হ্যালো বন্ধুরা।
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি।
আশা করি আপনারা যে যেখানে রয়েছেন সবাই সুস্থ,সুন্দর রয়েছেন আর স্টীমেটের সাথেই রয়েছেন।
সংক্ষেপে বিরিয়ানির ইতিহাসঃ
তইমুর নামক এক তুর্কি ১৩৯৮ সালে ভারতবর্ষে বিরিয়ানি নামক খাবারের প্রচলন করেন। তখন রান্নার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন রক্ম ছিল। গনগনে আগুনের ভিতরে এজটি বড় মাটির হাড়ি বসিয়ে তার ভিতরে মাংস, চাল ,তেল, ঘি্ ও বিভিন্ন রকঅম মসলা দেয়া হত। তারপর একটা নির্দিষ্ট সময় পর নামিয়ে পরিবেশন করা হত।
তবে কারো কারো মতে ভারতবর্ষে বিরিয়ানির প্রচলনের পিছনে আরব ও তুরস্কের ব্যবসায়ীদের অবদান রয়েছে। তবে এর পেছনে কেও তেমন প্রমান দেখাতে পারেনি।
তবে সবচেয়ে প্রচলিত যে ইতিহাস তা থেকে আমরা জানতে পারি সম্রাট শাহজাহান তার সৈন্যদের শারীরিক ভাবে শক্তিশালী করার জন্য তার বাবুর্চিকে একটি বিশেষ খাবার বানাতে বলেন ,বাবুর্চি তখন এক বিশেষ খাবার তৈরি করলেন সৈন্যদের জন্য। সে খাবার সম্রাট নিজেও খানিকটা খেয়ে দেখলেন এবং তার খুবই পছন্দ হলো। এরপর সম্রাট জেখানেই জেতেন সেখানেই এই খাবার বানাতে বলতেন এবং সব জায়গায় এই খাবার বেশ পছন্দ হয় সয়াব্র। ধীরে ধীরে পুরো ভারতবর্ষে এই খাবারে সুনাম অর্জন করে আজকের এই বিরিয়ানি নাম ধারন করে।
বিরিয়ানি আর তেহারির পার্থক্যঃ
আমাদের দেশের মানুষের বিরিয়ানি যেমন পছন্দের তেমনি তেহারীও অনেক পছন্দের। তারপরেও অনেলেই এই দুইটি খাবারের পার্থক্য করতে ভুল করে ফেলেন। তেহারি হলো বিরিয়ানির একটি মার্জিত রুপ। মুলত এখানে মসলা ও ঝালের পরিমাণ কিছুটা বেশী দেয়া হয়। তেহারীতে ছোট করে কাটা অনেক গুলো গরুর মাংস থাকে এবং এতে বেশি করে কাচা মরিচ দেয়া হয়। বিরিয়ানিতে গরুর মাংসের আকার একটু বড় হয় এবং ঝাল কম দেয়া হয়। তেহারী সাধারণত সরিষার তেল দিয়ে রান্না করা হয়। আর বিরিয়ানিতে ঘি, ডালডা এসব ব্যবহার করা হয়। বিরিয়ানির অনেক প্রকারভেদ রয়েছে এর ভিতরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলঃ ঢাকাই, হায়দ্রাবাদি,সিন্ধি, কোলকাতা, বিহারি, কাচ্চি বিরিয়ানি সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়।
আজ আমি আপনাদের কিভাবে বিরিয়ানি রান্না করতে হয় তার পুরো প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে দেখাবোঃ
এই বিরিয়ানি রান্না করার জন্য আমি যে সকল উপাদান ব্যাবহার করেছি তার একটি ছক নিচে দিচ্ছি-
উপাদানের নাম | ্পরিমান |
---|---|
গরুর মাংস | ১ কেজি |
চাল | ১ কেজি |
রসুন বাটা | ২ টেবিল চামচ |
পেয়াজ বাটা | ২ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ২ টেবিল চামচ |
মরিচের গুড়া | ২ টেবিল চামচ |
নুন | ৪ টেবিল চামচ |
এলাচ | ২ পিস |
লবঙ্গ | ২ পিস |
জয়ত্রি | ৩ টি |
দারুচিনি | ২ পিস |
জিরা গুড়া | ২ টেবিল চামচ |
সয়াবিন তেল | ৫ টেবিল চামচ |
তেজপাতা | ৩ পিস |
কিসমিস | ১০/১২ টি |
কাচা মরিচ | ৮ পিস |
বাদাম বাটা | ২ টেবিল চামচ |
শসা | ১টি |
লেবু | ১টি |
ট্মেটো | ১টী |
পুদিনা পাতা | ৪টি |
১ম ধাপঃ
প্রথমে একটি কড়াইতে সয়াবিন তেল দিয়ে নেই। তেল গরম হয়ে এলে এতে পেয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিতে হবে। ভাজার সময় পেয়াজ কুচি জেন কাল না হয়ে জায় সেদিকে খুব সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
২য় ধাপ:
তারপর পরিমাণ মত লবন, আদা বাটা, পেয়াজ বাটা, রসুন বাটা সহ অন্যান্য দরকারী উপকরন দিয়ে হাল্কা করে নাড়তে হবে। মসলা গুলো নাড়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে জেন চুলার আগুনের তাপ খুব কম থাকে নাহলে নিচ থেকে মসলা কড়াইয়ের গায়ে লেগে জেতে পারে। ৫/৭ মিনিট পর মসলা লাল হয়ে যাবে।
৩য় ধাপ:
এরপর ৪/৫ টি কাচামরিচ দিয়ে দিতে হবে এবং ২ কাপ পরিমান পানি দিতে হবে। তারপর আবার মসলা গুলো আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। মসলা গুলো ৫/৭ মিনিট পর ঘন হয়ে আসবে।
ধাপ ৪:
তারপর আগে থেকে ছোট ছোট করে কেটে রাখা গুরুর মাংস গুলো ধীরে ধীরে মসলার উপরে ঢেলে দিতে হবে। ঢেলে দেয়ার পর মাংস গুলো ধীরে ধীরে নেড়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে জেন মাংসের গায়ে খুব ভালো করে মসলা গুলো লেগে জায়।
ধাপ ৫:
এরপর ঢাকনা দিয়ে ভালো ভাবে কড়াইটি ঢেকে দিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে, আগে থেকে দেয়া পানি আর মাংস থেকে যে পানি বের হবে তা দিয়েই মাংস গুলো সুন্দর ভাবে সেদ্ধ হয়ে যাবে। আলাদা করে আর পানি দেয়া লাগবে না।
ধাপ ৬
১০ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে আবার সুন্দর করে নেড়ে দিতে হবে। তখন দেখবেন মাংস থেকে পানি বের হয়ে মাংস বেশ নরম হয়ে এসেছে। এবার চুলার তাপ বাড়িয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ১২ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখতে হবে।
ধাপ ৭
১০ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে দেখলাম মাংস গুলো হাল্কা পানি ছেড়ে দিয়ে সেদ্ধ হয়ে গেছে। এরপর চুলা বন্ধ করে মাংসের কড়াইটি সরিয়ে ফেলতে হবে।
ধাপ ৮ঃ
এবার চাল গুলোকে ধুয়ে সুন্দর করে একটি ছাকনিতে রেখে দিতে হবে, ছাকনিতে রেখে দিলে চালের ভিতরে পানি জমা হয়ে থাকবে না।
ধাপ-৯ঃ
এবার বড় একটি কড়াইতে আবার তেল দিয়ে পেয়াজ কুচি গুলো বাদামি করে ভেজে নিতে হবে, পেয়াজ বাদামী রং ধারণ করলেই আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে ৫ মিনিট নেড়ে দিতে হবে।
ধাপ-১০ঃ
এরপর পানি ঝরিয়ে চাল গুলো কড়াইতে আস্তেধীরে ঢেলে দিতে হবে। ঢালার সময় খেয়াল রাখতে হবে জেন কোন চাল বাহিরে না পড়ে জায়। চাল ঢালার পর চাল গুলো খুব ভালো করে ৫/৭ মিনিট মসলার ভিতরে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-১১ঃ
চাল ভালো করে ভেজে নেয়ার পর এর ভিতরে ফুটন্ত গরম পানি ঢেলে দিতে হবে। পানি ঢেলে দেয়ার পর আস্তে আস্তে ২/৩ মিনিট নেড়ে দিতে হবে। এরপর চুলার আগুনের তাপ বাড়িয়ে দিতে হবে এবং কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ধাপ-১২ঃ
৫/৬ মিনিট পর চাল গুলো সেদ্ধ হয়ে এলে আগুনের তাপ হাল্কা কমিয়ে নিয়ে চাল আবার নেড়ে দিতে হবে জেন কড়াইয়ের গায়ে লেগে জেতে না পারে। তারপর আবার ঢেকে দিতে হবে ঢাকনা দিয়ে।
