ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা -প্রথম সপ্তাহ : বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর

আসসালামুআলাইকুম। আজ আমি Steem For Tradition কমিউনিটিতে আয়োজিত ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার প্রথম সপ্তাহে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।

আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। আমি শেষবার যখন ঢাকা ভ্রমণ করেছিলাম তখন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর পরিদর্শন করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলাম। মূলত আমার ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ ছিল না, কারণ আমার বন্ধু শুভ অসুস্থ থাকার কারণে সে ঢাকা থেকে বাসায় চলে গিয়েছিল। তবে আমার অনার্স লাইফের একজন বন্ধু ঢাকায় থাকে এবং তার কথায় আমি বিমান বাহিনী জাদুঘর পরিদর্শনের ব্যপারে আগ্রহী হয়েছিলাম। ঢাকায় চিত্তবিনোদনের জায়গা আছে অনেক কিন্তু ট্রাফিক জ্যামের কারণে কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না।

আমি দুপুরের দিকে প্রথমে আমার বন্ধুর সাথে দেখা করি। তারপর তাকে নিয়ে সিএনজি-এ তেজগাঁও এর উদ্দেশ্যে রওনা হই। বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর তেজগাঁও বিমানবন্দরের নিকটেই অবস্থিত।

আমরা জাদুঘরের সামনেই নেমেছিলাম। এরপর জাদুঘর সংলগ্ন টিকিট কাউন্টার থেকে জাদুঘরে প্রবেশের জন্য দুটি টিকিট কিনেছিলাম। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ছিল ৫০ টাকা।

প্রহরীর দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তাকে টিকিট প্রদর্শন করে আমরা মূল জাদুঘরে প্রবেশ করি। জাদুঘরে অনেক যুদ্ধ বিমান পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের অনেক ঐতিহাসিক বিমান আর হেলিকপ্টার সংরক্ষণ করা হয়েছে এই জাদুঘরে।

তবে সবার প্রথমে যে বিমানটি দেখেছিলাম তা ছিল এক কথায় চোখ ধাঁধানো। এই বিমানটির নাম "বলাকা বিমান"। বলাকা বিমান বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম যাত্রিবাহী বিমান যা ১৯৫৮ সালে প্রথম বাংলাদেশে আসে এবং বিমানটি রাশিয়ার তৈরি ছিল।

এটি স্বাধীন বাংলাদেশের সংগৃহীত প্রথম বিমান এবং এই বিমানটি বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিমান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছিল। বিমানটি দূর থেকে দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল।

স্বাধীনতার এত বছর পরেও বিমানটিকে নতুনের মত মনে হচ্ছিল। এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ বেশ যত্নসহকারে বিমানটি সংরক্ষণ করেছে। জাদুঘরের এই বিমানটিই আকারে অন্যান্য বিমানের তুলনায় বড় মনে হয়েছে।

বিমানটি এত বড় ছিল যে একটু কাছ থেকে পুরো বিমানটিকে ক্যামেরবন্দি করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই দূর থেকে কিছু ছবি তুলেছিলাম আর কিছু ছবি ওয়াইড এংগেল ক্যামেরা ব্যবহার করে তুলেছিলাম।

বাংলাদেশের এই ঐতিহ্যবাহী বিমানটি চোখের সামনে দেখতে পেরে নিজেকে ঐতিহ্যের অংশীদার বলে মনে হচ্ছিল। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছিল এবং ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে থাকা এই বিমানটিকে দেখে খুব আনন্দিত হয়েছিলাম। ইতিহাসের সাক্ষী হতে চাইলে একবার ঘুরে আসতে পারেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর।

• ডিভাইস- স্যামসাং এস২১ আল্ট্রা
• লোকেশন- Q9HJ+R9R Dhaka