দিনাজপুর বড় মাঠে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা ২০২৩||

in hive-131369 •  2 years ago 
আসালামু আলাইকুম

প্রিয় ব্লগার বৃন্দ,



আশা করি ,মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি @rumana12 আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব এ বছরে অর্থাৎ দিনাজপুর বড় মাঠে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৩ নিয়ে। আশা করি আপনাদের সকলকে আমার আজকের পোস্টটি ভালো লাগবে। চলুন তবে দেরি না করে শুরু করা যাক।

1000005865.jpg

কভার ফটো


1000005952.jpg

আমরা সবাই জানি গাছ আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ও খাদ্য আমরা বিভিন্ন ধরনের গাছ থেকে পাই। আমরা জানি, কোন দেশের মোট আয়তনের প্রায় ২৫ শতাংশ গাছপালা বা বন ভূমি থাকা উচিত। আমাদের দেশের মোট আয়তনের ১৫.৫৮ বা প্রায় ১৬ শতাংশ বনভূমি বিদ্যমান।কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশে নগরায়নের প্রভাব এতটাই বেশি যে বিভিন্ন বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে এবং অনিয়ন্ত্রিত ভাবে নগরায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই ধীরে ধীরে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে । এবং পরিবেশের এই পরিবর্তন সহ্য করতে না পেরে বিলুপ্ত হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাই এসব সমস্যা থেকে মুক্তি লাভের জন্য একটি গাছ কেটে ফেলা হলে তার বদলে আমাদের দশটি গাছ লাগানো উচিত। তবেই আমরা আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবো। এরই উদ্যোগে প্রতিবছর বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কৃষি মেলা ও বৃক্ষ মেলার আয়োজন করা হয়।

1000005911.jpg

এবছর আমাদের দিনাজপুর উপজেলার দিনাজপুর বড় মাঠে বিশাল এক বৃক্ষমেলার আয়োজন করা। মেলায় প্রবেশের জন্য অনেক বড় একটি গেট সাজানো হয়েছিল এবং সম্পূর্ণ মেলাটি একটি নির্দিষ্ট বাউন্ডারির মধ্যে আয়োজিত হয়েছিল।মেলাটি শুরু হয়েছিল ২০ শে আগস্ট ২০২৩ এবং ২৯ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত মেলাটি চলমান ছিল। অর্থাৎ সর্বমোট নয় দিন পর্যন্ত এই মেলাটি স্থায়ী ছিল। এই মেলায় এ বছর অসংখ্য প্রজাতির ফুল, ফল ও বনজ গাছ দেখা গিয়েছে। অনুষ্ঠিত এই বৃক্ষ মেলাটিতে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ। বিভিন্ন ধরনের বনসাই গাছের উপস্থিতি ও চাহিদাও ছিল অনেক। এক একটি বনসাই গাছ এক থেকে দুই লাখ টাকা দামে পর্যন্ত বিক্রি করা হয়েছে এই মেলায়। এবার এই মেলায় গিয়ে আমি বিভিন্ন প্রজাতির নতুন কিছু ফলের ও বনজ গাছ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছি যা আমার জানা ছিল না।

1000005951.jpg

এই মেলায় বিভিন্ন ধরনের কৃষি প্রজেক্ট দেখানো হয়েছিল। মেলাটিতে বিভিন্ন ধরনের দোকান ছিল যেমন মাশরুমের বিভিন্ন জাত একটি দোকান , বিভিন্ন ধরনের মৎস্য একুরিয়াম নিয়ে একটি দোকান সাজানো ছিল। মেলাটিতে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছের সমাহার ছিল। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্লান্ট গুলো চমৎকারভাবে সাজানো ছিল বিভিন্ন দোকানে। সব মিলিয়ে মেলাটির আয়োজন অনেক বড় ছিল। মেলাটি পরিদর্শন করে আমার অনেক ভালো লেগেছে। মেলার এসব গাছের সমাহার যে কারোর ভালোলাগার কারণ হবে বলে আমার মনে হয়।

1000005955.jpg

আশা করি, আমার পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ।আপনাদের কাছে আমার আজকের শেয়ার করা সম্পূর্ণ আলোচনা কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।


