রমজান উপলক্ষে রাস্তার ধারে ইফতারের দোকান

in hive-131369 •  2 years ago 

স্টিম ফর ট্রেডিশন


সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি @rahulkazi, #bangladesh. থেকে।

Blue Sea Photocentric Thank You Follower Facebook Post.png

ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে।

রমজান উপলক্ষে রাস্তার ধারে ইফতারের দোকান।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPgGed8pU4cH2rA8Hx16HqG9PMWGnM3gfjBmGCHeMt4UCtucTcrF7jmweXEpitrkM5o7Ka2gDojhT36rGg...Fx9wg6WUb5ejzqWUBqpBKiA2y7re32cBUTqU7ofQL67evTq1REgbByXj7Asx7nJbFjm8HNBCUTP9MYtRkUtcV4Bp9AotapzRgntKKd2PJdU3zrH4oAwouB99Qr.png


রমজান মাস হল মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র মাস।রমজান মাস হল একটি গুনাহ মাফের মাস।এই মাসটি ঘিরে মুসলমান সম্প্রদায়ের ভেতর এক প্রকার আনন্দ অনুভূতির রেশ লেগে থাকে। আল্লাহতালার বিশেষ নেয়ামতের মাস হলো এই রমজান মাস।আমাদের দেশের রমজান মাসের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো যে রাস্তার ধারের ইফতারের দোকান।রাস্তার ধারে এসব ইফতারের দোকানগুলোতে বিভিন্ন রকম ইফতার সামগ্রী পাওয়া যায়।



20230325_173845.jpg

একটি ইফতার সামগ্রীর দোকান।

লোকেশন


এইসব ইফতারের দোকানগুলো সাধারণত রাস্তার পাশে বসে থাকে।দোকানগুলোতে বিভিন্ন রকম ডেকোরেশন করা হয় যাতে মানুষের আকৃষ্ট ধরে রাখতে পারে।তারা রাস্তার ধারে বসার কারণ হলো রাস্তায় যেন মানুষ চলাচল করার সময় তাদের দোকান যেন দেখতে পায়।এইসব ইফতারের দোকানগুলোতে বিভিন্ন রকম ইফতারির জিনিস পাওয়া যায় বা খাবার পাওয়া যায়। তারা হরেক রকম ভাজাপোড়া জাতীয় জিনিস মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরি করে থাকে।


20230325_173811.jpg20230325_173802.jpg
দাম ১০ টাকা =০.৪স্টিমদাম ৫ টাকা = ০.২ স্ট্রিম

ইফতারের খাবার গুলোর ভেতর সবথেকে বেশি দেখা যায় ছোলা আলুর চপ বেগুনের চপ জিলিপি বন্দিয়া আরো অনেক কিছুই। কারণ রমজান মাসে মানুষ এগুলো সব থেকে বেশি খেয়ে থাকেন ইফতারি করার জন্য। তবে আমার মতে এসব ভাজা পোড়া না খাওয়াই উত্তম



দিনাজপুর বালুবাড়ীর একটি ইফতারের দোকান

কালকে আমি দিনাজপুর বালু বাড়িতে গিয়েছিলাম ইফতারের একটি দোকানে ইফতার কেনার জন্য।সেখান থেকে আমি কিছু ইফতার সামগ্রী কিনে নিয়ে আসি। যেমন চপ,জিলিপি, বোরহানি আরো অনেক কিছুই। দোকানটি রাস্তার পাশেই ছিল এবং অনেক ডেকোরেশন করা ছিল দোকানটিতে।কাচের ভেতরে এসব খাবার সামগ্রী রাখা ছিল। শহর হওয়ার কারণে দেখা যায় যে গ্রামের তুলনায় শহরের এসব দোকানে খাবার দাম আসলেই অনেক বেশি


বোতলে রাখা বোরহানি।কলাই এর বড়া।
20230325_173907.jpg20230325_173755.jpg

এই দোকানটিতে আমি দেখলাম যে তারা তিন থেকে চারটি বোতলে করে বোরহানি নিয়ে এসেছে ও দোকানের সামনে রেখেছে। রমজান মাসে বোরহানি আসলেই খুব উপকারী একটি পানীয়। যার বোরহানি খায় তারা জানে যে বোরহানি খাওয়ার কেমন মজা।সত্যি কথা বোরহানি খেতে আমাকেও খুব ভালো লাগে।


