আসসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজকে আমি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা নিয়ে কিছু কথা বলবো। মাটির চুলা কম বেশি সবাই চিনি এবং এই মাটির চুলায় আমরা রান্না বান্ন করি।কিন্তু কালের প্রবাহে হারাতে হচ্ছে মাটির চুলা। বর্তমানে আধুনিক যুগে রান্না কাজে ব্যবহার হচ্ছে গ্যাসের চুলা।আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের মুখের রুচি পাল্টে যাচ্ছে। এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা। দেশ উন্নত হচ্ছে দেশের মানুষ ও উন্নত হচ্ছে। দিন দিন গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলাকালের প্রবাহে হারাতে হচ্ছে মাটির চুলা। বর্তমানে আধুনিক যুগে রান্না কাজে ব্যবহার হচ্ছে গ্যাসের চুলা।আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের মুখের রুচি পাল্টে যাচ্ছে। এর ফলে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা। দেশ উন্নত হচ্ছে দেশের মানুষ ও উন্নত হচ্ছে। দিন দিন গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা।
গ্রামের মানুষ প্রাচীন কাল থেকে গাছের পাতা বা কাঠ ব্যবহার করে এই মাটির চুলায় আগুন জ্বালিয়ে তাদের রান্না করে আসছে। গ্রামের প্রতিটা বাড়িতে মাটির চুলা দেখতে পাওয়া যায়। এটি তৈরি করতে ভালো মানের এঁটেল মাটি প্রয়োজন হয়। প্রথমে মাটি ভেঙে গুড়া করে পানি দিয়ে কাঁদা করা হয়। তারপর গর্ত করে নিচ থেকে উপর পর্যন্ত কাঁদা মাটি দিয়ে ভর্তি করতে হয়। এটি শুকানোর জন্য ৫-৭ দিন সময় লাগে। মাটি শুকিয়ে এলে ছুরি দিয়ে কেটে নির্দিষ্ট আকৃতি দেওয়া হয়। চুলা তৈরির জন্য দক্ষ কারিগরের প্রয়োজন হয়, সবাই চুলা তৈরি করতে পারে না। তবে গ্রামের অনেক মহিলারাই তাদের দক্ষ হাতের নৈপুণ্যে এই চুলা গুলো তৈরি করে থাকেন।
এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় সব গ্রাম বাংলায় এই মাটির চুলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।মানুষ এখনো বুঝতে পারে না যে মাটির চুলার রান্না কেমন স্বাদ,যদি বুঝতে পারতো তাহলে মানুষ এই ভাবে কোনো জিনিস কে ছোট বা হারিয়ে যেতে দিত না।মানুষ এখন খুব অলস হওয়ার কারনে এই মাটির চুলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাসায় এখনো মাটির চুলা আছে আমরা সেই মাটির চুলায় রান্না করি,আর কারো কারো বাসায় মাটির চুলা বলতে কিছুই নাই। আগের মানুষ অনেক কষ্ট করে তারা জীবন যাপন করছে। এখন তো সব মানুষের জীবনে অনেক সুখ, এখন কার মানুষ যদি আগের মানুষের মতো কষ্ট করতো তাহলে এই যুগের মানুষ বুঝতে পারতো।
তবে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য হলো মাটির চুলা, আগের মানুষ সবাই এই মাটির চুলায় রান্না করছে।আর মাটির চুলার রান্নাও বেশ অনেক সুস্বাদু, যখন আমাদের দাদিরা বা চাচিরা এই মাটির চুলায় রান্না করে তখন তাদের রান্না খুব ভালো লাগে। আর এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মাটির চুলা,কম বেশি সবার বাসায় এখন গ্যাস বা ম্যাজিক চুলা আছে। কারন এখন সবার বাসায় ঘরে ঘরে ইলেক্ট্রনিক আছে যার কারনে সবাই ম্যাজিক চুলায় রান্না করে। তবে সামনে আর কি চুলা বের হবে তা বলা যাচ্ছে না।আমি এখানেই শেষ করলাম আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন,,,,আল্লাহ হাফেজ,,,,
You can also vote for @bangla.witness witnesses
গ্রামীণ ঐতিহ্য মাটির চুলা সম্পর্কে আপনি খুব সুন্দর করে লিখেছেন। আদিমকালে মানুষ কাঁচা খাবার খেত।তারপর তারা খাবার পুড়িয়ে খেতে শুরু করল।দেখল যে কাঁচা খাবারের থেকে পোড়া খাবারের স্বাদ বেশি।আর এভাবে ধীরে ধীরে রান্নার প্রচলন শুরু হলো।আর রান্নার প্রয়োজনে চুলাও আবিষ্কার হয়ে গেল। আগের সময়ের মানুষের রান্নার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই মাটির চুলা। কিন্তু বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কালের গর্ভে বিলীন হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা। এই চুলার স্থান দখল করে নিচ্ছে ইলেকট্রনিক চুলা,ন্যাচারাল গ্যাসের চুলা।