কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসছে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি চুলা

in hive-131369 •  last year 
আসসালামু আলাইকুম

স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা অবিরাম। সকলেই কেমন আছেন? আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। মাটির তৈরি চুলা গ্রামগঞ্জের মানুষের ঐতিহ্য সাথে মিশে আছে বলা যায়।মাটির তৈরি চুলা গুলো গ্রামাঞ্চলে এখনো প্রচলিত আছে।

IMG-20230507-WA0023.jpg

সাধারণ অর্থে আমরা রান্না করার জন্যে মাটি দিয়ে তৈরি চুলাকে মাটির চুলা বলে।মাটির চুলা গ্রাম-বাংলার রান্নার জন্য মুল ভিত্তি ছিল বটে। আগেকার সময়ে বলতে গেলে প্রাচীনকালে মানুষ কাঠ পুড়িয়ে খেত।এরপর থেকে মানুষ পর্যায়ক্রমে চুলা বানানোর কাজে লিপ্ত হয়।একথায় বলতে গেলে আগে মানুষ প্রথমত চুলা তৈরি করে মাটি দিয়ে। চুলা তৈরির পরে শত শত বছরের পরিবর্তন হয়েছে মানুষের যা চুলা বানাতে সহায়তা করে। তবে মাটির তৈরি চুলায় রান্নার স্বাদ অন্যরকম যা এখন কিছুটা আলাদা। মানুষ মাটির চুলায় রান্না করতে ভুলে গেছে তবে গ্রামঞ্চলে মাটির চুলায় রান্না করে।

IMG-20230507-WA0027.jpgIMG-20230507-WA0026.jpgIMG_20230507_175729.jpg

চুলা তৈরি করতে মাটির প্রয়োজন তবে এঁটেল মাটি ব্যবহার করা হয়। চুলা তৈরি করতে প্রয়োজন সাধারণত প্রথম অবস্থায় মাটি গর্ত করতে হবে।গর্ত করার পর তিন ভাগে মাটি বিভক্ত করা হয়। এরপর মাটির চুলা তৈরি করতে তিনটি স্তম্ভে হাঁড়ি পাতিল বসিয়ে রান্না করা হয়।মাটির চুলা সাধারণত একমুখো,দুমুখো ও তিনমুখো এইভাবে চুলা তৈরি করতে হয়। আর প্রতিটি চুলা জ্বালানি প্রবেশ করার জন্য মুখ থাকে। দুমুখো চুলায় সাধারণত বাড়িতে ধান সিদ্ধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। তিনমুখো চুলায় এক সাথে পাশাপাশি তিনটি ডেকচি বসানো যায়। এই চুলায় লাকড়ি ঢুকানোর দুটি মুখ থাকে। তবে তিনমুখো চুলা খুব কমই চোখে পড়ে তবে কোন বাড়িতে ধান সিদ্ধ করার কাজে এই তিনমুখো চলা প্রয়োজন। কিছু কিছু তোলা চুলা আছে যা এক রকমের চুলা বটে। এই চুলা মুলত একমুখো হয়ে থাকে।

IMG_20230507_175736.jpgIMG_20230507_175729.jpg

মাটির চুলায় সব রকমের জ্বালানি প্রযোজ্য। তবে মাটির চুলায় কাঠ,বাঁশ,খড়কুঠো,গাছের শুকনো পাতা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।মাটির চুলা পুরনো হওয়ায় ১০ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করা হয় অনায়াসে। রান্না ঘরের চুলা যতবেশি পুরনো হয় ততবেশি মাটি পুড়ে লাল হয়।পুরনো চুলা গুলো তাপ ছড়ায় দ্রুত। রান্নার শেষে মাটির চুলায় আগুন নেভাবনোর পরও গরম থাকে ছাই।

4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

IMG_20211213_135300.jpg
আসসালামুআলাইকুম,আমার নাম মোঃ রাহুল । আমার স্টিমিট ইউজার নেম @rahul989। আমি দিনাজপুর জেলার, পার্বতীপুর উপজেলার একজন বাসিন্দা। আমি পড়াশোনা শেষ করছি এখন ব্যবসার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতেছি। আমি ফটোগ্রাফি অনেক ভালবাসি।মাঝে মাঝে সময় পেলে যে কোন ধরনের ফটোগ্রাফি করি। অংকন করতে ভালবাসি এবং তাছাড়া আমি ও নিজেই ভাল ভাল রান্না রেসিপি করি।সকলেই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ ও নিরাপদে থাকবেন।


4i88GgaV8qiFU89taP2MgKXzwntUGAvkoQiKU7VxyD37q94i8e38qvF9HBknYTWLbKs3wg1cbtfZvU44CUYbBqLEEX6YDgQznQURMvBExn7FCAPjAUKLwJ1kpe.png

You can also vote for @bangla.witness witnesses

3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

মাটির তৈরি চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন। আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রান্নার কাজে এই চুলা ব্যবহার করে থাকি। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা।প্রাচীন কাল থেকে এই মাটির চুলা ব্যবহার হয়ে আসতেছে। আগে রান্না করার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই মাটির চুলা।মাটির চুলার রান্না অনেক সুস্বাদু হয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে এই ঐতিহ্যবাহী মাটির চুলা।আপনি মাটির চুলা নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন ভাই। ধন্যবাদ

সকলেরই এই সুপরিচিত মাটির চুলা সম্বন্ধে অনেক কিছুই আলোচনা করেছেন ভাইয়া যা পড়ে আমাকে ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্টে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

মাটির তৈরি চুলা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মাটির চুলা হলো আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। মাটির তৈরি চুলায় রান্না করলে তা সুস্বাদু ও মজাদার হয়।

এক সময় মাটির চুলা ব্যবহার অনেক বেশি দেখা যেত। বর্তমানে অনেক কমে গিয়েছে।বেশিরভাগ বাড়িতেই এখন ইলেকট্রিক চুলা এবং গ্যাসের চুলা ব্যবহার করা হয়। ধান সিদ্ধ করার দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগতেছে।ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল

মাটির তৈরি চুলা নিয়ে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমাদের গ্রামের লোকদের রান্না করার একমাত্র মাধ্যম হলো মাটির তৈরি চুলা। মাটির তৈরি চুলায় রান্না করলে তরকারির মধ্যে অন্য রকম স্বাদ পাওয়া যায়।

মাটির তৈরি চুলা এখন তেমন দেখা যায় না, আগে আমাদের প্রতিটা গ্রাম অঞ্চলে মাটির তৈরি চুলা দেখা যেতো।তবে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় মাটির তৈরি চুলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে, আপনি অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি করছেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

মাটির চুলা নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। মাটির চুলা আমাদের ঐতিহ্য বহন করে, আগের দিনের মানুষ কাঠ পুড়িয়ে খেত এ কথাটি একদম সত্যি বলেছেন। এটেল মাটি দ্বারা চুলা বানানো হয়, মাটির চুলার রান্না অনেক সুস্বাদু হয়। অনেক ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আগে মাটির চুলা ছিল ঘরে ঘরে। কিন্তু প্রযুক্তির প্রসারে এখন ইলেকট্রিক চুলা, গ্যাসের চুলা ঘরে ঘরে। তবে একটি উপকার হয়েছে, যাদের ধোঁয়ায় রান্না করতে কষ্ট হয় তাদের জন্য ইলেকট্রিক চুলা আরামদায়ক।

রান্না ঘরের চুলা যতবেশি পুরনো হয় ততবেশি মাটি পুড়ে লাল হয়।পুরনো চুলা গুলো তাপ ছড়ায় দ্রুত। রান্নার শেষে মাটির চুলায় আগুন নেভাবনোর পরও গরম থাকে ছাই।

লাইনগুলো সুন্দর বলেছেন।

মাটির তৈরি করা চুলা শুধুমাত্র গ্রামে ব্যবহৃত হয়। কেননা শহরে মাটি তো খুজে পাওয়া অনেক মুশকিল। আর মাটির চূলা তো দূরের কথা। মাটির তৈরি চুলায় ধানের সময় এভাবে ধান সিদ্ধ করা হয়।

দিন দিন যেন হারিয়ে যাচ্ছে এসব মাটির চুলা আমাদের কাছ থেক। গ্রাম বাংলার এক অন্যতম ঐতিহ্য হলো এই মাটির চুলা। মাটির চুলা রান্না সব থেকে বেশি ভালো।খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি ভাই ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

আমাদের বাসায় এখনও প্রতিদিন এই মাটির চুলায় রান্না হয়ে থাকে। ধান ভাপার জন্য মাটির চুলা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যম আমাদের দেশে নাই।গ্রাম অঞ্চলের একমাত্র সম্বল ওই মাটির চুলা । আপনি মাটির বানানো ঐতিহ্যবাহী চুলা নিয়ে অনেক সুন্দর লিখেছেন।

মাটির তৈরি চুলা গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্য বহন করে।মাটির তৈরি চুলা রান্নার স্বাদ অন্যরকম।তবে মাটির তৈরি চুলা গ্রামগঞ্জের ধান সিদ্ধ করে। আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগল ভাই।