ধাপ-১৩ঃ
এবার ঢাকনা সরালে আমরা দেখতে পারবো চাল গুলো সুন্দর সেদ্ধ হয়ে এসেছে এবং সুন্দর ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে। এবার আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখা মাংস এর ভিতরে খুব সাবধানতার সাথে ধীরে ধীরে ঢেলে দিতে হবে।
ধাপ-১৪
ঢেলে দেয়ার পর মাংস ও আধা সেদ্ধ চাল সুন্দর ভাবে নেড়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে জেন মাংসের সাথে চাল গুলো খুব ভালো করে মেশে। এবার উপরে কিছু কিসমিস দিয়ে চুলার আগুনের তাপ হাল্কা করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
ধাপ-১৫ঃ
১৫ মিনিট পর ঢাকনা সরালে দেখতে পাই সুন্দর ও সুস্বাদু বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য একেবারে প্রস্তুত হয়ে গেছে এবং খুব সুন্দর ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে।
ধাপ-১৬
এবার আমি বিরিয়ানি পরিবেশনের জন্য একটি প্লেটের ভিতরে কাচা মরিচ, টমেটো, শসা, পুদিনা পাতা, লেবু সুন্দর করে ধুয়ে রাখি।
ধাপ-১৭ঃ
এরপর লেবু, টমেটো, শসা, এগুলো সুন্দর করে কেটে একটি প্লেটে আলাদা করে রাখি।
ধাপ-১৮ঃ
তারপর একটি প্লেটে বিরিয়ানি বেড়ে নেই। এবং লেবু, টমেটো, পুদিনাপাতা, শসা, কাচামরিচ বিরিয়ানির প্লেটের চারিদিক দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে নেই পরিবেশন করার জন্য।
বিরিয়ানি খাওয়ার কিছু উপকারিতাঃ
যাদের ওজন কম তাদের জন্য বিরিয়ানি খুবই উপকারি একটি খাবার। এটি ওজন বাড়াতে খুবই উপজুক্ত একটি খাবার। যদিও এই খাবারটি খাওয়া একটু খরচ সাপেক্ষ তবুও আপনার ওজন বাড়ানো প্রয়োজনে আপনাকে এই খাবারটি খেতে হবে। আপনি আপনার সাধ্যমত প্রতিদিন দুপুরে কিংবা সন্ধ্যায় এক প্লেট বিরিয়ানি খেলে আপনার ওজন ধীরে ধীরে বাড়বে। কারন এই খাবারটিতে ওজন বাড়ানোর মতো অনেকগুলি দরকারী উপকরন রয়েছে। আপনি যদি ২/৩ মাস নিয়মিত বিরিয়ানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তবে আপনার ওজন অবশ্যই বাড়বে।
Nice post bro
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks bro.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
aunak sundor hoise vai apnr Biriani ranna
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks vi.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Marvellous Recipe, well detailed.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thanks vi.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুন্দর হয়েছে অনেক
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর একটি রেসিপি ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসাধারণ হয়েছে ভাই। বিশেষ করে আমি মনে করি সবথেকে সুন্দর এবং খুব ভালো মানের একটি কন্টেন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাই দাওয়াত পাইলাম না ।🐸
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঈদে দাওয়াত দিব। 😊
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit