আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা
কেমন আছেন সবাই?আশা করছি ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
বাংলার ঐতিহ্য হাত পাখার বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে আসে।আগেকার দিনে গ্রামের মানুষের গরম থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল হাতপাখা।যদিও এখন হাতপাখা বিলুপ্তপ্রায়।এই আধুনিক যুগে হাতপাখার বদলে এসেছে বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিক পাখা, এয়ারকন্ডিশন।আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন গুলো। আগে কারেন্ট চলে গেলে গরম থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল হাতপাখা।প্রযুক্তি উন্নত হল হাতপাখার মর্ম কমেনি।হাতপাখার ব্যবহার অধিকাংশ দেখা মিলতো গ্রাম-গঞ্জে। বর্তমান সময়ে গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি কোনায় বিদ্যুত পৌঁছে যাওয়ার ফলে তেমন ব্যবহার নেই হাতপাখার।
গ্রামের মেয়েরা বিভিন্ন ডিজাইন দিয়ে বাহারি রংয়ের কাপড় দিয়ে হাত পাখা বানাতো।কেউ কেউ হাতপাখায় লিখতো তো নিজের নাম কেউবা লিখতো ভালোবাসার মানুষের নাম।কেউবা সুন্দরকরে ডিজাইন করে ঘরে ওয়ালমেট হিসেবে সাজিয়ে রাখতো।আগে গ্রামে গেলে দেখা মিলত এসব বাহারী হাতের কাজের জিনিস।মনে হয় এক ধরনের প্রতিযোগিতা চলতো। কে কার থেকে বেশি সুন্দর করে বানাবে তা নিয়ে থাকতো অনেক উৎসাহ।মেয়েরা কাপড় দিয়ে,তালপাতা দিয়ে হাতপাখা তৈরি করে থাকে।নিজেদের কর্মদক্ষতা প্রকাশ করতো।
ছোট বেলায় দেখতাম আমার নানুকে হাতপাখা বানাতে।খুব সুন্দর করে মনের মত ডিজাইন দিয়ে হাতপাখা বানাতো।অবশ্য আমার নানু কাপড় দিয়ে হাতপাখা বানাতো।সেগুলো টিকতো অনেক বছর।একটু ময়লা হলে ধুয়ে দেওয়া যেতো।পাখার বাতাস টাও অনেক আরামদায়ক লাগতো।নানু যখন যত্ন করে পাখা বানাতো তখন পাশে বসে চুপাচাপ দেখতাম।নানু আমার সাথে গল্প করতো আর পাখা বানাতো।বানানো শেষে সেগুলো সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতো।১দিনে বানিয়ে ফেলতো ১টি পাখা।তারপর আমরা সব ভাই বোনেরা মিলে পাখা নিয়ে কাড়াকাড়ি করতাম।
আমার পরিচয়
আমার নাম শেইখ দিশা।আমার জাতীয়তা বাংলাদেশি।আমি মুন্সিগঞ্জের মেয়ে ঢাকায় থাকি। আমার স্টিমিট ইউজার আইডি @sheikhdisha।আমি বড় হয়েছি চট্টগ্রামে। আমি ট্রাভেলিং,ক্রাফটিং,ফোটোগ্রাফি অনেক পছন্দ করি..। রান্না করতে ভালোবাসি।ইচ্ছা আছে বাংলাদেশ পুরোটা ঘুরে দেখার। সব কিছু করে দেখার চেষ্টা করি।কাজে ভিন্নতা আনার চেষ্টা রাখি।
আমাদের গরমের একমাত্র অবলম্বন হতো হাতপাখা। তবে যে পরিমাণে লোডশেডিং হচ্ছে হাতপাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নাই। সুন্দর লিখেছেন আপনি। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তালপাতার পাখা নিয়ে সুন্দর আলোচনা করেছেন। কালের বিবর্তনে এখন নানান ডিজাইনের প্লাস্টিকের হাত পাখা বের হওয়ার কারণে এই সব তালের পাতা বিলুপ্ত প্রায়। ধন্যবাদ আপু তালপাতার হাতপাখা নিয়ে সুন্দর আলোচনা করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী তালপাতার পাখা নিয়ে অসাধারণ লেখছেন আপু। তালপাতার পাখা এখন খুব কম ব্যবহার হয়,আগে এই ধরনের পাখা গুলো অনেক ব্যবহার হতো।আপনি দারুণ ফটোগ্রাফি করছেন আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকেও ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তালপাতার পাখাগুলো অনেক সুন্দর হয়। এগুলো বিভিন্ন হাটে, রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে বিক্রি করা হয়। এই গরমে লোডশেডিং এর সময়
স্বস্তির একমাত্র অবলম্বন হলো হাতপাখা । ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী তালপাতার পাখা নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন আপু। অনেক দিন পর তালপাতার পাখা দেখতে পেলাম। তবে প্রাচীনকালে এই তাল পাতার পাখার প্রচলন বেশি ছিল। এখন আগের মতো আর দেখতে পাওয়া যায় না তেমন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐতিহ্যবাহী হাত পাখা। তালের পাতার হাত পাখা দেখতে অনেক সুন্দর। আগে গরমের সময় গায়ে বাতাস করার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই হাত পাখা। বর্তমানে হাত পাখার সেই রকম ব্যবহার নেই। আপনি হাত পাখা নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করছেন ভাই। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার পোস্ট লেখার সাথে এই সোর্স এর লেখার অনেক মিল রয়েছে৷ আমার মনে হচ্ছে আপনি এই সোর্স থেকে লেখা কপি করে এই পোস্ট করেছেন৷
আপনাকে প্রথম ওয়ার্নিং দেওয়া হলো৷ পরবর্তীতে এমন কাজ করলে আপনার বিরুদ্ধে একশন নেওয়া হবে৷ সাবধান হয়ে যান।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যা ভাইয়া আমি জাস্ট ধারনা নিয়েছি। আমার লেখা তো হুবুহু মিল নেই।একটা লাইন একদম মিল আছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পোস্ট নিজে লেখার চেষ্টা করতে হবে৷ নিজের মত করে মনগড়া কথা লিখেন সমস্যা নেই৷ কিন্তু কোথাও থেকে কপি করে পোস্ট করা যাবে না৷ আপনার পোস্টের কিছু লেখা কপি/পেস্ট রয়েছে। এসব থেকে বিরত থাকুন৷ ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া।ধন্যবাদ!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাল পাতার হাত পাখা নিয়ে খুবই সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু। তালপাতার এসব হাত পাখার বাতাস অনেক ঠান্ডা হয়। আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার হাত পাখার ছবি দেখেই একটি গান মনে হয়ে গেলোঃ ও তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রাণ জুড়িয়ে আসে। প্রাচীন কালে আমাদের বাতাস করার একমাত্র মাধ্যম ছিলো হাত পাখা। কিন্তু প্রযুক্তির ভিড়ে আজ বিলুপ্তি প্রায় দারপ্রান্তে এই হাত পাখা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া কমেন্টের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই হাতপাখাগুলো খুব হালকা হয়। সাধারণত গ্রামে এগুলো বেশি পাওয়া যায়। ইলেকট্রিসিটি না থাকলে এগুলো ব্যবহার করে বাতাস নেয়া বেশ আরামদায়ক। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit