বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত বোনতাড়া বালুরচর।

in hive-131369 •  last year  (edited)


স্টিম ফর ট্রেডিশন

InCollage_20230915_115945689.jpg


ছবিটি তৈরি করা হয়েছে ক্যানভা দিয়ে


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপনারা কেমন আছেন সবাই।আশা করতেছি অনেক ভাল আছেন। আজকে আমি বাংলাদেশ ভারত বর্ডার এর সঙ্গে বোনতাড়া বালুচর সম্পর্কে আপনাদের সামনে আলোচনা করব। আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।


20230915_115256.jpg

আমাদের দিনাজপুরে বিভিন্ন রকমের স্থান রয়েছে যেখানে মানুষেরা ভ্রমণ করতে আসে। অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে অনেক ঐতিহ্যের জায়গা রয়েছে। আমাদের দিনাজপুরের একটি বৈশিষ্ট্য হলো এই জেলাটি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ ভারত বর্ডার শেয়ার করে। যার কারণে দিনাজপুর জেলার অনেক উপজেলায় ভারতের সঙ্গে বর্ডার রয়েছে। এর ভেতর হলো দিনাজপুর সদর উপজেলা। দিনাজপুর সদর উপজেলার একটি অন্যতম জায়গা হল বোনতাড়া। আর এই জায়গাটি অবস্থিত আত্রাই নদীর উপরেই। আত্রাই নদী দিনাজপুরের মোহনপুর হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে এবং ভারতে প্রবেশ করার আগে এই নদী বাংলাদেশ ভারত বর্ডার প্রায় চার কিলোমিটার পর্যন্ত শেয়ার করে গেছে। অর্থাৎ নদীর উত্তর দিকে বাংলাদেশ এবং নদীর দক্ষিণ দিকে ভারত।

20230915_115446.jpg

আত্রাই নদীর উত্তর দিকে বাংলাদেশ হওয়ার কারণে আত্রাই নদীর অনেকটা অংশই বাংলাদেশের ভেতরে পড়েছে। যার কারনে নদীর বিশাল একটি চর দেখা যায় বোনতাড়া নামক জায়গায়। এটি হলো দিনাজপুর মোহনপুর থেকে ঠিক দক্ষিণ দিকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি গ্রাম। বেশ কয়েকদিন আগে আমি ও আমার এক ছোট ভাই আমরা দুজনে মিলে গিয়েছিলাম সেখানে বালুরচর দেখতে।সে আমাকে বলেছিল যে যেহেতু এখন গ্রীষ্মকাল তাই সেখানে বালুরচর খুব ভালোভাবে লক্ষ করা যায়।আমরা প্রথমে সেই গ্রামের ভেতরে ঢুকলাম। গ্রামের ভিতরে আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে আমরা চলে গেলাম নদীর ধারে। নদীর ধারে গিয়ে দেখি যে একটি বড় ফুটবল খেলার মাঠ রয়েছে। সেই মাঠে অবশ্য অনেক টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।


3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPg13dbw9cQZbWBAMsz6ohqaqkrCm7KQkkehxGNGyBHUtdhA93eZcSchXaVXZysREMB8zjUwUs3U28Dgq5...6GDBNJCmAd5JNGWLPSkuM888uyEzyBgMoeFJwAqVPrXj9kr2ZxfAAZ52YNYHTgxako2YfB8eBek887u6aX6V6xSrNFswxpNSqg9oo9aGj9PXQiHCj9R7TnZTvn.png

20230915_115405.jpg20230915_115435.jpg

সেই মাঠ থেকে নিচে নামলেই দেখতে পাওয়া যাবে বিশাল এক বালুরচর। যেন মনে হবে সমুদ্রের বালুরচরের মতো। সেখানে প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল সেই বালুরচর। বালুর চরের সঙ্গে আত্রাই নদী এবং তার দক্ষিণ দিকে ভারতের বর্ডার। সেখানে গিয়ে আমরা অনেকক্ষণ ধরেই ছবি তুলি বালু নিয়ে খেলা করি ছোট বাচ্চাদের মতো।আমরা সেখানে লক্ষ্য করি যে কয়েকজন জেলে মাছ ধরতেছে নদীতে। যেহেতু বালুরচরে পানি কম থাকে তাই তারা অনায়াসে মাছ ধরতে পারতেছে। বোনতাড়া বালুরচর দেখতে অনেক সুন্দর শুধু সাদা বালু রয়েছে সেখানে। মাঝে মাঝে কয়েকটি নৌকা দেখা যায় পাড়ে। সেখানে হয়তো জেলেরা নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরেন।