20230325_173825.jpg

এছাড়াও দোকানটিতে আমি বুন্দিয়া দেখলাম প্রায় তিন থেকে চার প্রকারের বন্দিয়া।এটি দিয়ে খেতে আমাকে তেমন ভালো লাগেনা কিন্তু বাড়ির জন্য নিয়ে যেতে হবে তাই কিছু বন্দীয়া ও নিলাম আমি। বোন্দিয়া সাধারণত মিষ্টি জাতীয় একটি খাবার। বেশ ভালই লাগে খেতে রমজান মাসে রাস্তার ধারে এইসব দোকানগুলোতে বুট এবং বোন্দিয়া এই দুটি সব থেকে বেশি দেখা যায়।তাছাড়াও আলুর চপ বেগুনি এগুলো তো আছেই।

MvwLKy3SfvJwXFKCRMDAFrt961JnKbKs2u3aeTo7L.png


20230325_173904.jpg20230325_173852.jpg
20230325_173833.jpg20230325_173759.jpg

যাইহোক রমজান মাসে এসব রাস্তার ধারে দোকানের খাবারগুলো ছাড়া যেন ইফতারির কল্পনাই করা যায় না। বাংলাদেশের মানুষ এসব ভাজাপোড়া সব থেকে বেশি পছন্দ করে।এইসব দোকানদার গুলো সারাদিন এসব জিনিস বা খাবার গুলো তৈরি করে এবং ঠিক ইফতারের আগে আগে তারা দোকানে সব কিছু পরিবেশন করে বিক্রি করার জন্য। বাংলাদেশের সব থেকে বেশি এসব দোকান দেখা যায় ঢাকা শহরে। ঢাকা শহরে রাস্তার ধারে এসব দোকানগুলোতে এই খাবার গুলো সব থেকে বেশি বিক্রি হয়।


পরিশেষে বলতে চাই রাস্তার ধারে এইসব দোকানগুলোর খাবার ছাড়া রমজান মাসে রোজা যেন কল্পনাই করা যায় না।এসব খাবারগুলো বলতে গেলে আমাদের জীবনের সঙ্গে যেন জুড়ে গিয়েছে। আপনারা যদি রমজান মাসে এসব খাবারগুলো খেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জানাবেন কমেন্টে।

DiHLrjiPetHt6ciV9azim9NPHuTMQ59H51nYE8xqo83cHvxqKWk8emGgPp3nrqWbcC7WV8LF6ALA7FMWHTdeiP11cpqpdF8ypep5hcKa5K6yCHNxFQpn2BK9d8GZow...fJ8efUchnTBQpLYAVgWT3mqQUtn1MVNz9gWjBjLYZYVb4esYCEQdYaUrYug3CUjZqt3mbv5N1GVMFNmwMdXrfutTwwJtbQmRwczmxLBBue1iStwWeMyWxohcD4.png

সবকিছু প্রস্তুতকারক,

@rahulkazi

FB_IMG_1673841505965.jpg
আসসালামু আলাইকুম, আমার নাম মোঃ রাহুল কাজী। আমার স্টিমিট ব্যবহারকারীর নাম @রাহুলকাজী। আমি দিনাজপুর জেলার চিরিবন্দর উপজেলার বাসিন্দা। আমি বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ছি। আমি আমার পরিবার ও সমাজের মানুষকে খুব ভালোবাসি। আমি খেতে এবং আঁকতে ভালোবাসি। আমি সত্যিই steemit কাজ উপভোগ করি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

রমজান মাসে দেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় এরকম বহু ধরনের ইফতারের অস্থায়ী দোকান বসে। আসরের নামাজের পরে বিকেল বেলা এসব দোকানের আশেপাশে মানুষের আনাগোনা বেড়ে যায় ইফতার কেনার জন্য। অনেক সুন্দর সুন্দর ছবি তুলেছেন আপনি। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো হয়েছে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য ভাইয়া।

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

রমজান মাস উপলক্ষে পথেঘাটে অনেক ইফতারির দোকান দেখতে পাওয়া যাইতেছে। সেই দোকানগুলোতে সবথেকে বেশি বিক্রি হইতেছে ভাজাপোড়া খাবার।রমজান মাস উপলক্ষে ভাজাপোড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে তাই সে সকল দোকান প্রচুর পরিমাণে ভাজাপোড়া বিক্রি করতেছে। আপনি অনেক সুন্দর ছবি তুলেছেন এবং সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

