সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তালার অশেষ রহমতে আমিও ভালো আছি। সবার প্রিয় কমিউনিটি কতৃক আয়োজিত মজাদার মাছের রেসেপি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে যাচ্ছি। তাহলে বন্ধুরা চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক:-------

প্রথমে আমরা মাছটাকে ভালোভাবে আঁশ মুক্ত করে নিবো। তারপর মাছটাকে সুন্দর ভাবে পরিস্কার করে পিচ পিচ করে কেঁটে নিবো।

আদা, রশুন, মরিচ, পেয়াজ সুন্দরভাবে কুচি কুচি করে কেঁটে নিবো। তারপর সেগুলোকে ভালোভাবে মিহি করে বেটে নিবো

পরিমান মতো মাছে হলুদ দিতে হবে। বেশি হলুদ ব্যবহার করলে তরকারির সাধ নষ্ট হয়ে যাবে।

যেহেতু দুইটা ছোট মাছ সে অনুযায়ী দেড় চামচ গরম মসলার গুঁড়া দিতে হবে। গরম মসলা সাধারণত তরকারির সাধ বাড়ায় এবং আমাদের খাওয়ার রুচি বাড়ায়।

পরিমান মতো লবন দিতে হবে যাতে করে লবন বেশি না হয়। তরকারি হওয়ার আগে লবন চেকে নিবো, লমন কম বেশি হলে আবারো লবন দিয়ে নিবো।

পরিমান মতো আমরা মাছের উপর তেল দিয়ে নিবো। তেল বেশি দিলেও সমস্যা কম দিলেও সমস্যা। তাই কম দেওয়ায় ভালো পরে আবার তেল যোগ করাও যাবে।

এবারে আদা রশুন মরিচ পেয়াজ বাটা গুলো মাছের উপর দিবো। আবারো পুনরায় মেখে নিয়ে পানি ঢেলে দিবো।

তারপর চুলায় আগুন দিয়ে ১০-১৫ মিনিট সিদ্ধ করে নিতে হবে।

১৫-২০ মিনিট যাওয়ার পর লবন, ঝাল, হলুদ চেক করে নিবো। সব যদি পরিমান মতো থাকে তাহলে চুলা থেকে মাছের কড়াই নামিয়ে নিবো।

আমরা মাছে ভাতে বাঙালী। আমাদের দেশের হাওর-বাওড়, নদী-নালা, খাল-বিল,পুকুর-ডোবায় চাহিদা মতো মাছ সংগ্রহ করতে পারতাম। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে কমবেশি সারাবছর পানি থাকতো। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের গরমের সময় বৃষ্টিপাত হয়না যার কারনে আমারা মাছে ভাতে বাঙালী মাছ ক্রয় করে খাইতে হয়। এখন বাংলাদেশের যা অবস্থা মাছে ভাতে বাঙালী বলতেও লজ্জাবোধ করি। আমার কাছে বাঙালি মানে আলু ভাতে বাঙালী।

তো বন্ধরা এই ছিলো আমার আজকের প্রতিযোতিতা মূলক পোস্ট। সকলের সুস্বাস্থ এবং মঙ্গল কামনা করি সবাই ভালো থাকবেন।

আমার নাম মোঃ পারভেজ আকতার, আমার স্টিমিট ইউজার আইডির নাম @mdparvaj. আমি পড়ালেখার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি দিনাজপুর জেলায় পার্বতীপুর থানায় জমিরহাট তোকেয়াপাড়ায় বসবাস করি। আমি খেলাধুলা এবং ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।