গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য হলো ধান রাখা গোলা।

in hive-131369 •  last year  (edited)

সোমবার,
তারিখ - ০৩জুলাই ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি ধান রাখার গোলা নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

IMG_20230621_163202.jpg
ধান রাখার গোলার কিছু ছবি
গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য গোলাঃ

একসময় গৃহস্থদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের একমাএ মাধ্যম ছিল গোলা।গ্রামের ভাষায় অনেকই এটিকে মাচা বলে থাকে। এই গোলা তৈরি করা হয় বাঁশ দিয়ে। এর চারপাশে বাঁশের বাতা দিয়ে ঘিরে ঘরের মতো তৈরি করা হয় এবং নিচের অংশে বাঁশের চাটাইয়ের উপরে মাটি দেওয়া হয়।গোলার উপরে খড়ের ছাউনি দেওয়া হয়।

IMG_20230621_163155.jpg

ধান,গম,ভুট্টাসহ সবধরনের দানাদার শস্য এই গোলায় সংরক্ষণ করে রাখা হতো।কৃষকেরা জমি থেকে ফসল কেটে এনে মাড়াই করার পর তা ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে গোলায় সংরক্ষণ করে রাখা হতো। সেসময় সারাবছর ফসল সংরক্ষণের একমাএ উপযোগী মাধ্যম ছিল এই গোলা। গোলায় আলো বাতাসের সুবিধা থাকায় ফসল সংরক্ষণ করে রাখলে তা নষ্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকতো না।

IMG_20230621_163211.jpg

একসময় গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এই ফসল সংরক্ষণের গোলা দেখা যেত।কিন্তু এখন পুরো এলাকা খুজলেও একটি গোলা দেখতে পাওয়া যাবে না আমাদের বাসায় ও এইরকম একটি গোলা ছিল ছোটবেলায় দেখতাম ধান মাড়ার পর রোদে শুকিয়ে গোলায় ভরে রাখতো।এবং প্রয়োজন মতো গোলা থেকে ধান বের করে বিক্রি করতো। ছোট বেলায় লুকোচুরি খেলার সময় ঐ গোলার ভিতরে লুকাতাম।কিন্তু আমাদের নতুন বাসা করার সময় ঐ গোলাটি ভেঙে ফেলা হয়।

IMG_20230621_163352.jpg

কিন্তু বর্তমানে মাটির গোলায় ফসল সংরক্ষণ করে রাখা এগুলো এখন শুধুই স্মৃতি। ফসল সংরক্ষণের গোলা বা মাচা এখন বিলুপ্তির পথে। কৃষকেরা মাঠ থেকে ধান ঘরে না তুলে বাইরে থেকেই সমস্ত ফসল বিক্রি করে দিচ্ছে। এছাড়াও এখন ইট,বালু,সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে বড় বড় গোডাউন ঘর।যেখানে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণ করে রাখছে।

IMG_20230621_163332.jpg

আমার তোলা এই গোলার ছবিগুলো আমার ছোট ফুপির বাসায় তোলা।তাদের বাসায় এই বাঁশের তৈরি গোলাটি এখনো রয়েছে।গোলাটির একপাশে তারা অল্প কিছু ধান রাখলেও বাকি অর্ধেক পাশ তারা অপ্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে ভর্তি করে রেখেছে। ফুপির শাশুড়ীর কাছ থেকে জানতে পারলাম এই গোলাটি নাকি ৪০-৪৫বছরের পুরনো।

আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।

মোবাইলের তথ্য সংরক্ষণঃ
মোবাইলTecno 9t spark
ক্যামেরা৩৮ মেগাপিক্সেল
পোস্টের ধরণঝাড়ু বিক্রেতা।
লোকেশনচিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া।
3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ,
@siza

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ধানের গোলা নিয়ে অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। আগে প্রচুর পরিমাণে মজুদ করা হতো এই সব গোলাতে। এখন টুকটাক দু একটা বাড়িতে ধানের গোলা দেখা যায়।কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের মাঝ থেকে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