1000002255.png


ডিভাইসRedmi Note 11
ফটোগ্রাফার@rumana12
লোকেশনদিনাজপুর

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

দিনাজপুর বৃক্ষ মেলা ২০২৩ নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমি যখন দিনাজপুর শহরে ছিলাম তখন এই বৃক্ষ মেলায় গিয়েছিলাম। এখানে বিভিন্ন ধরনের গাছ পাওয়া যায়। বনসাই গাছগুলো আমার বেশ ভালো লাগে। তবে এগুলোর যা দাম তা আমার কিডনি বেঁচেও হবেনা। দিনাজপুর বৃক্ষ মেলা গিয়ে আমি অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম। আশা করি আপনিও দারুন কিছু অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। দিনাজপুর বৃক্ষ মেলায় শহরের বাইরে থেকেও বহু দূর দূরান্ত থেকে লোক আসেন। অনেকেই গাছ কিনে নিয়ে গিয়ে বাড়িতে লাগান। কৃষি প্রজেক্টগুলো আমার দারুন লাগে।আপনি দারুন কিছু ছবি শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর অভিজ্ঞতাটি বর্ণনা করার জন্য।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।

দিনাজপুরে এত মেলা কেউ বলেও না।গাছের মেলা কবে থেকে শুরু হয়েছে। অনেক সুন্দর কিছু গাছ দেখা যাচ্ছে। বনসাই দেখা যাচ্ছে। আমি গাছ লাগাতে বেশ পছন্দ করি। মেলায় গিয়ে গাছ কিনে নিয়ে আসতে হবে।মেলায় কম দামে অনেক ভালো গাছ পাওয়া যায়। করমচা গুলো লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনি বেশ চমৎকার তুলেছেন ছবি গুলো। মেলা কত দিন থাকবে জানাবেন।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

মেলা তো শেষ হয়ে গেছে ভাই।
তবে বাণিজ্য মেলা চলছে।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

DescriptionInformation
plagiarism-free
#steemexclusive
Ai Content - free

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.

Thanks

আমাদের দেশের ২৫ শতাংশ গাছ পালার জায়গায় মনে হয় ১৫ শতাংশ নাই। আর গাছা পালা কমে যাওয়ার কারনে অনেক প্রকার প্রাকৃতিক সমস্যা দেখা দেয়। এই মেলা গুলোতে আমার সেক্টর হতে বিভিন্ন রকমের কৃষি পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি স্থান থাকে কিন্তু আমি কখনো যাই নাই। গাছ তো দেখি মেলা উঠেছে।

আমাদের দেশে প্রায় ১৬% বনভূমি।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

দিনাজপুর কোনো না কোনো কাজে গেলে বড় মাঠ থেকে ঘুরে আসা হয়। কিন্তু কখনো বড় মাঠ এ কোনো রকম আয়োজন দেখা হয় নাই। তবে আপনার কাছে বড় মাঠে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা দেখে ও তার সম্পর্কে জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

বৃক্ষরোপণ অভিযান, এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ২০২৩ নিয়ে দারুন উপস্থাপন করেছেন আপু। বৃক্ষরোপণ মেলাতে অনেক গাছ পাওয়া যায়। গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান এই স্লোগানকে সামনে রেখে পদক্ষেপ গুলো নেয়া হয়। আমাদের অঞ্চলে বৃক্ষরোপণ মেলাতে আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি। বৃক্ষ মেলা থেকে অনেক গাছ কিনে নিয়ে এনেছি। দিনাজপুরের বৃক্ষরোপণ মেলা দেখে ভালো লাগলো। কাছে থাকলে অবশ্যই যেতাম। আপনি বৃক্ষ রোপন মেলায় গিয়ে অনেক গাছ দেখতে পেয়েছেন, এতে আপনি অনেক গাছের সাথে পরিচিত হতে পেরেছেন। আপনি অনেক সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ফটোগ্রাফি দারুন হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

দিনাজপুর বড় মাঠে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা। প্রতি বছর দিনাজপুর বড় মাঠে বৃক্ষরোপন মেলা উদযাপিত হয়। আমি ২০১৮ সালে বৃক্ষরোপন মেলা দেখেছি তারপর থেকে আর দেখার সৌভাগ্য হয়নি। মেলায় তোলা গাছের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।

@md-sajalislam.

20230511_105644__01.jpg

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

থিক বলেছেন আপু একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশের মাত্র ১৫.৫৮ শতাংশ, যেটা খুবই কম। যার কারনে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের দূর্যোগ দেখা দিচ্ছে। কিছুদিন আগেই দিনাজপুর বড়মাঠে বৃক্ষ মেলা হয়েছিলো। আমিও সেখানে গিয়েছিলাম। বিভিন্ন ধরনের গাছের পাশাপাশি একুরিয়াম, খাটি সরিষার তেল, ঘি ইত্যাদি পন্যও সেখানে উঠেছিলো। বৃক্ষ মেলা হওয়ার কারনে মানুষের গাছ লাগানোর আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। বৃক্ষ মেলা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।