গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কুমারশিল্প হলো - মাটির তৈরি বাটনা বা কাসা।

in hive-131369 •  2 years ago  (edited)

সোমবার
তারিখ - ২১ মার্চ ২০২৩

আসসালামু আলাইকুম,

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, সকলে কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে আপনারা সবাই ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার রহমতে ভালোই আছি। স্টিম ফর ট্রাডিশন কমিউনিটিতে আজ আমি ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বাটনা নিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করব।

IMG_20230320_212244.jpg
ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বাটনা বা কাসা।
ঐতিহ্যবাহী বাটনা বা কাসা

কুমারের হাতে মাটি দিয়ে তৈরি বাটনা বা কাসা হলো একটি ঐতিহ্যবাহী পণ্য। আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে এই মাটির তৈরি বাটনা বা কাসা ব্যবহার করা হয়। এই বাটনাকে আমাদের গ্রামের লোকেরা কাসা নামে চিনে। কাসা আমাদের ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহ্ত হয়। এই মাটির তৈরি কাসা আদিমকাল থেকে মানুষেরা ব্যবহার করে আসতেছে।

IMG_20230320_212631.jpg
ঐতিহ্যবাহী বাটনা বা কাসার ব্যবহার বিধিঃ

আমাদের দৈনন্দিন রান্নার প্রায় সকল কাজে বাটনা ব্যবহার করা হয়। এই বাটনা দিয়ে আদা,রসুন, জিরা,মরিচ, পেয়াজ,ধনিয়াসহ সব রকম মসলা খুব সহজেই বাটা যায়।অল্প সময়েই সকল প্রকার ভর্তাও করা যায় এই বাটনা দিয়ে। এটি মাটির তৈরি হওয়ায় ভর্তা অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। দামে কম হওয়ার এটি প্রায় সকল শ্রেণির মানুষ ক্রয় করতে সক্ষম। এই বাটনা দিয়ে মাছ ও পরিষ্কার করা যায় খুব অল্প সময়েই।অনেকে আবার কাঠাঁলের বিচিও পরিষ্কার করে এই বাটনা দিয়ে। অনেক সময় রান্নার কাজের ঢাকনা হিসেবেও বাটনা ব্যবহৃত হয়।সাধারণত গ্রাম ওশহরের হাট-বাজারে এসব বাটনা বিক্রি করতে দেখা যায়। অনেক কামারেরা এসব জিনিসপত্র ভ্যানে করে গ্রামে গ্রামে বিক্রি করে।খুব সস্থা দামেই এসব কেনা যায়।

received_1421572331932814.jpeg

বাটনার সাহায্য মরিচ বাঁটাবাঁটি ও যেকোন ধরনের ভর্তা কম সময়ে এবং হাত জ্বালা-পোড়ার ভয় ছাড়াই সকল ধরনের বাঁটাবাঁটির কাজ করা যায়। মাটির তৈরি এসব বাটনার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের নকশা আকাঁ থাকে যাতে করে যে কোনো জিনিস খুব সহজেই গুড়ো হয়ে যায়। বাটনা নারীদের রান্নার কাজের নিত্যদিনের সঙ্গি।এই বাটনাটি সাধারণত ৫০থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে এবং এর বাটন বা শিংটি আলাদা করে কিনে নিতে হয়।কাজ শেষে বাটনাটিকে খুব সহজে পরিষ্কার করে রাখা যায়।

IMG_20230320_212320.jpg
ঐতিহ্যবাহী বাটনা বা কাসার মাধ্যমে কুমারদের জীবিকা নির্বাহঃ

মাটির তৈরি বিভিন্ন ধরনের হাঁড়ি-পাতিল, কাসা,ছোট- বাচ্ছাদের খেলার সামগ্রী পাওয়া যায়। কুমাররা তাদের তৈরি পণ্য গ্রামে গ্রামে অটো ভ্যান করে তারা জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের হাতে তৈরি এই মাটির পাত্র আগেকার যুগে প্রচুর পাওয়া যেত।

