সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস ত্যাগ করে এখন আমরা সবাই ঘুমাই-ই সকালে। কারণগুলো অনেকের অনেক। সবার কারণ বাদ দিয়ে আমার কারণটা বলি।
প্রায় ৪ বছর হলো আমি ঘুমোই না রাতে। কারণটা শুরুর দিকে একটা হলেও পরবর্তীতে সেই কারণ তেমন কাজে না দিলেও অভ্যাসটা থেকেই যায়।
যাইহোক, রাত যখন আপনাকে সম্পূর্ণ একাই কাটাতে হয় তখন আপনি বুঝতে পারবেন সম্পূর্ণ একটা রাত একা কাটানো কেমন কঠিন। আমার সেই রাত কাটতো লিখালিখি, কবিতা আবৃত্তি, কখনো একা হাটাহাটি আবার কখনো উদ্ভট সব চিন্তা করে। তারপর করোনার দীর্ঘ ছুটিতে এসে মনে হলো অন্তত নামাজটা পড়া দরকার ঠিকভাবে। তারপর থেকে চেষ্টা করতাম ভোরেই ঘুম থেকে ওঠার। কিন্তু আমি তো ঘুমাইতামি সকালে। তাও এখনো এমন দিন যায় আমি রাতে ঘুমোতেই পারিনা কিন্তু এমন দিন আমি যাইতে দেইনা যেদিন আমার ভোরে ঘুম থেকে ওঠা হয়না। আজকেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফজর নামাজ, তারপর খুব কাছের এক ভাইয়ের মেয়ের আকিকা তারপর মাঠে খেলতে গিয়ে অনেক রোদ দেখে না খেলেই বসে থাকা। এভাবে কেটে গেলো আমার আজকের দুপুর।
দিন কেমন কড়া কিংবা গরম সেটা আপনি তখনই বুঝবেন যখন আপনি বিছানায় শোয়া মাত্র গভীর ঘুমে তলিয়ে যাবেন।
দুপুরে সেই ভাইয়ের মেয়ের আকিকা উপলক্ষে দাওয়াতের আগে বিছানায় সামান্য গা এলিয়ে দিতেই গভীর ঘুমে চলে গেলাম। কয়েক মিনিটের ঘুমে সুন্দর একটা স্বপ্নও দেখে ফেললাম। কিন্তু স্বপ্ন সুন্দর হওয়ায় সেটা আর মনে করতেই পারলাম নাহ। স্বপ্নের এই একটা সমস্যা আজ আবিষ্কার করলাম। আপনি যখন খুব ভালো স্বপ্ন দেখবেন তখন সেটা মনে করতে পারবেন না। আবার আপনি যখন খুব খারাপ স্বপ্ন দেখবেন তখন চাইলেও সেটা ভুলতে পারবেন না। প্রকৃতি এমন অনেক খেলাই আমাদের সঙ্গে খেলে কিন্তু আমরা মানুষরা সেই খেলা বুঝে ওঠার আগেই দুঃখবিলাসে ব্যস্ত হয়ে পড়ি আর ভাবতে শুরু করি, "জীবনটা শুধুই কষ্টের"! অথচ জীবন অনেক সুন্দর। অসম্ভব সুন্দর।
যাইহোক তারপর সেই ভাইয়ের বাসায় দাওয়াত খেয়ে এসে আবার লিখতে বসলাম আমার পরবর্তী শর্টফিল্ম এর স্ক্রিপ্ট নিয়ে। তারপর বিকেলের নামাজ পড়ে মাঠে খেলা দেখার উদ্দেশ্যে গিয়ে খানিক বৃষ্টি বিলাস। তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ে ভাবলাম আমি স্টিমিটে আজকেই প্রথম তো কি হয়েছে, আজ থেকেই শুরু করি আমার ডায়েরি।
যেমন ভাবনা তেমন কাজ। আর সেই ডায়েরি লিখতে লিখতেই ভাবছিলাম, আজ রাতে কিভাবে ঘুমোবো। আবার ভেবেছি রাতে ঘুমোই কিংবা না ঘুমোই সূর্যোদয় আমি ঠিকই দেখবো। শুভ রাত্রি সবাইকে 💙
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
নাইস রাইটিং
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর লেখা। এমনেই লেখা এমনেই ডায়েরি খুজছিলাম। সবাইকে এই ধরনেরই ডায়েরি লিখতে বলি আমি। তবে লেখাটা আরো বড় করলে ভালো হত।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজ থেকে করবো ভাই ইংশাআল্লাহ।
আর আপনাকে ধন্যবাদ ভাই💙
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Nice Dairy. Have a nice day. You have written very well
Thank you
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
thank u very much brother💙
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You are most welcome
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit