চিরিরবন্দর রেলব্রীজের উত্তর পাশে অনেক আগের পুরানো মন্দির।

আসসালামু আলাইকুম, স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল সদস্যগন আপনারা সবাই সবার আছেন। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি আজ সবার কাছে তুলে ধরব চিরিরবন্দর রেলব্রীজের উত্তর পাশে একটি অনেক পুরানো মন্দির সম্পর্কে।

আমার বাড়ি থেকে চিরিরবন্দর রেলব্রীজ প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত । তবে রেলব্রীজ থেকে ৩০০-৪০০ মিটার দূরে এই ইটের তৈরি পূরানো মন্দির টি চোখে পড়বে। মন্দিরটি আমি ছোটবেলা থেকে দেখে আসতেছি। এখানে কয়েকটি গ্রামের সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা পুজা করে থাকে।

এই মন্দিরটি ২০০০ সালে স্থাপিত হয়। প্রথমে এই মন্দিরটি চালের ছাউনি ও বেড়া চাটি দিয়ে নির্মাণ কর হয়। প্রথম যখন মন্দির টি নির্মাণ করা হয় তখন লোকের সমাগম তেমন ছিল না। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে দিনে দিনে সেখানে লোক আসা শুরু করে পুঁজার জন্য। মন্দির তৈরির কয়েক বছর পর মন্দির টি ইট দিয়ে নির্মাণ কাজ শেষ করে থাকে।

এই মন্দিরে প্রতিদিন সেখানকার লোকেরা সন্ধ্যা প্রদীপ দিয়ে পুজা করে। সেখানে গ্রামের একজন পুরোহিত তার দ্বায়িত্ব আছেন। তিনি প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে পুজা সম্পন্ন করে। এই রেলব্রীজ পুজা মন্দিরটি তে বছরে সব পুজা গুলো সেখানকার গ্রামের লোকেরা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী আরো কয়েকটি গ্রামের লোক এখানে এসে পুজা করে।

তবে একটা মজার বিষয় হলো এখানে প্রতিবছর একটি বড় করে পূজার আয়োজন করা হয়। তবে এখানকার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকেরা পুজা উপলক্ষে পাতা খেলা ও রাতে কবির গানের আয়োজন করা হয় ২ দিন ব্যাপী। পাতা খেলা ও কবির গানে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক লোকের সমাগম ঘটে। প্রতি বছর একই সময়ে পাতা খেলা ও কবির গান করা হয়।

এই রেলব্রীজ পুজা মন্দিরটি হিন্দু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি উৎসব কেন্দ্র। এখানে তারা তাদের পূজা পালন করেন।

ধন্যবাদ,

@rakib570