বেতের তৈরি কাঠা এবং খুঁচি

in hive-131369 •  2 years ago 

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।



IMG_20230127_103234_364~2-01.jpeg

একসময় আমাদের দেশে প্রায় সর্বত্রই বাঁশ এবং বেতের তৈরি জিনিস ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে বাঁশের তৈরি জিনিস চোখে পড়লেও বেতের তৈরি জিনিস খুঁজেই পাওয়া যায় না। আগে গ্রামাঞ্চলে প্রায় এসব জিনিসপত্র প্রতিদিনই তারা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে আসতো। বর্তমানে এদের আর দেখা যায় না।



IMG_20230127_103355_939~2.jpg

হাটবাজারে এখনো কিছু জিনিস পাওয়া যায়। আমরা যখন ভাত রান্না করি, সেই রান্নার জন্য চাউল কোন পট বা মগ দিয়ে মেপে দেই। কিন্তু গ্রামে গঞ্জে কখনো পট বা মন দিয়ে মেপে দেওয়া হতো না। গ্রাম অঞ্চলে বেশিরভাগই তারা বেতের তৈরি কাঠা ব্যবহার করতেন। এটা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে মানুষ চিনে। এই কাঠা দিয়ে চাউল মেপে দেওয়া হতো তাই গ্রামের মানুষজন এটা খুব ভালোভাবে যত্ন করে রাখতেন।



IMG_20230127_103044_227~3.jpg

তাছাড়া এই কাঠার মধ্যে শুকনো খাবার নিয়ে মানুষ খেতেন। যেমন মুড়ি, চিড়া সাথে গুড়, নারিকেল ইত্যাদি। এগুলো যারা তৈরি করতেন তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বেত সংগ্রহ করতেন।তারপর সেগুলো কেটে রোদে শুকাতে দিতেন। বেতের তৈরি পাটির চাহিদা ও একসময় অনেক ছিল। কিন্তু বর্তমানে একদমই কমে গিয়েছে। এখানে আপনারা একটি কাঠা এবং একটি ঝুড়ি বা খুঁচি দেখতে পাচ্ছেন। এক ব্যক্তিকে তৈরীর জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছিল সাথে আরো কয়েকটি জিনিস ছিল। প্রথমে তিনি এসব তৈরি করতে রাজি ছিলেন না আমাদেরকে বললেন অনেক আগেই তিনি এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন।



IMG_20230127_103334_494~2.jpg

অনেক অনুরোধ করার পর তিনি রাজি হয়েছিলেন।তারপর কয়েকটি জিনিস তৈরি করে দিয়েছেন। তিনি বললেন অনেকদিন কাজ করা হয় না তাই কাজের মান কিছুটা খারাপ হয়েছে। আগে এসব জিনিস তিনি ডিজাইন করে তৈরি করতেন। তারপরও আমরা এগুলো হাতে পেয়ে ভীষণ খুশি। আমার কাছে কাঠার মধ্যে মুড়ি এবং গুড় নিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে। যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের বাড়িতে এগুলো অনেক ছিল।পরে সেগুলো ভেঙে গিয়েছে। সেজন্য অর্ডার দিয়ে এগুলো সংগ্রহ করা।



IMG_20230127_103053_343.jpg

IMG_20230127_103318_034~2.jpg

আগে গ্রামের প্রায় বেশিরভাগ বাড়িতে বেতের গাছ ছিল কিন্তু এখন আর কেউ সেই গাছ বাড়িতে রাখে না। তারা মনে করে এই গাছের কোন মূল্য নেই বর্তমানে। আমাদের সকলের সহযোগিতা এবং বিভিন্ন উদ্যোগ নিলে অনেক ঐতিহ্য টিকে থাকবে।




আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আমি জানতাম না যে এগুলোর নাম কাঠা বা খুঁচি।আগে দেখতাম যে যারা বিভিন্ন জায়গায় মাছ ধরে বা কাঁকড়া শিকার করে তাদের কাছে এসব ছিল। তারা তাদের ঘাড়ে করে এসব জিনিস বহন করতো আজকে ভালোভাবে জানতে পারলাম আপনার পোস্টটি পড়ে এসব সম্পর্কে। খুব সুন্দর পোস্ট করেছেন আপনি ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

এগুলো বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এগুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে ভাইয়া।। এগুলো তৈরি করতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় এবং এই হাতের কাজগুলো দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।