কিন্তু মাটির চুলায় রান্না করা খাবারের স্বাদই আলাদা। মাটির চুলা সম্পর্কে আপনার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামের রান্নার জন্য আগে সবার বাড়িতে মাটির চুলা পাওয়া যেত। এখনো পাওয়া যায় তবে আগের মতো না। মাটির চুলার রান্নার অনেক স্বাদ। এই মাটির চুলা গ্রামের ঐতিহ্য। এখন গ্যাসের চুলা হওয়ার কারনে মাটির চুলায় সেই রকম ব্যবহার হয় না। আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।এই মাটির চুলা আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। তবে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক চুলা বাহির হওয়ার কারনে মাটির চুলা তেমন একটা ব্যবহার করা হয় না। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামীণ পরিবারের প্রধান রান্নার হাতিয়ার হলো এই চুলা। চুলার রান্নার স্বাধ অনেক বেশি পাওয়া যায়। চুলার তেমন আর গ্রামেও চাহিদা নেই। আধুনিক প্রযুক্তির ভিড়ে আজ বিলুপ্তি প্রায় দারপ্রান্তে। সবাই ইলেকট্রনিক চুলা ব্যবহার করছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রামের মানুষের রান্না করার জন্য একটি ঘর থাকে আর সেটা রান্নাঘর আর এই রান্না ঘরে মাটির চুলায় লাকড়ি বা শুকনো পাতা দিয়ে গ্রামের মানুষ রান্না করে।এটেল মাটি দিয়ে এসব চুলা বানানো হয়। এটি গ্রামের সৌন্দর্য। আপনি অসাধারণ লিখেছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Matir chula dekle gram er kotha mone pore jay. Amra jara town e thaki tara eta dekhi na. Matir cular ranna khub e tasty hoy. Onk vlo ekta post.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আধুনিক যুগে প্রবেশ করে চুলায় রান্না করা এখন আর তেমন দেখা যায় না। চুলায় রান্না করলে রান্নার স্বাদ বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি ঐতিহ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগে আমাদের গ্রামের বাড়িতে মাটির চুলা ছিল রান্নার প্রধান ধাপ। আধুনিক যুগে প্রবেশ করে চুলায় রান্না করা এখন আর তেমন দেখা যায় না। গ্রামের রান্নার জন্য আগে সবার বাড়িতে মাটির চুলা পাওয়া যেত। এখনো পাওয়া যায় তবে আগের মতো না একটু হ্রাস পেয়েছে। মাটির চুলার রান্নার অনেক সুন্দর স্বাদ হয়ে থাকে। এই মাটির চুলা গ্রাম নাংলার ঐতিহ্য।প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার কারণে বর্তমানে আমরা এসব ঐতিহ্য হারিয়ে পেলতে যাচ্ছি।এর বাস্তব উদাহরণ মাটির চুলার রান্না। মাটির চুলায় রান্না যেমন সুস্বাদু তেমনি লোভনীয়। অনেক স্বাধ হয় মাটির চুলার রান্নায়। আদিকালে মানুষ কাঁচা রান্না খেয়ে থাকতো। তারপর তারা দেখলো কাচা না খেয়ে খাবার পুড়িয়ে খেতে আগের থেকে স্বাদ বেশী লাগছে তাই আগুনে পুড়ে খেতে শুরু করল। আর এই এভাবে আস্তে আস্তে মানব সভ্যতার এই দিনে রান্নার প্রচলন শুরু হলো। আর রান্নার প্রয়োজনে চুলাও আবিষ্কার হয়ে গেল। পূর্বের সময়ের মানুষের রান্নার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই মাটির চুলা। বর্তমানে আধুনিকতার ছোয়ায় প্রতি বাসায় রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয় আধুনিক প্রযুক্তি। আপনি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনার জন্য শুভকামনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
মাটির চুলা সত্যিই আমাদের গ্রাম বাংলার অনেক পুরাতন একটি ঐতিহ্য। মাটির চুলার রান্নার স্বাদ অনেক বেশি হয়। অনেক ভালো লিখেছেন ভাই। পোস্ট কোয়ালিটি মোটামুটি ভালো।তবে উন্নতি করার আরো অনেক সুযোগ রয়েছে এবং নতুনত্ব নিয়ে আসেন পোষ্টের মধ্যে।শুভকামনা রইল আপনার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের সাথে আলোচনা করেছেন ভাইয়া।গ্রামের বাড়ি গুলোতে মাটির চুলার ব্যবহার এখনো আছে কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির কারণে ধীরে ধীরে এর ব্যবহার অনেক কমে যাচ্ছে। চুলে রান্না করা রান্নার যে স্বাদ অন্য কোন মাধ্যমে রান্না করা হলে এতটা সুস্বাদু হয় না। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গুছিয়ে চুলা নিয়ে আপনার ব্লক পোস্টে সাজিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit