Steem For Tradition এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।Steem For Tradition আজকের contest হচ্ছে "ঐতিহ্যবাহী স্থান ভ্রমণ"। আজকে আমি আমার ঐতিহ্যবাহী স্থান ভ্রমণ সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরব।

চলুন শুরু করা যাক,

"পাহাড়পুর মহাস্থানগড়"

পাহাড়পুর মহাস্থানগড় বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কমপ্লেক্স।

Location:

কমপ্লেক্সটি ইউনেস্কোর একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং এটিকে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি বৌদ্ধ বিহারের সর্বোত্তম সংরক্ষিত উদাহরণ হিসেবে গণ্য করা হয়।পাহাড়পুর মহাস্থানগড় কমপ্লেক্সটি একটি কেন্দ্রীয় স্তূপ নিয়ে গঠিত যার চারপাশে অনেকগুলি ছোট স্তূপ, মন্দির এবং সন্ন্যাসী কোষ রয়েছে।

Location:

কেন্দ্রীয় স্তূপ হল একটি মনোমুগ্ধকর কাঠামো, যার উচ্চতা 100 ফুটেরও বেশি এবং এতে একাধিক সোপান, কুলুঙ্গি এবং আলংকারিক ছাঁচ রয়েছে। ছোট স্তূপ এবং মন্দিরগুলি কেন্দ্রীয় স্তূপের চারপাশে একটি বৃত্তাকার প্যাটার্নে সাজানো হয়েছে, যা একটি প্রতিসম এবং সুরেলা রচনা তৈরি করে।পাহাড়পুর মহাস্থানগড়ের সন্ন্যাস কক্ষগুলি সরু জানালা ও দরজা সহ ছোট আয়তাকার কক্ষ। এই ঘরগুলি সন্ন্যাসীরা তাদের থাকার ঘর হিসাবে ব্যবহার করত এবং মৌলিক আসবাবপত্র এবং সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সজ্জিত হত।

Location:

ঘরগুলি একটি কেন্দ্রীয় উঠানের চারপাশে একটি গ্রিড প্যাটার্নে সাজানো হয়েছে, যার কেন্দ্রে একটি কূপ রয়েছে যাতে ভিক্ষুদের জন্য জল সরবরাহ করা হয়।পাহাড়পুর মহাস্থানগড় বাংলায় পাল রাজবংশের শাসনামলে খ্রিস্টীয় ৭ম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। কমপ্লেক্সটি বৌদ্ধ শিক্ষা ও সংস্কৃতির একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল এবং সমস্ত অঞ্চলের পণ্ডিত এবং ভিক্ষুদের আকৃষ্ট করেছিল।

Location:

পাহাড়পুর মহাস্থানগড় বাংলাদেশে অবস্থিত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী কমপ্লেক্স। ভিক্ষুক কক্ষটি কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত একটি ছোট চেম্বার যা ভিক্ষুদের কাছ থেকে ভিক্ষা গ্রহণের জায়গা হিসাবে ভিক্ষুরা ব্যবহার করত বলে মনে করা হয়। কক্ষটি কমপ্লেক্সের প্রধান প্রবেশদ্বারের কাছে অবস্থিত এবং অলঙ্কৃত খোদাই এবং রিলিফ দিয়ে সজ্জিত। এটি বৌদ্ধ ঐতিহ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং এটি বাংলাদেশের একটি প্রধান আকর্ষণ হিসেবে বিবেচিত।খ্রিস্টীয় 12 শতকে পরিত্যক্ত না হওয়া পর্যন্ত মঠটি পাঁচ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বৌদ্ধদের কার্যকলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল।আধুনিক যুগে পাহাড়পুর মহাস্থানগড় ব্যাপক প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা ও সংরক্ষণ প্রচেষ্টার বিষয়।
Location:

কমপ্লেক্সটি 1985 সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে মনোনীত হয়েছিল, এবং এটি বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য হয়ে উঠেছে। সাইটটি সারা বছর দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য গর্ব ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস।

Location:

পাহাড়পুর বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলায় অবস্থিত একটি গ্রাম। এটি পাহাড়পুর বৌদ্ধ মঠের আবাসস্থল, যা সোমাপুর মহাবিহার নামেও পরিচিত, যা ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। মঠটি তার ভালভাবে সংরক্ষিত ধ্বংসাবশেষের জন্য পরিচিত এবং ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৌদ্ধ সন্ন্যাস কেন্দ্রগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি 8ম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি শিক্ষার একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল, যেখানে সমগ্র এশিয়া থেকে পণ্ডিত এবং ছাত্ররা সেখানে অধ্যয়ন করতে আসত।