শৈশবের একটি প্রিয় খাবার ,যা এখনও শৈশব কে মনে করিয়ে দেয়:

in hive-131369 •  2 years ago 
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন মহান আল্লাহতালার রহমতে। আজকে আমি আমাদের দেশের তৈরি এক ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো। বাঙালিরা জন্মগতভাবেই দেশীয় খাবার খুব পছন্দ করে। গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী লোকেরা এবং শহরে বসবাসকারী জনগণসহ আমাদের দেশের সবাই দেশে ফিরে বিভিন্ন ধরনের বাঙালি খাবার খুবই পছন্দ করে। বাঙালিরা মিষ্টিও খুবই পছন্দ করে। এমনই এক মিষ্টি খাবার হচ্ছে বাতাসা । বাঙালিরা অবশ্যই এই বাতাসা চিনে। কমবেশি সবার জীবনের ছোটবেলায় আমরা এই খাবারটির সাথে পরিচিত হয়েছিলাম বেশি। খাবারটি খেতে যেমন সুস্বাদু এবং মিষ্টি ঠিক দেখতেও বেশ সুন্দর। সাদা ধবধবে হয় এই খাবারটি। যদিও অনেক মিষ্টি কিন্তু একটু শক্ত। মিষ্টি প্রিয় মানুষটা এই খাবার খুবই পছন্দ করে। ![IMG_20230122_145943.jpg]()

বাতাসা আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এখন বিলুপ্তপ্রায়। এই খাবার সব দোকানেই দেখা যায় না। বর্তমান সময়ে গুটি কয়েক দোকানে খুঁজে পাওয়া যায় এই বাতাসা। এটি এক ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার। এভাবে টি গ্রাম অঞ্চলেই দোকান এ বেশি পাওয়া যায়। এ বাতাসে তৈরিতে বেশি কিছু উপকরণের প্রয়োজন পড়ে না। বাতাশা তৈরির জন্য আমাদের প্রয়োজন পরিমাণমতো পানি পরিমাণমতো চিনি এবং চিনি গুড়ো। প্রথমে পানি এবং চিনি পরিমাণ মতো তাপ দিয়ে সিদ্ধ করে একদম গাড়ো এবং ভারী মিষ্টি শিরা তৈরি করে নিতে হয় তারপর নির্দিষ্ট সেপে যে হিসেবে বাতাসা তৈরি করতে চায় সে হিসেবে এই মিষ্টি সিরা দিয়ে তাতে চিনিগুড়ো দিয়ে দেয়া হয় এবং একটু পরেই সেটি ঠান্ডা হয়ে গেলে বাতাসা তৈরি হয়ে যায়। এটি সিদ্ধ করে তৈরি করা হয় বলে এর কোন ক্ষতি নেই। এটি আমাদের শরীরের ঠান্ডা দূর করে এবং এটি খেতেও বেশ সুস্বাদু।
IMG_20230122_145955.jpg

গ্রাম বাংলার কম বেশি প্রতিটি মানুষ এ বাতাসাটাকে চেনে। এই খাবারটি আমাদের শৈশবে খুবই প্রিয় ছিল যা আমরা এখন অনেক মিস করি। দিন দিন সব কিছু বদলে যাওয়ার সাথে সাথে পাল্টে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্য। বাতাসার সন্দেশ আমরা যেমন আগে পছন্দ করতাম ঠিক তেমনি এখনো আমাদের চোখের সামনে এই খাবার গুলো পেলে আমরা ঠিক আগের মতো করেই খেতে চাই। আমরা সবাই আমাদের শৈশবের ওই দিনগুলোকে মিস করি। সবাই আমাদের ঐতিহ্যকে ভালো রাখবো ভালোবাসবো। এবং দৈনন্দিন জীবনে যেন আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে ভুলে না যাই সে বিষয়ে সর্বক্ষণ সজাগ থাকবো।
IMG_20230122_145938.jpg

ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো আমাদের জন্য খুবই লোভনীয়। ছোট বড় সবাই এই খাবারটি খুবই পছন্দ করে। বাতাসে আমাদের ঐতিহ্যের সাথে এখন মিশে গেলেও এটি সত্যিই একটি লোভনীয় খাবার।আজও যখন আমি কোন দোকানে এই ঐতিহ্যবাহ ী খাবার গুলো দেখি আমার শৈশব মনে পড়ে যায় । এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। রাস্তার পাশে এক দোকানে দেখে দাড়িয়ে যাই দোকানের সামনে। এবং পরিবারের সবার জন্য সাধ্যমত একটু কিনে নিয়ে যাই বাসায় । এই খাবার দেখে আমার বাবা ও ফিরে গিয়েছিলেন তার শৈশবে।
অতঃপর বলতে চাই,আমরা সবাই আমাদের দেশের ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য সজাগ থাকবো চেষ্টা করব যেন আমাদের ঐতিহ্যকে ভালবাসতে পারি এবং টিকিয়ে রাখতে পারি।
IMG_20230130_220133_830.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাতাসা আমার পছন্দের একটা খাবার, খুব সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে

বাতাসা আমার পছন্দের একটি খাবার। আমরা সকলেই শৈশব সময়ে বাতাসা খাওয়ার জন্য মেলাতে যেতাম। আপনার পোস্ট পড়ে শৈশবের কথা মনে পড়ে গেল। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি আগের তুলনায় এখন অনেক ভাল হয়েছে। ক্লাসে সময় দিলে আরো ভাল করে শিখতে পারবেন।

ধন্যবাদ ভাইয়া। আমি চেষ্টা করব যেন আরো ভালো করতে পারি।

আপনার পোস্ট এর লেখা গুলো স্পেস দিয়ে লিখবেন৷ আর মার্ক ডাউন ব্যবহার করুন৷ পোস্টে লিখছেন ভালো কিন্তু পোস্টটিতে মার্কডাউন নেই দেখে খারাপ দেখা যাচ্ছে৷

জি ভাইয়া আমি চেষ্টা করব যেন আরো ভালো করতে পারি।

আমরা সকলেই এখন ও বাতাসা খাওয়ার জন্য বাজারে যাই আর আমাদের বাজারেই বাতাসা পাওয়া যায় ।আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম ধন্যবাদ এই রকম পোস্ট করার জন্য

নতুন সদস্য হিসেবে ভালোই লিখেছেন আপু। তবে ক্লাসে উপস্থিত থাকবেন এবং সকল মডারেটরদের কাছে নতুন বিষয় শিখার চেষ্টা করবেন। ধন্যবাদ আপু 🥰

জি ভাইয়া ধন্যবাদ।

বাতাসা একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। বাতাসা নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা।

CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

ছোটবেলায় কদমা এবং বাতাসা দুইটাই আমার অনেক পছন্দের খাবার ছিল। কিন্তু এখন কদমা বেশি ভালো না লাগলেও বাতাসা খুব প্রিয়।

শৈশবের প্রিয় খাবার এই বাতাসা, নব্বই দশকের প্রিয় খাবার ছিলো এটা। ছোট সময় মসজিদে গেলে এই বাতাসা পেতাম, অনেক আনন্দ লাগতো, অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করছেন আপি অনেক ধন্যবাদ

বাতাসা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি।বাতাসা আমার প্রিয় খাবার।

আমি ও নিজে অনেক খেয়ছি। বাতাসা, কদমা ছোট দের প্রিয় একটি খাবার। সুন্দর লিখেছেন আপি।

একটু মার্কডাউন এর উপর গুরুত্ব দিন। তাহলে আপনার পোস্ট টি আরো সুন্দর দেখাবে। ধন্যবাদ

জি ভাইয়া ইনশাআল্লাহ।

শৈশবে আমি বেশ কয়েকবার বাতাসা খেয়েছি। এটি খেতে খুব সুস্বাদু। তবে বেশ কয়েক বছর থেকে এটি খাওয়া হয়নি। গ্রামের মেলা কিংবা হাটে এই খাবারগুলো পাওয়া যায়।

বাতাসা খেতে খুব ভালো লাগে। তবে আমার জীবনের বাতাসা তেমন আমি খাইনি।বছরে একবার মাঝে মাঝে খেয়েছিলাম আগে। কিন্তু এখন কেমন আর খাওয়া হয়না। খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে আপু।