শৈশব কালে ধান ক্ষেতে কাজ করার কিছু সুন্দর মুহূর্ত যা কখনো ভোলার মতো না 🌾🌾

in hive-131369 •  last year 
রোজ শুক্রবার

০৫-০৫-২০২৩

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সবার প্রিয় কমিউনিটিতে আজকে আমি একটা সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকের পোস্টটি আমার কাছে অনেক ইন্টারেস্টিং লেগেছে কারণ আজকে আমি যে বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করব সেটি হলো:---------

🌾🌾কভার ফটো🌾🌾

1683278999882.jpg

শৈশবকালে অল্প মূল্যের কৃষাণী😁😁

একটা মজার বিষয় ছিল আমরা যখন শৈশবকালে বাবা-মা কিংবা কৃষকদের সাথে জমিতে ধান কাটতাম। তখন আমাদের হাতেও একটা কাঁস্তে ছিলো যা দিয়ে আমরাও ধান কাটতাম। অল্প একটু করে ধান কাটতাম এবং ছায়ায় গিয়ে বিশ্রাম করতাম পানি খেতাম আবার আসতাম জমি বাড়িতে ধান কাটার জন্য।

Screenshot_2023-04-18-20-32-13-36_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

ধান কাটার পর সেগুলো জমি থেকে নিয়ে এসে রাস্তায় রাখতাম আবার সেগুলো পাওয়ার ট্রিলারে করে বাড়ি নিয়ে আসতো। কৃষকেরা ভারে করে ১৬ থেকে ২০ গোন্ডা করে ধানের আঁটি নিতো। আর শৈশব কালের অল্প মূল্যের কৃষকেরা লম্বা একটি বাঁশে দুই সাইডে দুইটি করে চারটি নিয়ে আসে আবার কিছু কিছু বাচ্চাদের দেখা যায় মাথার উপরে একটি করে আঁটি নিয়ে ছুটে চলেছে রাস্তার দিকে কিংবা বাড়ির দিকে। আসলে বাচ্চারা শিখে বড়দের কাছ থেকে।

IMG_20230505_161622.jpg

বাচ্চাদের একটা বিষয়ে খুব ভালো লাগে তারা নতুন কিছু করতে অনেক ভালোবাসে। বাচ্চারা বলবে আমাদের দশ টাকা লাগবে তারপর আমরা কাজ করবো আসলে তখন তারাও বুঝে নিজেদের স্বার্থ। আমি যখন ছোটবেলায় নানা বাড়িতে নানা এবং মামার সাথে ধান কাটতে গেছিলাম তখন নানা আমাকে আঁটি বাধার জন্য শোটা করে দিতো। আমিও ধান কেটে কেটে সেই কারণে রাখতাম। ধান কাটার কিছুক্ষন পর নানি নিয়ে আসে রুটি এবং পানি নাস্তা করার জন্য কারণ আমরা ভোরবেলা জমি বাড়িতে যাই। নাস্তা করার পর আবার ধান কেটে ধান কাটার উদ্দেশ্যে নেমে পড়ি।

Screenshot_2023-04-18-20-32-13-36_40deb401b9ffe8e1df2f1cc5ba480b12.jpg

যখন আযান দেয় অর্থাৎ দুপুরবেলা ভাত নিয়ে আসে আমরা জমিতে যেখানে ছায়া সেখানে বসে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি। আসলে বিষয়টা অনেক মজার বাহিরে জমি বাড়িতে খেতে অনেক মজা লাগে। আমাদের নানা বাড়ির জমিগুলো বাড়ির কাছেই তাই কাঁধে করে এবং ভারে করে নিয়ে আসা হতো। তখন আমি ছোট্ট একটি লাঠির দুই প্রান্তের একটি একটি করে ধানের আঁটি নিতাম। তেমনি আজ আমার চোখে পড়ল এই ছোট ছোট বালকদের আঁটি বহন করার দৃশ্য। আমি তাদের দেখে যখন ছবি তুলতে যাই তখন তারা আমাকে দেখে অনেকটাই লজ্জায় পড়ে যায়। যাই হোক আমি তাদেরকে উৎসাহ প্রদান করলাম তো ঠিক আছে এখন দুইটা নিছো এরপরে তিনটা। তারপরে লক্ষ্য করলাম তারা জমির পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এদিকে পড়ে যাচ্ছে ওদিকে পড়ে যাচ্ছে কারণ বাসটা অনেক পিচ্ছিল।

IMG_20230505_160428.jpg

আমার মতে

প্রত্যেকটা বাচ্চাকে ছোট থেকে কিছু কিছু শিক্ষা দিতে হবে যার মাধ্যমে তারা বুঝতে পারবে বাস্তবতা। তাদের সাথে ভদ্রভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং তাদের ছোটখাটো কাজে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। ছোটখাটো উৎসাহ প্রদান করলে তারা আনন্দিত হয় এবং অন্যান্য কাজের প্রতি ইচ্ছা প্রকাশ করে।

ডিভাইসরিয়ালমি ছি১৫
ফটোগ্রাফার@mdparvaj
লোকেশনপার্বতীর,জমিরহাট

🙋‍♂️আমার পরিচয়🙋‍♂️

আমার নাম মোঃ পারভেজ আকতার, আমার স্টিমিট ইউজার আইডির নাম @mdparvaj. আমি পড়ালেখার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি দিনাজপুর জেলায় পার্বতীপুর থানায় জমিরহাট তোকেয়াপাড়ায় বসবাস করি। আমি খেলাধুলা এবং ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।


Vote for @bangla.witness

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ধান নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি অনেক ভাল ছিল। তবে গ্রামাঞ্চলে ধান কেউ কেউ বাঁশের তৈরি ভারে করে নিয়ে যায়।আমাদের এইদিকে মাথা করে নিয়ে য়াওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে না।

না ভাই ভারে করে আমরাও নিয়ে আসি। কিন্তু বাচ্ছাদের ব্যাপারে মাথায় নিয়ে আসার কথা বলছি।

Loading...

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। বাংলাদেশে প্রধানত দুই মৌসুমে ধান চাষাবাদ করা হয়। একটি ইরি আরেকটি আমন।এখন যেহেতু ইরি মৌসুম সবখানেই ধান কাটা মারা শুরু হয়ে গেছে। আপনার পোস্ট দেখে শৈশবের কথা মনে গেল।আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল।

ধন্যবাদ ভাই

ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে গিয়ে একবার ধান কাটতে গিয়েছিলাম। তখন আমার পা কেটে ফেলে ছিলাম। এখনো পায়ে কাটা দাগ দেখলে সেই স্মৃতি মনে হয়। দিনগুলো অনেক ভাল ছিল। ছোটবেলায় কাজ করাটা মুখ্য বিষয় ছিলনা, এক ধরনের আনন্দ কাজ করে তখন। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল

ধন্যবাদ ভাই

আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি সবাইকে ছোট থেকে জমিতে কাজ করতে হয়। আর ঐ অভ্যাস টা আমাদের ভিতরে গড়ে ওঠে। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপনি।

ধন্যবাদ ভাই

বর্তমান সময়ে ইরি মৌসুমের ধান কাটা মাড়াই চলতেছে। ছোট ছেলেটার ধান নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটা আসলেই শৈশবের স্মৃতির সাথে জড়িয়ে আছে। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল।

ধন্যবাদ ভাই

ছোটবেলায় ফসল কাটার সময় আমারও এমন অনেক স্মৃতি রয়েছে।আগে বাড়িতে ধান আসলে আমরা উঠান ঝাড়ু দিতাম,ধানে পা দিতাম।মাঠে বাবার জন্য ভাত নিয়ে যেতাম।আসলেই ছোটবেলার স্মৃতি গুলো মধুর।আপনি অনেক সুন্দরভাবে আপনার স্মৃতির কথা লিখেছেন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপু

কৃষকদের ফসল কাটার উৎসব শুরু হয়া গেছে। বাচ্চা ছেলেটির ধান কাধে দেখা আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেলো। এই রকম করে আমিও ছোটতে ধান কাধে করে নিয়ে যেতাম।আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন ভাই। ধন্যবাদ

ধন্যবাদ বড় ভাই

ধান কাটার ছবি নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।ধান কাটার দৃশ্য দেখে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

ধন্যবাদ ভাই

অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমিও এই রকম করেছি। ধান বহন করে বাসায় নিয়ে আসতাম। অনেক ভালো লাগতো। সুন্দর একটি পোস্ট। ছবিগুলো অস্থির হয়েছে ভাই।

ধন্যবাদ ভাই

ছোট ছোট বাচ্চারা মাঠ থেকে এভাবে কাধে করে ধান নিয়ে আসছে ঘরে যা দেখে খুব সুন্দর দেখা যাচ্ছে। শৈশবের বাচ্চারা এরকম কাজ করে থাকে আনন্দ করার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ আপি

ধানের কাজের সময় আসলে বাসার ছোট বড় সবাইকে কাজ করতে হয়। তেমনি আমাকেও অনেক কাজ করতে হয় বাড়িতে। কিন্তু এই কাজের মধ্যে অনেক আনান্দ আছে। এই কাজ করার মাধ্যমে আমরা বিনোদন খুজে পাই।

ভাই আপনার পোস্টটি দেখে শৈশবের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। অসাধারণ ফটোগ্রাফিক করেছেন ভাই। পুরা শৈশবের স্মৃতি ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার পোস্ট দেখে সোনালী অতীত মনে পড়ে গেল। ধান আমাদের সোনালী ফসল, এই ফসল ঘরে তুলতে অনেক উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাই

আপনার পোষ্টের মাধ্যমে গ্রামীণ জীবনের একটি বৈচিত্র্যময় অধ্যায় তুলে ধরেছেন আপনি। ছোটবেলায় এরকম ছোট ছোট ভার নিয়ে ধান বাসায় নিয়ে আসার মজাই আলাদা।খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে।