ঐতিহ্যবাহী মাটির ফুলদানি

in hive-131369 •  last year 

সোমবার,
তারিখঃ ০৪-০৯-২০২৩,

আসসালামু আলাইকুম,

বন্ধুরা সবাই কেমন আছো আশা করি সবাই ভাল আছো আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজ আমি মাটির তৈরি শোপিস নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি সবার ভালো লাগবে।

GridArt_20230904_121740815.jpg

আমাদের পূর্ব পুরুষেরা মাটির তৈরি জিনিসেই বেশি ব্যবহার করত। মাটির তৈরি ফুলদানি দেখতেও যেমন সুন্দর ঘরে ফুল দিয়ে সাজিয়ে রাখলে আরো সুন্দর লাগে। আমরা জানি সেই প্রাচীন যুগ থেকে মাটির জিনিস তৈরি করে কুমার। মাটির তৈরি জিনিসের মধ্যে রয়েছে মাটির তৈরি গ্রামের ভাষায় বলে হীরা মাটির তৈরি ফুলের টপ মাটির তৈরি ফুলদানি।

IMG-20230904-WA0005.jpgIMG-20230904-WA0006.jpg

আমাদের পূর্বপুরুষেরা মাটির তৈরি হীরাতে রাখতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ধান, চাল, আঠা ইত্যাদি রাখতো। কুমারেরা অনেক কষ্ট করে মাটির জিনিস তৈরি করে গ্রামে গঞ্জে ফেরি করে বিক্রি করতো । এখন আর গ্রামে কুমারদেরকে ফেরি করতে দেখা যায় না। এখন শুধু কুমাররা মাটির জিনিস বানায় আর পাইকারি বিক্রি করে।

IMG-20230904-WA0003.jpgIMG-20230904-WA0004.jpg

শহর থেকে ব্যবসায়ীরা গিয়ে পাইকারি কিনে নিয়ে আসে বিক্রি করে। অনেকে এখন মাটির ফুলদানি রং দিয়ে নকশা করে সুন্দর সুন্দর ডিজাইন তৈরি করে দেখতে অনেক সুন্দর হয়। মাটির তৈরি ফুলদানি সুন্দর সুন্দর নকশা কারণে এখন সবাই কিনে।এখন কম বেশি সবাইরে বাসায় মাটির ফুলদানি দেখতে পাওয়া যায়। কারণ মাটির জিনিসের দামও কম দেখতেও সুন্দর খুব সহজে বহন করা যায়। মাটির তৈরি ফুলদানির একটা খারাপ দিক হচ্ছে এটা অল্প একটু আঘাত পেলেই ভেঙ্গে যায় তাই মাটির ফুলদানিকে খুব যত্ন করে রাখতে হয়।

IMG-20230904-WA0001.jpgIMG-20230904-WA0002.jpg

মাটির তৈরি ফুলদানি এখন সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায় যেমনঃ বড় বড় অফিসে, শোরুমে, ডাক্তারের চেম্বারে, দোকানে, বাসা, বাড়িতে ও পার্কে ইত্যাদি জায়গায় দেখা যায়। বিশেষ করে সৌখিন মানুষরা সুন্দর সুন্দর মাটির ফুলদানি কিনে সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল সাজিয়ে বাসায় রাখে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য। মাটির তৈরি জিনিস এখন শহরে বেশি চোখে পড়ে শহরের মানুষেরা বাসা সাজানো কাজে এসব ব্যবহার।

IMG-20230904-WA0000.jpgIMG-20230904-WA0007.jpg

ধন্যবাদ,
@mazadul

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

প্রাচীনকাল থেকে আমাদের দেশে মাটির তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র ব্যবহার হয়ে আসে। মাটির বানানো ফুলদানির চাহিদা এখনো একটুও কমেনি। মাটির ফুলদানি গুলোর মধ্য বিভিন্ন নকশা করলে সবথেকে বেশি সুন্দর লাগে। আমার কাছে মাটির বানানো ফুলদানিতে করে ফুলের গাছ সংগ্রহ করাই সবথেকে বেশি ভালো লাগে।

