গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী খাবার খেজুরের রস সংগ্রহ ।

in hive-131369 •  2 years ago 

আমি @riyan1020
বাংলাদেশ থেকে।

০৮ ই মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ ।


আজ রোজ বুধবার

সসালামু আলাইকুম,প্রিয় স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটির ব্লগারবৃন্দগন সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সকলে ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।



IMG_20230128_141524.jpg
ঐতিহ্যবাহী খাবার খেজুরের রসঃ

আমাদের দেশে শীতকালের মূল আর্কষণ হচ্ছে খেজুরের রস সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করা। শীতের বিকেলে মিষ্টি রোদে খেজুরের রস সংগ্রহকারীরা খেজুরের গাছে উপরে আহরোন করে এবং কুয়াশায় আচ্ছন্ন কাক ডাকা ভোরে খেজুর রসের হাঁড়ি নামানোর দৃশ্যটি গ্রামীন জনজীবনের জন্য একটি মনোমুগ্ধকর চিত্র ফুটিয়ে তুলতো। গ্রামের যে সব লোকেরা খেজুরের রস সংগ্রহ বা সংরক্ষণ করত তাদের বেশিরভাগ মানুষের আর্থিক অবস্থা খারাপ। এই খেজুরের রস সংগ্রহের লোকেরা অনেকে মধ্য বয়সি ও গরিব মানুষ। গ্রামে গ্রামে এই খেজুরের রস বিক্রি করা হতো।

IMG_20230128_141505.jpg
ঐতিহ্যবাহী খাবার খেজুরের রস সংগ্রহ বা সংরক্ষণ পদ্ধতিঃ

খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য বা সংরক্ষণের জন্য ৫-৭ বছর বয়সের গাছ নির্বাচন করা হয়। যে সব খেজুর গাছ সুস্থ ও সবল সেসব গাছ বেঁচে নিলে বেশি পরিমাণে রস সংগ্রহ করা যায়। খেজুর গাছের রস সংরক্ষণ গাছ কাটার উপর নির্ভর করে। আগের পদ্ধতির চেয়ে বর্তমানে যুগের পদ্ধতিতে খেজুর রস সংগ্রহ বা সংরক্ষণ বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

IMG_20230128_141637.jpg

খেজুরের রস বেশি আহরোন বা সংরক্ষণ করতে এবং খেজুর গাছের স্থায়িত্ব বাড়াতে একজন দক্ষ গাছ কাটার কর্মীর দরকার হয়। তবে নভেম্বর মাসের মাঝ সময়ে খেজুর গাছ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হয়। এরপর ১৫-২০ মধ্যে গাছ কাটার কাজ শুরু করতে হয়। খেজুর গাছের ছাটা অংশ থেকে রস নিঃসরণ করতে ৭-৮ ইঞ্চির চিকন কাটা বাঁশের অংশ ঢুকিয়ে দিতে হবে। এই চিকন কাঠি বা বাঁশের অংশ দিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় রস হাঁড়ি বা প্লাস্টিকের পাত্র জমা হবে।

IMG_20230128_141652.jpg

রস সংগ্রহের জন্য গাছের ছাটা অংশ থেকে ৩-৪ দিন রস সংগ্রহ করা যায়। এরপর রস সংগ্রহ হলে ৩ দিন শুকাতে হয়। খেজুরের রস এভাবে নিলে রস সুমিষ্ট হয়। খেজুরের রস সংগ্রহ করা হলে পাত্রটি পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।

বানিজ্যিকভাবে খেজুরের রসঃ

গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করে তা গ্রামে গ্রামে রস বা তারি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করে তাদের পরিবারের খরচ চালায়। এছাড়াও খেজুরের রস থেকে গুড় বানিয়ে বিক্রি করে অনেকে লাভবান হচ্ছে। খেজুরের রস থেকে গুড় বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

IMG_20230128_141655.jpg

পরিশেষে বলা যায় যে, খেজুরের রস সংগ্রহ আমাদের দেশের গ্রামের শীতকালের প্রচলিত একটি খাবার। এই রস গ্রামের লোকেরা তারি নামে ও চিনে থাকে।

আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন। তবে আমার লেখার মধ্যে কোন প্রকার ভুল-ভ্রান্তি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণঃ
ক্যামেরাOneplus
ধরণখেজুরের রস সংগ্রহ
ক্যামেরা৬৪ মেগাপিক্সেল
ফটোগ্রাফার@riyan1020
অবস্থানপার্বতীপুর, দিনাজপুর, বাংলাদেশ।


3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদান্তে,
@riyan1020.