রমজান মাস রহমত-বরকত এর মাস। রমজান মাস মানেই হরেকরকমের ইফতার, রাস্তায় পাশে অনেক রকমের ইফতার নিয়ে বসে থাকে দোকানীরা। এসব দোকান এ অনেক রকমের ইফতার পাওয়া যায়।রমজান মাসে প্রতিদিন এ এসব দোকান থেকে ইফতার কেনা হয়। অনেক সুস্বাদু লাগে খাবারগুলো, এ দোকান ভ্রাম্যমান শুধু রমজান মাসকে উদ্দেশ্যে করে দেওয়া হয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

ইফতারি আইটেম নিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া।বর্তমানে সব জিনিসের দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। এই খাবারগুলো আমরা সবাই মোটামুটি খাই।কিন্তু ইফতারে এসব ভাজাপোড়া না খাওয়াই ভালো।এসব খাবার আনহাইজেনিক হয়ে থাকে। ফলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।তবে গরীব পরিবারের মানুষেরা ভাল খাবার খেতে পারে না এই ভেবে কষ্ট লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। ভালো থাকবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

ইফতারের দোকান নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।রমজান মাস রহমত ও বরকতের মাস।এই মাসে রোজা রেখে আল্লাহর কাছে গুনা করে মাপ চাইলে আল্লাহ তায়ালা তাকে খমা করে দেয়। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের কাছে সেয়ার করেছেন। সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

একজন মুসলমান এর জন্য রমজান মাস অনেক নিয়ামত স্বরূপ। আর এই রমজান এর একটি অংশ হচ্ছে ইফতার। আমরা সারাদিন রোজা থাকার পর একটু ভালো কিছু দিয়ে ইফতার করার জন্য আমরা এই সব হোটেল থেকে আমরা অনেক জিনিস পত্র কিনে আনি। এইসব হোটেলে মোটামুটি ভালোই ভিড় জমায় ভাজাপোড়া কেনার জন্য। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে এই ইফতার এর হোটেল নিয়ে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

Loading...

রমজান মাসে প্রায় প্রত্যেক বাজারে এরকম ইফতারের দোকান বসে।বাহারি রকম ইফতারি দেখতে এবং খেতে অনেক ভালো লাগে। ইফতারের সময় এই খাবারগুলো যে স্বাদ লাগে বছরের অন্যান্য সময় সেই স্বাদ লাগেনা। ভালো লিখেছেন শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

রমজান মাস উপলক্ষে রাস্তার ধারে অনেক ধরনের ইফতারির দোকান বসে। এসব দোকানে বিভিন্ন আইটেমের ইফতারি পাওয়া যায়। রাস্তার পাশের এই দোকান গুলোতে বিকেল বেলা ইফতারি নিতে অনেক মানুষ ভিড় জমায়। রাস্তার ধারের ইফতারের দোকান নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট লিখেছেন। আপনার তোলা ছবি গুলো ও অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

রমজান মাস উপলক্ষে পুরো দিনাজপুরের শহর জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় এ খন্ডকালীন ইফতারের দোকান বসে থাকে। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো প্রতিটি ইফতারের দোকান প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসে। সারাদিন রোজা রেখে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর এই বিষয়টি প্রতিটি ইফতারের দোকানদার মেনে চলেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।

রমজান মাস রহমত,বরকত ও নাজাতের মাস। এই রকম দোকান সব বাজারে রাস্তার সাইডে দেখা যায়। রমজান মাস উপলক্ষে এই দোকান গুলোতে বিভিন্ন রকমের ইফতারি সামগ্রী বিক্রি হয়। তবে বেশি বিক্রি হয় ভাজাপোড়া। আপনি খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন। ধন্যবাদ ভাই।

ইফতারির দোকান নিয়ে অসাধারণ লেখছেন ভাই, রমজান মাসে প্রতিটা দোকান এখন রাস্তার পাশে বসে তারা বেছা বিক্রি করে।আমাদের বাজারেও এই ভাবে অনেক দোকান বসে,আর রমজান হলো রহমত,নাজাত,মাগফেরাত, অনেক সুন্দর একটা মাস,রমজান মাসে মানুষ ভাজা পোড়া জিনিস দিয়ে ইফতারে করতে বেশি পছন্দ করে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ভাই আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।