ঐতিহ্যবাহী মাটির ফুলদানি নিয়ে আপনি দারুন লিখেছেন। এই ধরনের ফুলদানি গুলো ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। গ্রামের মেলায় এ ধরনের ফুলদানি গুলো বেশি পাওয়া যায়। এগুলো ঘরের যে কোন কর্নারে রাখলেই খুবই সুন্দর লাগে। আপনাদের এলাকায় মাটির টবকে যে হীরা মাটির টব বলে তা আমার জানা ছিল না। আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা মাটির তৈরি জিনিসই বেশি ব্যবহার করতেন। কারণ তখন তারা প্রকৃতি থেকে পাওয়া উপাদানই ব্যবহার করতেন। তবে এখন মাটির পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের মেটাল পাওয়া যায়। তবে মাটির টব গুলোর চাহিদা সারা জীবনই থাকবে। কুমোরেরা এ ধরনের টব কঠোর পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করে থাকেন। মেলায় এ ধরনের টব বিক্রি হয়ে থাকে। তবে ফুলের টবের বিভিন্ন ধরনের স্থায়ী দোকান দেখা যায়। এই মাটির তৈরি টবগুলোর চাহিদা বেড়েই চলছে। ধন্যবাদ আপনার ঐতিহ্য মূলক পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ।

মাটির ফুলদানি নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন। এইসব মাটির তৈরি ফুলদানি ব্রিটিশ আমল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে আস্তে আস্তে বর্তমানে এগুলোর ব্যবহার কমে যাচ্ছে এবং প্লাস্টিকের ফুলদানির ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই মাটির ফুলদানিগুলো এখনো বিশেষ বিশেষ স্থানে সজ্জিত আছে।

ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ফুলদানি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন। এরকম মাটির তৈরি জিনিসপত্র আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। তবে এই ফুলদানি গুলো শহর গ্রাম সবখানেই দেখা যায়। আপনি ঠিকই বলেছেন অফিস, আদালতে, ডাক্তারের চেম্বারে, বাসা বাড়িতে, ইত্যাদি জায়গা গুলোতে এই ফুলদানি গুলো দেখা যায়। এবং পোস্টি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া

মাটির ফুলদানি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি। আসলে কুমাররা তাদের হাত দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করে মাটির সাহায্যে। এবং আপনি ঠিক বলেছেন এইসব মাটির জিনিসপত্র আগে ব্যাপক চাহিদা ছিল এবং আগের মানুষরা এগুলো মাটির তৈরি জিনিসপত্র বেশি ব্যবহার করতো কিন্তু এখন এর প্রচলন একেবারে নেই বললেই চলে। কারণটা হলো এর চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে শেয়ার করার জন্য

ধন্যবাদ।

image.png

মাটির তৈরি ফুলদানি গুলো দেখতে বেশ সুন্দর আর ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে বহুগন।মাটির তৈরি ফুলদানি কম বেশি প্রতিটি বাড়িতেই আছে। আর ফুলদানি গুলো ঘরের যেকোন জায়গায় টেবিলের উপর রাখলে ভাল দেখা যায়। কিন্তু এই ফুলদানি শহরেই বেশি দেখা যায়। ফুলদানি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই।

মাটির তৈরি ফুলদানি গুলো দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।তবে এই মাটির তেরি ফুলদানী গুলো আমাদের দেশে তেমন একটা চাহিদা না থাকলে ও বাইরের দেশে এদের কদর অন্য রকম।আর এগুলো দিয়ে ঘর সাজালে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। ঘরেট সৌন্দর্য অনোক বৃদ্ধি পায়।ধন্যবাদ আপনাকে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য