IMG_20230320_212559.jpg
আমার লেখা পোস্ট পড়ার জন্য সকলকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। সকলে সুস্থ ও ভালো থাকবেন।
মোবাইলের তথ্য সংরক্ষণঃ
মোবাইলTecno 9t spark
ক্যামেরা৩৮ মেগাপিক্সেল
পোস্টের ধরণকাসা বা বাটন
লোকেশনচিরিরবন্দর গুড়িয়া পাড়া
3zpz8WQe4SNGWd7TzozjPgq3rggennavDx3XPY35pEAVnpvDGTmz6yM4BdeUwpQ8vMxtR3sQse9kG46R2Lk4NBaGfzPmL5tiA85DdFd7TDvbMGaNMAY2RBgSWfNp5kM1Qjr3515gWKvjxzADBcu4.png
Vote for @bangla.witness

ধন্যবাদ,
@siza

!
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

মাটির তৈরি বাটনা প্রাচীনকাল থেকে আমাদের বাসায় ব্যবহার হয়ে আসতেছে। মরিচ, মসলা, আদা বাটার জন্য ব্যবহার হয়ে আসতেছে এই বাটা। তবে শহরে আর এই বাটা দেখতে পাওয়া যায় না। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া অনেক ধন্যবাদ।

আপনি অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। এটি আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয় যা প্রতিদিন ই আমারা আমাদের কাজে লাগিয়ে থাকি। এমনকি খুব জলদি কোনো মসলা রেডি করতে চাইলে এর বিকল্প কিছু নাই। অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ।

গ্রামাঞ্চলে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়ে আসছে মাটির তৈরি বাটান। আঞ্চলিক ভাষায় আমরা একে পশুন বলে চিনি। গ্রামের খোঁজ করলে দেখতে পাওয়া যায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতে এই পশুন ব্যবহার হয়ে আসছে। এই পশুন ব্যবহারকরে মরিচ বাটা মসলা বাটা কাজ করা হয়। আপনি অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এটার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভর্তা এবং মসলা পিষতে দেখেছি অনেক। আমাদের এলাকায় এটার ব্যবহার নেই বললেই চলে। আপনি লিখেছেন ভালো কিন্তু মাটির তৈরি জিনিস গুলো কুমাররা তৈরি করে। আপনি পোষ্টের সব জায়গায় কামার ব্যবহার করেছেন। এডিট করে ঠিক করেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য

জ্বি ভাইয়া আমার ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। আর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

এই বাটনা গুলো বিভিন্ন ধরনের ভর্তা করার জন্য খুব বেশ কার্যকর। উত্তরবঙ্গে এই বাটন গুলোর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। অনেকে আবার এই বাটনা গুলোতে মাছ পরিষ্কার করে থাকেন।মাটির তৈরি এই বাটনা গুলোর আসলেই নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

মাটির তৈরি বাটনা বা কাসা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন।আমাদের গ্রামঅঞ্চলের মানুষ এই বাটনা বা কাসাকে সারোয়া নামে চিনে। এটি আমাদের গ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্য। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে সেয়ার করেছেন।সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন আপু। অসাধারণ হয়েছে পোস্টি। সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

এসব কাসাতে বিভিন্ন প্রকার মসলা ও ঝাল পেঁয়াজ ইত্যাদি বাটা হয় তরকারিতে দেওয়ার জন্য। কুমরেরা খুব সুন্দর ভাবে এসব জিনিস তৈরি করে।এসব জিনিসের উপর আবার নকশাও দেওয়া হয় মাঝে মাঝে কাঁসা সাধারণত ছোট-বড় মাঝারি সাইজের পাওয়া যায়।এটি হলো বাংলার এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জিনিস গ্রামের মহিলারা এটি প্রায় প্রতিদিনই ব্যবহার করে তরকারিতে মসলা দেওয়ার জন্য।বাটনা নিয়ে খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি খুব সুন্দরভাবে পরিবেশন করেছেন। আসলেই প্রশংসার যোগ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য আমাদের মাঝে।

Loading...

বাটনা বা কাসা এটার সাথে আমার কোনো পরিচয় ছিলো না। চিনতাম ই না, সৈয়দপুর যখন আসতে হয়, তখনই দেখলাম মসলা বাটার জন্য চমৎকার একটি যন্ত্র এই বাটনা, অনেক সহজেই মসলা বাটা যায়, তাই আমিও কিনে আনলাম এই মসলা বাটার যন্ত্রটি। এখন নিজেও মসলা বাটার জন্য ব্যবহার করি। আপনি অনেক সুন্দর পোস্ট করছেন, যা মানুষের জন্য খুবই প্রযোজনীয় একটা মাধ্যম। অনেক সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন আপু। অনেক ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হলো বাটনা বা কাসা। কামারেরা নিপুণ ভাবে মাটি দিয়ে তৈরি করে থাকে। এই বাটনা বা কাসা আমাদের সকলের প্রয়োজনীয়। এই বাটনা বা কাসা দিয়ে আমরা সাধারনত মসলা,মরিচ,ইত্যাদি তরকারি উপকরণ গুলো বেটে নিয়ে থাকি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই বাটনা বা কাসা প্রয়োজন পড়ে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সকলের মাঝে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।

কুমারের তৈরি বাটনা বা কাসা আমাদের সকলের পরিচিত। এই বাটনা দিয়ে আমরা ভর্তা, মসলা,মরিচ ইত্যাদি তরকারির উপাদান গুলো বেটে থাকি। আপনার পোস্ট কোয়ালিটি যথেষ্ট ভাল। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

গ্রামাঞ্চলে সবথেকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে মাটির তৈরি এই পশুনটি।আঞ্চলিক ভাষায় আমরা পশুন বলি।এটিকে বাটনা বাটার জন্য বা মাছ পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়।গ্রামের কম বেশি সকল বাড়িতে এ পশুন রয়েছে।মরিচ মসলা ও পেঁয়াজ ইত্যাদি বাটার কাজে পশুন ব্যবহার করা হয়।এছারাও গ্রামের মানুষরা বিভিন্ন রকম ভতা এ পশুনে করে থাকে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ভাবে গ্রামের একটি উপস্থাপন করা জন্য।

আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন কাসা বা বাটনা নিয়ে। গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এটা খুব ব্যবহার করে আর প্রচীনকাল থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের মাঝে রয়েছে এই বাটনা।এই বাটনা দিয়ে আমারা অনেক ধরনের জিনিস গুড়ো করি এবং এটা গুড়ো করার জন্য আমাদের অনেক হেপাজত করে।কারন এই বাটনাই যদি আমরা মরিচ বেটে নেই তাহলে আমরা সেই মরিচ গুলো আমরা খুব সহজেই বেটে নিতে পারি।আপনি অনেক সুন্দর লেখছেন আপু আপনার পোস্ট পরে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম, আর মাটির তৈরি জিনিস গুলো খুব সুন্দর হয়ে, সবাই কিন্তু এই মাটির তৈরি জিনিস গুলো বানাতে পারে না, যারা শুধু কুমার তারাই শুধু এই মাটির তৈরি জিনিস গুলো বানাতে পারে।আর যারা বানাতে পারে তারা এই মাটির তৈরি জিনিস গুলো বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে, কিছু কিছু মানুষ এখনো তারা মাটির তৈরি জিনিস গুলো বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে,আবার দেখা যায় কুমাররা গ্রামে গ্রামে ঘুরে এই জিনিস গুলো বিক্রি করে। আপনি খুব সুন্দর লেখছেন আপু, বাটনা আমাদের অনেক পুরনো একটা ঐতিহ্য,আপনি অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন।আমরা এই বাটনায় মরিচ,মসলা, আডা,রসুন ইত্যাদি এগুলো সব জিনিস আমরা এই বাটনায় বেটে নেই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

বাটনা নিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা করেছেন। আমাদের দেশের গ্রাম অঞ্চলে এর প্রভাব বেশি। এটি গ্রাম অঞ্চলে মরিচ,পিয়াজ,রসুন ও আদা বাটা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

এটা হলো মাটির বাটনা। এটিতে পিষে বিভিন্ন ভর্তা করা হত। আমাদের বাসায় এগুলো একটা এখনো আছে৷ কিন্তু, এখন এগুলো আর দেখা যায় না। এক সময় এগুলোর প্রচলন খুব ব্যাপক ছিলো। এই সব বাটনা মূলত কোনো কিছু বাটতে বা পিষতে ব্যবহার হয়। কিন্তু কালের বিবর্তনে এগুলো হারিয়ে গিয়েছে।ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে মধ্যে তুলে ধরার জন্য।

মাটির তৈরি এসব বাটনা দৈনন্দিন অনেক কাজে প্রয়োজন। এগুলো দিয়ে সহজে কিছু কাজ সম্পন্ন করা যায়। এগুলোর দামও অনেক কম, তাই অনেকেই এগুলো ব্যবহার করেন।