20230915_115435.jpg

20230915_115325.jpg


এই বালুরচরে আমি বেশ কয়েকবার এসেছিলাম। আমার এখনো মনে আছে তিন বছর আগে ঈদের সময় আমরা এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। তখন বালুরচর থেকে আমরা ভারতের একটি রাস্তা দেখতে পেয়েছিলাম এবং সেখানে দেখতে পেয়েছিলাম যে ভারতেরও অনেক মানুষ ঈদের দিনে তাদের বর্ডার এর কাছে এসেছেন। তারা বাংলাদেশ- ভারত বর্ডার দেখতেছেন। আসলে ছোটবেলা থেকে আমাকে এসব বর্ডার এলাকা অনেক ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে ঘুরতে আসি এই বালুরচরে ও বর্ডার এলাকাগুলোতে।


20230915_115353.jpg20230915_115309.jpg

বিশেষ করে দুই ঈদের সময় অনেক মানুষ মোহনপুরে ঘুরতে আসে। তখন তারা এই বোনতাড়া বালুচর দেখতে চলে আসেন। মোহনপুর থেকে দশ টাকা ভাড়া দিলেই আপনারা চলে আসতে পারবেন এই বালুর চরে।এছাড়াও প্রতিদিন অনেক দর্শনার্থী এখানে ঘুরতে আসেন বর্ডার দেখতে, নদী দেখতে ও বোনতাড়া দেখতে।



তো এই ছিল বোনতাড়া বালুরচর সম্পর্কে আমার কিছু লেখালেখি।আশা করি আপনাদের সবাইকে ভালো লাগবে।

Posted using SteemPro Mobile

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমার মতে পিকনিক করার জন্য এই জায়গাগুলো বেস্ট এই জায়গাগুলোতে ক্যাম্পিং করতে বেশ ভালো লাগে। যদিও এই জায়গায় কখনো যাওয়া হয়নি দেখতে তো বেশ ভালোই লাগতেছে চারপাশের পরিবেশটা। অনেক সুন্দর লিখেছেন বোন তারা বালুচর সম্পর্কে। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ‌।

ভারত বাংলাদেশের বোন তারা বালুচর নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন ভাই। বালুরচর দেখতে তো অসাধারণ পরিবেশ। বালুর চরে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন, আমিও বেশ কয়েকবার বালুচরে গিয়েছি তবে আমাদের যমুনা নদীর , আত্রাই নদীর সঙ্গে এই বালুচর। মোহনপুর থেকে মাত্র ১০ টাকা ভাড়া লাগে। আপনার সাথে একদিন না হয় ঘুরতে যাবো এই বালুচরে, তা কবে নিয়ে যাচ্ছেন ভাই। ফটোগ্রাফি চমৎকার তুলেছেন। এই বালুচুর আপনি কি একাই গিয়েছিলেন না সাথে...., ওনি ও ছিলো।ধন্যবাদ ভাই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।

এসব জায়গায় বেশ ভালো লাগে যেতে।আমি এখানে কোনদিন যাই নি।আজকে আপনার এই পোস্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমি জানতাম না এ জায়গা সম্পর্কে। এখানকার পরিবেশ বেশ চমৎকার।এসব জায়গায় বেশি যায় যারা কাপল।জায়গাগুলো প্রেম করার।আমার আবার আকাশ বাতাস নদী এসব ভালো লাগে না আমার ভালো লাগে রফিকের ফ্লাটে যেতে।যাই হোক আপনি বেশ চমৎকার কিছু সময় কাটিয়েছেন। জায়গাটি আমার বেশ ভালো লেগেছে। আমি এখানে একবার হলেও যাব।আপনি আমাকে বলবেন এরপরে গেলে।ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ছবি গুলো অসাধারণ তুলেছেন।

প্রকৃতি আমার খুব প্রিয়। আর প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে কিন্তু আমি ভিষণ পছন্দ করি। বেশ সুন্দর একটি জায়গা আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। এমন জায়গায় ঘুরে বেড়ালে কিন্তু মনের কষ্ট গুলো সহজেই দূর হয়ে যায়। বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে যে এত সুন্দর একটি জায়গা আছে সেটা জানতাই না।