বাঁশের তৈরি সাঁকো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের নিদর্শন।

in hive-131369 •  2 years ago  (edited)

সোমবার ,
তারিখ -১৭জুলাই ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি ঐতিহ্যবাহী সাঁকো নিয়ে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

IMG-20230717-WA0009.jpg
ঐতিহ্যবাহী সাঁকোর কিছু ছবি ধারণ
-
---
ঐতিহ্যবাহী সাঁকোঃ

প্রাচীনকালে নদী পারাপারের একমাএ মাধ্যম ছিল এই বাশেঁর তৈরি সাকোঁ।সেসময় বাংলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই সাঁকোর ব্যবহার ছিল। বর্ষাকালে নদ-নদী, খালবিল চারিদিক কানায় কানায় ভরে যেত। আর তখন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে মানুষ যাতায়াত করতো বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে। প্রাচীনকালে গ্রাম বাংলায় বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে পারাপার সবার কাছেই ছিল একটি পরিচিত দৃশ্য।

IMG-20230717-WA0008.jpg

আমার তোলা এই বাঁশের তৈরি সাঁকোটি আমার ছোট ফুপির পুরনো বাসার সামনে অবস্থিত।ওদের বাসার সামনে একটি ছোট নদী রয়েছে। এই নদী পারাপারের একমাত্র মাধ্যম এই সাঁকোটি।তারা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত করে এই সাঁকোর সাহায্য। ছোট বেলায় যখন ফুপির বাসায় বেড়াতে যেতাম তখন দেখতাম ফুপাতো ভাইকে এই সাঁকো দিয়ে পার হয়ে স্কুলে যেতে।আমি ও ভাইয়ার সাথে স্কুলে যেতাম তবে একাই পার হতে পারতাম না আমার ফুপাতো বোন আমাকে কোলে করে পার করে দিত।আবার আসার সময় ও আপুই আমাকে পার করে নিয়ে আসতো। এবার ঈদের ছুটিতে ফুপিদের পুরনো বাসায় বেড়াতে গিয়ে দেখলাম এই বাঁশের তৈরি সাঁকোটি এখনো রয়েছে। আমার চাচাতো বোন আর আমার ভাতিজি এই সাঁকোতে উঠে কিছু ছবি তুললো।আমার চাচাতো বোন তো বাঁশ ধরে ঝুলতে শুরু করলো তখন আমার খুব ভয় লেগেছিল।চাচি বকা দিলে ও সাঁকো থেকে নেমে আসে।ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় লক্ষ্য করলাম একজন লোক মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে সাঁকো দিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে।ফুপিকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম ওদের গ্রামে কোনো মসজিদ নেই। দু গ্রাম মিলে একটাই মসজিদ।

IMG-20230717-WA0007.jpg

IMG-20230717-WA0006.jpg

IMG-20230717-WA0005.jpg

এই বাঁশের তৈরি সাঁকো গুলো আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য বহন করে।এসব সাকোঁ তৈরি করতে বাঁশ ও দড়ির প্রয়োজন। প্রথমে দু পাশে দুইটি করে চারটি বাঁশ ও মধ্যেখানে দুইটি বাঁশ পুতাঁ হয়। এরপর বাঁশগুলোর মাঝ বরাবর একটি বাঁশ এবং উপরে ধরার জন্য একটি বাঁশ শক্ত করে দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। এই সাঁকো গুলো খুবই অল্প খরজেই তৈরি করা হয়। এবং এর জন্য অভিজ্ঞ কোনো মিস্তির প্রয়োজন হয় না। একসময় নদ-নদী, খালবিল পারাপারের একমাত্র মাধ্যম সাঁকো হলেও এখন মানুষ ইট,পাথর বালু,রট দিয়ে বড় বড় ব্রিজ তৈরি করছে।এখন আর বাঁশের তৈরি এসব সাঁকো তেমন দেখাই যায় না।

IMG-20230717-WA0005.jpg

IMG-20230717-WA0004.jpg

IMG-20230717-WA0003.jpg

আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।

মোবাইলের তথ্য সংরক্ষণঃ
মোবাইলTecno 9t spark
ক্যামেরা৩৮ মেগাপিক্সেল
পোস্টের ধরণসাঁকো।
লোকেশনচিরিরবন্দর, গুড়িয়া পাড়া।
3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ,
@siza

