গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য - খরের পালা

in hive-131369 •  2 years ago  (edited)

গ্রামের ঐতিহ্যবাহী "খরের পালা"
( পোয়ালের স্তুপ )

আামদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশে অর্থনীতির সিংহ ভাগই বহন করে কৃষি। কৃষি এ দেশের প্রাণ। আমাদের দেশের কৃষকেরা চাষা বাদের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের গরু লালনপালন করে। গরুর প্রধান খাদ্য হিসেবে পুয়াল(পোয়াল) কে বিবেচনা করা হয়। সারা বছর গরুর খাদ্য হিসেবে এই খরের পালা দেওয়া হয়। আমাদের গ্রাম অঞ্চল গুলোতে এগুলো এখনো খুঁজে পাওয়া যায়। গ্রামের প্রায় প্রতিটি গৃহস্ত পরিবারে একটি কিংবা দুইটি খরের পালা থাকেই। কৃষকেরা নবান্নের সময় তোলা ধানের গাছ গুলোই মূলাত পোয়াল বা খর। আঁটি বেঁধে ধান গুলো মাঠথেকে তুলে এনে মারাই করার পর তা থেকে ধান গুলোকে আলাদা করা হয়। এটাকে বলা হয় ধান মারাই। ধান মারাইয়ের পর যে ধান ব্যাতিত যে অংশটি থাকে তাই পোয়াল বা খড়। অতীতে খরের পালা দেওয়ার জন্য ধানের গাছ বা খর গুলো গরু, মহিষ বা ঘোড়া দিয়ে পিষ্ট করে নরম করার পর তা পাহাড়ের মতো স্তুপ করে বাড়ির উঠানে এক পার্শে রাখা হতো। তাকেই মূলত আঞ্চলিক ভাষায় খরের পালা বলা হয়। কালের বিবর্তনে আজকে গরু, মহিষ এবং ঘোড়ার জন্য আধুনিক ঘাস আবিষ্কৃত হয়েছে। কিন্তু আমাদের পূর্ব পুরুষেরা অতীতে এ ভাবে গৃহপালিত পশুর খাবার সঞ্চয় করে রাখত। তবে আজকাল আধুনিক খাবারের কাছে আমাদের এই পোয়াল মূল্যহীন। তবুও গ্রাম অঞ্চলে গৃহপালিত পশুর প্রধান খাদ্য হিসেবে পোয়ালই ব্যাবহৃত হয়ে আসছে।

গৃহে পালিত পশুদের খাদ্য আগে এ ভাবােই সংরক্ষণ করা হত। আমাদের বাসা গ্রামে, আমাদের বাসায় এখনো প্রতি নবান্নে নতুন করে পোয়ালের স্তুপ দেওয়া হয়। তবে ছোটো বেলায় দেখেছি, গরু কিংবা মহিষ দিয়ে পোয়াল গুলো নরম করা হত কিন্তু বর্তমানে আধুনিক ধান মারাই করার মেশিন দ্বারা খুব সহজেই এই পোয়ালের পাহার বা পোয়ালের স্তুপ দেওয়া সম্ভব। তবে এখনো পোয়ালের পালা দেওয়া হয় তবে সেটা আমাদের ততীত ঐতিহ্যের মতো করে করা হয় না। আধুনিকতার ছোয়ায় আসতে বসতে হয়তো এগুলো একসময় হারিয়ে যাবে।

আমাদের গ্রাম অঞ্চলের লোকজন এটাকে সহজে চিনলেও শহরের লোকজন এটার নাম হয়ত খুব কয়ই শুনেছ। তবে এটা যে তাদের দাদার পূর্বের অতীতের ঐতিহ্যকে ধারণ করে রেখেছে তা হয় ত তাদের জানা নেই। আধুনি কতার ছোয়া এখন সব স্থানে লেগেছে। তাই তো পোয়লের পালা দেওয়ার পদ্ধতিও পরিবর্তন হয়েছ। কিন্তু আতীতের ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতি খুব কম লোকজনই জানে। তবে এক সময় দেখায় যাবে এগুলোর কনো চিহ্নই নেই। তাই আমাদের সকলের উচিত অতীতের ঐতিহ্য গুলোকে স্মরণ করা এবং সেগুলোকে সংরক্ষণ করার চেষ্টা করা।


Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ
@naeem0

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে এই খরের পালা আছে। ইরির সময় কৃষকরা ধান কেটে তা মাড়ার পর যে খর হয় তা রোদে শুকিয়ে পালা দেওয়া হয়। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।

খড়ের পালা হচ্ছে গ্রামের ধান মাড়াই এর পরের আসল সৌন্দর্য। রৌদ্রে শুকিয়ে সব খড় একত্রে রেখে এ পালা করা হয়। অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ

Thanks

খড় মারাই করে এসব বড় বড় খড়ের পুঞ্জ দেওয়া হয়।খড় আমাদের অনেক কাজে লাগে।খড় গৃহপালিত পশুর খাবারের জন্য সঞ্চয় করে রাখা হয়।আপনাকে ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

ধন্যবাদ।

CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

খরের পালা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।গ্রাম অঞ্চলে গরু পালন করতে গেলে খরের প্রয়োজন হয়। গ্রামঅঞ্চলে খরকে আমরা খেড় বলে থাকি। খরের পালা নিয়ে অনেক সুন্দর করে পোস্ট লিখেছেন।সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

Thanks

আমাদের গ্রাম অঞ্চলের লোকজন এটাকে সহজে চিনলেও শহরের লোকজন এটার নাম হয়ত খুব কয়ই শুনেছ।

হ্যা, এখনকার শহরের ছেলেরা এর নাম বলতে পারবে না৷ এটাকে চিনেই না বলতে গেলে৷ তোমার পোস্টে কিছু বানান ভুল আছে। পোস্ট করার সময় একবার চেকিং করবা তারপর পোস্ট করবা।

Ok

গ্রামীণ জীবনের সাথে খড় এর ব্যবহার দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে হয়ে থাকে ।বিশেষ করে জ্বালানি হিসেবে খড় ব্যবহার করা এবং গরু পালনের জন্য খড় এভাবে পালা করে রাখা হয়। গ্রামীণ জীবনের একটি সুন্দর ঐতিহ্য আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ। আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের প্রতীক হচ্ছে পোয়াল পুঞ্জ ( পুয়ালের স্তুপ).। এগুলো এখনো গ্রামীণ ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।

কিছুদিন আগে আমরাধান মাড়াই করে খড় গুলো রোদে শুকিয়ে সব খড় একত্র করে পালা দিয়েছিলাম। পালা দিতে অনেক মজা লাগে এই কাজটা আমার অনেক ভালো লাগে। এই খরগুলো গ্রামের মানুষ গরুর লালন পালন করে তাদেরকে খাওয়ায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।

Thanks

খড়ের পালা গ্রামের এলাকায় প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। ধান মাড়াই করার পর এই খর এভাবে রাখা হয়।খর গরুর খাবার ও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

সত্যি আপনার পোস্ট অনেক সুন্দর হয়েছে ভাই।এই রকম ভাবে পালা দিতে অনেক মজা লাগে আমার।গ্রাম অঞ্চলে গরু পালন করতে গেলে খরের প্রয়োজন হয়। সে জন্য গ্রামের মানুষরা এমন ভাবে খড়ের পালা দিয়ে রাখে আর আপনার পোস্ট পড়ে গ্রামের অনেক কিছুই জানতে পারলাম ভাই এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য ধন্যবাদ

ধন্যবাদ।

ধান কাটা শেষ হওয়ার পরে খড়গুলো শুকিয়ে পালা করে রাখা হয়। গ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতে এরকম দৃশ্য দেখা যায়। গত কয়েক মাস আগে আমি এরকম খড়ের পালার মধ্যে আগুন লাগতে দেখেছিলাম। ভালো লিখেছেন ভাই।

Thanks

আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এই রকম খরের পালা অনেক আছে, খরের পালা গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে, আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন খরের পালা নিয়ে, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

Thanks

আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। আমাদের দেশ অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকলেও মাঠে মাঠে সোনার ধান ফলে। এই ধান আমরা বাজারজাত করি তবে খড় গুলো গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

এগুলোই আমাদের অতীত ঐতিহ্য।

খড়ের পালা বা এগুলোকে আমরা গ্রামীণ ভাষায় বলি খড়ের পুন্জ। মূলত গৃহপালিত পশুর খাবার খড়ের যোগান দিতে ও অনেকদিন ধরে সংরক্ষণ করে রাখার জন্য এসব খড়ের পালা তৈরি করা হয়। ধন্যবাদ ভাই একটি পোস্ট করার জন্য।

আপনাকেও ধন্যবাদ।

আপনাকেও ধন্যবাদ।