মাটি দিয়ে গোলাঘর বানানোর কারনে এর ভিতর অনেক শীতল থাকে। আমি প্রায় সময় গোলায় ধান উঠাই। গোলায় অনেক দিন ধরে সুন্দর ভাবে ধান সংরক্ষণ করা যায়। আমি নিজেও এই গোলায় লুকোচুরি খেলতাম। সুন্দর লিখেছেন আপু অনেক ধন্যবাদ।

আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া

গ্রাম বাংলার কিছু পুরাতন ঐতিহ্যের ভেতর ধান রাখার গোলা হলো অন্যতম। আগে গ্রামীণ গৃহস্থ বাড়িগুলোতে এসব গোলা দেখা যেত তবে বর্তমানে নেই বললেই চলে। দারুন লিখেছেন আপনি ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া

গোলায় ধান সংরক্ষণ করা এটি অনেক পুরনো পদ্ধতি। গ্রাম বাংলার সকল কৃষকেরা এই পদ্ধতিতে ধান সংরক্ষণ করতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আজ এটি প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া

মাটির তৈরি গোলাঘর বিলুপ্তর পথে আগেকার সময়ে কমবেশি প্রতিটি গৃহস্থালির বাড়িতেই দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান সময়ে কালের বিবর্তনে মানুষের পরিবর্তন আসায় গোলাঘর আর তেমন দেখা যায় না। কিন্তু এখনকার সময়ে ধান মজুদ করে রাখা হয় না তেমন। গোলাঘর নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন।

ধন্যবাদ আপু

গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য বলা যায় গোলাঘর।আগেকার সময়ে কৃষকেরা মাটির তৈরি গোলাঘরে ধান মজুদ করে রাখতো। কিন্তু কালের বিবর্তনে সব কিছুই হারিয়ে যেতে বসছে। এখনকার সময়ে তেমন গোলাঘর দেখা যায় না।

ধন্যবাদ ভাইয়া

গোলা হলো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। কৃষকেরা ধান রোদে শুকিয়ে তা অনেক দিন মজুদ করে রাখার জন্য এই গোলায় ধান ভরে রাখে। এতে ধান শীতল ও ঠান্ডা থাকে। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করছেন।

ধন্যবাদ ভাইয়া

গ্রামবাংলার ঐতিহ্য হলো ধান রাখার গোলা। আগেকার সময়ে কৃষকের ধান চাষাবাদ করে সেই ধান মজুদ করে রাখে গোলা ঘরে। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য গোলাঘর।গ্রাম-গঞ্জের গোলাঘর ঐতিহ্য বহন করে।

ধন্যবাদ ভাইয়া

ধান রাখা গোলাঘর সম্পর্কে অনেক সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু। ধান মাড়াই করার পর সিদ্ধ করে রৌদ্র শুকিয়ে অথবা শুধু রৌদ্রে শুকিয়ে সংরক্ষণের জন্য এসব গোলাঘরে রাখা হয় । সুন্দর সাজিয়ে গুছিয়ে লিখছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই

ধন্যবাদ ভাইয়া

ধান রাখার এই গোলা আমাদের এলাকায় এক সময় অনেক দেখা যেত। বর্তমানে আর দেখা যায় না। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় এখনো এগুলো চোখে পড়ে। অসাধারণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছেন।শুভকামনা রইল আপনার জন্য

ধন্যবাদ ভাইয়া

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গোলা নিয়ে দারুণ লেখছেন আপু।আগের মত তেমন গোলা দেখা যায় না।গ্রামের মানুষ আগে এই গোলার মধ্যে ধান সংরক্ষণ করতো।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।

ধন্যবাদ ভাইয়া

আমাদের এলাকায় এই ধরনের ধানের গোলা একদম দেখা যায় না। আমাদের এলাকায় কৃষকেরা তাদের নিজ ঘরেই ধান সংরক্ষণ করার জন্য মাচা তৈরি করে থাকে। তবে উত্তরবঙ্গের সবাই এইভাবে ধানের গোলা তৈরি করে ধান সংরক্ষণ করেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।

ধন্যবাদ আপু

একসময় গ্রামের মানুষেরা ধান চাষাবাদ করতো খুব। তখন প্রচুর ধান হতো। এতো বেশী ধান রাখার জন্য আলাদা করে একটি গোলা ঘর বানানো হতো। গোলা ঘর সম্পর্কে খুবই চমৎকার লিখেছেন।

ধন্যবাদ

Loading...