ধন্যবাদ

ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি ফুলদানি নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। মাটির তৈরি এই রকম বিভিন্ন নকশার ফুলদানি অনেকের বাড়িতে আছে। মাটির তৈরি শোপিস ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমাদের বাসায় ও মাটির তৈরি শোপিস রয়েছে। এই শোপিস গুলো মেলায় গেলে কম দামে পাওয়া যায়।

ফুল ও ফুলদানি ঘরের সৌন্দর্য অনেক গুণে বাড়িয়ে দেয়। ফুলদানি গুলো অনেক সুন্দর তবে, ফুলগুলো অনেক ময়লা হয়ে গেছে এগুলো পরিষ্কার করতে হবে।ফুলদানি সম্পর্কে অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। সুন্দর উপস্থাপনার সাথে পোস্টটি খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ঐতিহ্যবাহী মাটির ফুলদানি ঘর সাজানোর অনেক সুন্দর একটি মাধ্যাম। মাটির ফুলদানি কুমারেরা বানিয়ে থাকে। কুমার খুব যত্ন করে নিপুন হাতে ফুলদানি তৈরি করে। কুমার মাটি দিয়েই ফুলদানি তৈরি করে। কুমার প্রথমে এটেল বা চিনা মাটি সংগ্রহ করে তারপর ফুলদানির পাত্র তৈরি করার কার্যক্রম শুরু করে। পাত্র তৈরি হয়ে গেলে সেই পাত্রে নানান রকমের রং করে থাক। রঙের মাধ্যমে পাত্রটি বেশ ফুটিয়ে তোলে। এই কাজে কুমারের অনেক কষ্ট লুকিয়ে থাকে । কারণ তারা কাজ হিসাবেও তাদের ন্যায্য মূল্যটা পেয়ে থাকে না। তবে ফুলদানি খুবই জনপ্রিয় গৃহিণীদের কাছে। ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা অপরিসীম।বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সুন্দর দেখতে দিতে এই মাটির ফুলদানি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মাটির ফুলদানি গ্রামের তুলনায় শহরে চাহিদা বেশি কারণ প্রত্যেকটা বাসায় এই এই ফুলদানি পাওয়া যায়। মাটির ফুলদানির চাহিদার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাজার অনেক দোকান গড়ে উঠেছে। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

মাটির তৈরি সবার বাসায় আছে বলে আমি মনে করি কারণ এটা একটি ঘর সাজানো শখের জিনিস,আর মেয়েরা ঘর সাজাতে অনেক পছন্দ করে।ঠিকই বলেছেন পূর্ব পুরুষেরা মাটির তৈরি জিনিসেই বেশি ব্যবহার করতো।যা ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।এসব মাটির জিনিস কুমার তৈরি করে অনেক পরিশ্রম করে।আপনি যেমনটা বলেছেন গ্রামের ভাসায় হীরা মাটির তৈরি ফুলের টপ মাটির তৈরি ফুলদানি যা আমি জানতাম না, আজকে নতুন জানলাম।আপনি সুন্দর করে কিছু জায়গার কথা উল্লেখ করেছেন যেখানে মাটির তৈরি ফুলদানি পাওয়া যায়।আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে আপনি বিস্তারিত অনেক কিছু লিখেছেন যা আমার অনেক ভালো লেগেছে।আমার বাসায় অনেক ধরনের অনেক গুলো মাটির ফুলদানি আছে।ঘর সাজাতে আমার অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আপনার ছবি গুলো সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ

দিন যত যাচ্ছে এই মাটির তৈরি ফুলদানি গুলো চাহিদা ততই বাড়তেছে। কারণ এখন মানুষ সবাই সৌন্দর্যের ভক্ত। শহর কিংবা গ্রাম অঞ্চলে মানুষ হোক সবাই চায় নিজের ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে। নিজের ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য শোপিস এবং ফুলদানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাটির তৈরি ফুলদানি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ আপনাকে।

DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300+ Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

IMG-20230413-WA0003.jpg
  ·  last year (edited)