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

খেজুরের রস শীতকালে সংগ্রহ করা হয় খেজুর গাছ থেকে। খেজুরের রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রিও করা হয় ।খেজুরের রস দিয়ে তৈরি গুড় সবার পছন্দ। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে খেজুরের রস সংগ্রহ করার এবং সংরক্ষণ পদ্ধতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

খেজুর রস আমার অনেক প্রিয়। আমি প্রতি শীত মৌসুমে খেজুর রস দিয়ে পায়েস খাই। খেজুর রস দিয়ে পায়েস অনেক সুন্দর হয়। অনেক স্বাদ লাগে। আর খেজুর রস আমি এমনি খাই কখনও মুড়ি দিয়ে খাই। ভালই লাগে খেতে। আমাদের গ্রামে খেজুর গাছ আগে থেকে নাই। ছোট বেলায় তাই আমাদের গ্রামের ছেলেরা একত্রিত হয়ে অন্য গ্রামে গিয়ে তিব্র শীতে খেজুর গাছে উঠে রস খেতাম। কি যে মজা হত সেই সময়, রাতের ঘুম হারাম করে রস পাড়ে খাতাম রাতে। দুই শীতে খাওয়ার আমরা ভাবলাম যে কাজটি ঠিক হচ্ছে না তাই পরে আর রস থেকে কোথাও যাই নাই। পরে খেতে মন চাইলে কিনে খাই। খেজুর রস সম্পর্কে আপনি সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপনাকে অসংখ ধন্যবাদ।

মিষ্টি মিষ্টি খেজুর রস খেতে বেশ দারুন লাগে। খুব মজাদার শীতকাল ছাড়া খেজুর রস পাওয়া যায় না আমাদের দেশে। খেজুরের গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করা বেশ সময় সাপেক্ষ একটি ব্যাপার। অনেক সময় লাগে এতে। খুব সুন্দর পোস্ট উপস্থাপন করেছেন ভাই ধন্যবাদ আপনাকে।

খেজুর রস খেতে খুব ভালো লাগে আমার, আমাদের গ্রাম অঞ্চলে একটা খেজুর গাছ ছিল কিন্তু এখন আর নাই, যখন আমাদের এখানে খেজুর গাছ ছিল তখন আমি খেজুরের রস খেতাম,আমি আজ থেকে প্রায় ৮ বছর আগে খেজুরের রস খাইছি,তবে আমি কখনো খেজুরের রস সংগ্রহ করা দেখি নাই,আজকে আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে খেজুরের রস সংগ্রহ করা দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ছবি গুলো তুলছেন, আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

খেজুর গাছ আমাদের এলাকায় একদম কম।আমরা এর ঐতিহ্য বুঝতেই পারি না। খেজুর রস দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। খেজুর গুড় খেতে বেশ মজার। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

খেজুরের রস খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে, আমি গতবছর যশোর গেছিলাম সেখান ভোরের রস খাইছি, এবং জ্বাল দেওয়ার আগে খাইছি এবং পরে খাইছি, এবং গরম খাইছি একেক রকমের রস এর স্বাদ একেক রকমের, গাছ কাটাও দেখছি, সমস্ত প্রক্রিয়া অনেক সুন্দর করে প্রসেসিং করে। যে বাগানে গেছিলাম সে বাগানের গাছ মালিকের মোট ৭০ টি গাছ আছে তার এই গাছ থেকে রস সংগ্রহ করার জন্য ৫ জন লোক বরাদ্দ আছে, তার কাছ থেকে মোট ১০ কোজি গুড় কিনে আনছিলাম, আপনি অনেক সুন্দর লিখছেন ভাই আপনার পোস্ট দেখে গত বছরের কথা মনে পরে গেলো, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর উপস্থাপন করার জন্য।

খেজুরের রস একটি মজার খাবার। আমার অনেক প্রিয় একটা পানীয় কিন্তু এখন আর তেমন খেজুরের গাছ দেখতে পাওয়া যায় না।খেজুরের রস আমাদের জন্য অনেক উপগারী। খেজুর এর রস দিয়ে গুড় বানানো হয় যা খেতে অনেক মজার। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই।

খেজুরের রস আমার খুব পছন্দ। অনেক বছর থেকে খেজুরের রস খাওয়া হয় নাই। আগে আমাদের গ্রামে রস সংগ্রহ করার জন্য আসতো। এখন আর আসে না। তাই আর খাওয়া হয় না। খেজুরের রসের খির অনেক মজা। শীতের মৌসুমে এই রস পাওয়া যায়। আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।