ঐতিহ্যবাহী পুরোনো দিনের গরুর হাল ও জোয়াল দিয়ে জমি চাষ

প্রিয় সতীর্থব্লগারবৃন্দ,

স্টিম ফর ট্রেডিশন কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ছালাম।সকলেই কেমন আছেন? আশা রাখি সকলেই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্য হলো গরুর হাল বা লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ।

গরু ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ হলো একটি ঐতিহ্যবাহী। গরু ও লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ অনেক আগেকার পদ্ধতি। লাঙ্গলে ফলা দিয়ে জমি চাষ করলে ভিতরের অংশ পর্যন্ত যায় এতে করে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় ফলে জমির ফলন ভাল হয়। গরু হাটাহাটি করার কারনে জমি কাদা হয় এবং গরুর গোরব জমিতে পড়ে মাটির শক্তি বৃদ্ধি করে।

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হাওয়ায় অনেক বছরের ইতিহাস জুড়িয়ে আছে গরু,লাঙ্গল ও জোয়াল।তবে আমরা গ্রাম্য ভাষায় গরুর হাল চাষ বলে থাকি। আধুনিকতার ছোয়ায় হাল চাষের পরিবর্তন ট্রাক্টর আর পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করছে খুব অল্প সময়েই। এতে করে গরুর হাল বা গরুর লাঙ্গল চাষ বিলুপ্ত প্রায়। কালের বিবর্তনে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে ফলে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য গরুর হাল এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। আগে দেখা যেত গ্রামের মেঠো পথ ধরে কৃষকেরা কাঁধে লাঙ্গল আর জোয়াল এবং সাথে গরু নিয়ে চলে যাই জমি চাষ করার জন্য। ঐতিহ্যবাহী গরুর হাল আর চোখে পড়ে না তেমন।

আগেকার সময় দেখা গ্রামের প্রতিটি পরিবারের দেখা যেত গরুর হাল চাষ তবে এখন এগুলো আর তেমন দেখা যায় না। গরুর হাল যেহেতু এখন আর ব্যবহার হয় সেহেতু অনেকেই গরু হাল যন্ত সহকারে রেখে দিয়েছে। আবার দেখা যেত জমিতে গরুর হাল চাষ করার পর মই দিয়ে রাখত। গরু ছাড়া কৃষিকাজ ছিল অসম্ভব যার কারনে কৃষকেরা বাধ্য হয়ে গরু পালত। আবার দেখা যেত অনেক কৃষক তারা গরুর হাল চাষ পেশা হিসেবে নিতো এবং এতে করে সংসার চলতো। গরু দিয়ে হাল চাষ সৃয় লাগলেও কৃষকেরা গ্রামে গ্রামে গরুর হাল সংগ্রহ করে রাখতো। হালের গরু দিয়ে অনেক কৃষক তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে। কালের বিবর্তনে গরু হাল চাষ হারিয়ে যাচ্ছে।

---

---

এই আমার গরুর হাল ও জোয়াল দিয়ে জমি চাষ। গ্রামে আর মতো এসব ঐতিহ্য দেখা যায় না। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার হাত ধরেই সবকিছুরই পরিবর্তন। আবার ও দেখা হবে ভাল থাকবেন।