ধন্যবাদ

বেতের তৈরি কাঠা ও খুঁচি একটি ঐতিহ্যবাহী। আপনি কাঠা ও খুঁচির ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে করেছেন। দেখে মন জুড়িয়ে যাচ্ছে। ধন্যবাদ

ধন্যবাদ আপনাকে

বেতের তৈরি খুঁচি দিয়ে আগে ধান ও বিভিন্ন জিনিসপত্র মাপা হতো। আমার দাদু বাড়িতেই এই খুঁচি ছিলো। অনেক পুরাতন জিনিস নিয়ে পোস্ট করেছেন আপি।ধন্যবাদ

ধন্যবাদ

খুব সুন্দর করে কাটা নিয়ে পোস্ট করেছেন, গ্রাম অঞ্চলে এই সব জিনিস খুব কম দেখা যায়, আপনার পোস্ট পরে আমাকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ আপনাকে

ধন্যবাদ

ছোটবেলায় এগুলো দেখেছিলাম। এখন আর তেমন দেখা যায় না।ভালো লিখেছেন আপনি শুভকামনা রইল

ধন্যবাদ

CategoryYes ✅ / No ❌
Club Status
plagiarism-free
#steemexclusive
Verified user
Bot-free
300 Words

We expected you to be friendly and active in the Steem For Tradition Community. We appreciate your effort. Thank you for sharing your beautiful content with us ❤️.


Regards
shamimhossain (Moderator)

বেতের গাছ খুবই কম দেখা যায়। আমাদের এই দিকে তো নাই এগুলো।বেত দিয়ে বিভিন্ন রকমের জিনিস তৈরি করা হয়। আপনি অনেক সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ

বাহ্ আপনার জন্য শৈশব দেখতে পেলাম। এই কাঠা তে করে ছোট সময় মুড়ি খেতাম, আমাদের বাড়িতে এই কাঠা ছিলো অনেক গুলো, বেতের তৈরি কাঠাগুলো সত্যি অসাধারণ। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে

ধন্যবাদ

এই কাঠা এবং খুঁচি নামক জিনিসগুলোর সাথে আমি একদমই পরিচিত নই। আজকেই প্রথমবার দেখলাম আমি। ধন্যবাদ আপনাকে এগুলো নিয়ে লিখার জন্য।

ধন্যবাদ

এগুলোকে সাধারণত গ্রামে দোন বলে। এগুলো দিয়ে আগের মানুষ ধান নিয়ে চিড়া বিক্রি করত। সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

বেতের এসব জিনিস পত্র আমরা ভীষণ ভালো লাগে। তবে বাড়িতে ব্যবহারের জন্য ভালো এগুলো। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। 💞🥰

ধন্যবাদ

that is some amazing craftsmanship! thanks for this informative post about your tradition

Thanks

বাশেঁর জিনিস পত্র মানেই অসাধারন। দেখেই অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। আপনার পোষ্টটির উপস্থাপন সত্যি সুন্দর হয়েছে। আগে দেখতাম ছোট খুঁচি দিয়ে মুড়ি উঠাইতো।

বেতের তৈরি কাঠা বা খুচি হলো ঐতিহ্য। বেতের তৈরি কাঠা বা খুচি এখন আর দেখা যায় না বিলুপ্ত প্রায়। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপু।

বেতের তৈরি কাঠা বা খুচি হলো ঐতিহ্য।এগুলো বাঁশ দিয়ে তৈরি করে অনেক জন বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্র করে থাকে ।আপনি পোষ্টটির উপস্থাপন সত্যি সুন্দর করেছেন পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হয়েগেছি আমি অনেক ধন্যবাদ এই রকম কিছু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য

ধন্যবাদ

কাঠা এবং খুঁচি

জীবনে প্রথমবার এমন নাম শুনলাম৷ আর জীবনে প্রথমবার এই জিনিসখানা দেখলাম৷ বেতের গাছ খুলনায় বেশি দেখা যায়৷ আপনাদের টাঙ্গাইলে কি বেত গাছ এর চাষ হয়?

এখন চাষ হয় না। ধন্যবাদ

বেতের তৈরি জিনিসপত্রগুলো আসলে অসাধারণ। এগুলো একটি কারু কাজ। এই বেদের তৈরি জিনিসগুলো লোকেরা নিজের হাত দিয়ে তৈরি করে।