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

বাঁশের তৈরি সাঁকো নিয়ে অসাধারণ একটি পোস্ট করেছেন। জন্মের পর থেকে শুধু এই সাঁকোটি ব্যবহারই করে এসেছি। মাত্র ৫-৬ বছর আগে সবকিছু পূর্ণ নির্মাণ করা হয় যার ফলে সব এখন পাকা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া

ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরি সাঁকো নিয়ে সুন্দর একটা পোস্ট উপস্থাপন করেছেন আপনি।বাঁশের তৈরি সাঁকো আমাদের গ্রাম অঞ্চলে ছিল বর্তমান এখন নাই।আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্ট করার জন্য।

ধন্যবাদ

গ্রাম বাংলার এক অন্যতম ঐতিহ্য হলো বাঁশের তৈরি সাঁকো।বাঁশের এসব সাঁকো দিয়ে খাল বিল মানুষ পার হয়। আপনি ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর করেছেন আপু দেখে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া

বাঁশের তৈরি সাঁকো সব চেয়ে বেশি গ্রামে ব্যবহার করা হয়। যে সব জায়গায় ছোট ছোট নদী রয়েছে এবং যেখানে এখন ও পর্যন্ত কোনও ব্রিজ বা সেতু নেই সেই সকল জায়গায় এই বাঁশের তৈরি সাঁকো তৈরি করা হয়।

ধন্যবাদ ভাইয়া

গ্রামে ছোট ছোট খালের উপরে এরকম সাঁকো দেখা যায়। ছোটবেলায় আমি অনেক পার হয়েছি এরকম সাঁকো দিয়ে।পার হওয়ার সময় অনেক ভয় লাগে। আমাদের এই কমিউনিটির জন্য ঐতিহ্যবাহী অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি। চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন,শুভকামনা রইল

ধন্যবাদ ভাইয়া

আগেকার দিনের ছোট ছোট নদী বা খাল-বিল পার হওয়ার জন্য এরকম সাঁকো দেখতে পাওয়া যেত। কিন্তু বর্তমানে তা আর দেখতে পাওয়া যায় না। আমাদের এলাকায় শুধু একটা বাঁশ আর দড়ি দেওয়া আছে। অনেক সুন্দর ছবি তুলেছেন।

ধন্যবাদ ভাইয়া

বাঁশের তৈরি সাঁকো গ্রামগঞ্জের ঐতিহ্য। আমি বাসের সাঁকো দিয়ে অসংখ্যবার যাতায়াত করেছি। এখনো বর্ষার সময় আমাদের গ্রামের বাড়িতে যেতে হলে বাঁশের তৈরি সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ ভাইয়া

আগে বিভিন্ন ছোট ছোট খালে বা নালায় এ ধরনের সাঁকো ব্যবহার করা হত।এখন এগুলোর প্রচলন নেই বললেই চলে। আমি অনেকদিন আগে এরকম সাঁকো দেখেছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ

বাশের তৈরি এই সাকো গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। একসময় নদী বা ছোট খাল পার হওয়ার জন্যই সাকোই ছিলো একমাত্র পথ। তবে এখন ব্রীজ নির্মানের কারনে আর সাকোগুলো।দেখা যায় না। সাকো নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।

ধন্যবাদ

Loading...

কেবলমাত্র একটি বাঁশ দিয়ে তৈরি করা সাঁকো দেখেই ভয় লাগছে। আপনার প্রথম ছবিটি দেখেই আমি মোটামুটি ভয় পেয়ে গিয়েছি। যারা এই সাঁকো রেগুলার ব্যবহার করে তাদের কাছে এই সাঁকো দিয়ে পার হওয়া কোন ব্যাপারই না। এমনকি বাচ্চারাও দৌড়ে দৌড়ে এই সাঁকো পার হয়ে যেতে পারে। ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ আপু

বাঁশের তৈরি সাঁকো ঐতিহ্য বহন করে। নদী ও খাল বিল পারাপারের জন্য এই বাঁশের তৈরি সাঁকো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাঁকো সাধারণত নদী অঞ্চলেই বেশির ভাগ দেখা যায়। সাঁকো নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করেছেন।

ধন্যবাদ ভাইয়া