা রইলো।ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু।

image.png

ওয়াও দারুণ ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি।

তিস্তা ব্রীজ সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। এবং আমার অজানা কিছু তত্ত্ব জানতে পেড়ে খুবই ভালো লাগলো। তিস্তা ব্রীজ আমি অনেক আগে একবার গিয়েছিলাম। তখন তেমন একটা উন্নত ছিলো না। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে এখন আগের থেকে বেশি সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Loading...

আপনার পোস্টটি পড়ে তিস্তা ব্যারেজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। এটি বাংলাদেশের সবথেকে বড় সেচ প্রকল্প। এর এক পাশে রয়েছে লালমনিরহাট জেলা আর অপর পাশে রয়েছে হাতীবান্ধা জেলা। অর্থাৎ এটি দুইটি জেলার সীমানার মধ্যে অবস্থিত। ডালিয়ায় অনেকেই ঘুরতে যায়। তিস্তা ব্যারেজের মাধ্যমে বহু জমিতে পানি সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া এখানে অবসর নামে একটি রেস্ট হাউস রয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।