---

---

কেমন আছেন সবাই 🥀 আশাকরি ভালো।
আমি আজকে আপনাদের সাথে একটি বই নিয়ে আলোচনা করবো। বইটির নাম হচ্ছে "গীতাঞ্জলি" লেখক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আসুন শুরু করা যাক।

---

---

📖"গীতাঞ্জলি"📖

---

---

Source

---

---

বইটির পরিচিত 📖:-

গীতাঞ্জলি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা একটি অনবদ্য কাব্যগ্রন্থ। এই বইয়ে রয়েছে ১৫৭টি কবিতা যা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে গেঁথে গেছে। কবিতাগুলিতে ব্রাহ্মন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রচিত। তৎকালীন ভারতীয় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই কবিতাগুলি প্রকাশিত হয়েছে ১৯০৮-০৯ সালে । ঠিক ১৯১০ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি আত্মপ্রকাশ লাভ করে।

১৯১২ সালে রবীন্দ্রনাথের Song Offering কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করা হয় ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন ইংরেজিতে অনূদিত এই কাব্যগ্রন্থটির জন্য।

---

Source

লেখক	রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অনুবাদক	রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
দেশ	ভারতীয় উপমহাদেশ
ভাষা	বাংলা
ধরন	কবিতা
প্রকাশক	বিশ্বভারতী গ্রন্থবিভাগ
প্রকাশনার তারিখ	১৯১০
ইংরেজিতে প্রকাশিত	১৯১২
মিডিয়া ধরন	মুদ্রিত গ্রন্থ
পৃষ্ঠাসংখ্যা	৯৬
পূর্ববর্তী বই	খেয়া
পরবর্তী বই	গীতিমাল্য

---

---

বইটির লিখার ইতিহাস 📖:-

শিলাইদহ কুঠিবাড়ি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৮ সালে পূজার ছুটিতে শিলাইদহ গ্রামে গিয়েছিলেন। ছুটির শেষ করে শান্তিনিকেতনে কাজ করেছিলেন পাঁচ মাস। তিনি তার বিখ্যাত শান্তিনিকেতন প্রবন্ধ গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন এই সময়ের মধ্যে। পরের কিছু বছর আবার বর্ষাকালে কালে তিনি শিলাইদহে এসেছেন। রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি গ্রন্থের গানগুলি ও কবিতা মোটামুটি শিলাইদহ, শান্তিনিকেতন ও কলকাতায় বসে রচনা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আশ্রমে থাকাকালীন নিয়মকানুন কঠোরভাবে মানতেন।
নিরামিষ ছিল তার এই সময় প্রধান খাবার। একটা সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন , ডাক্তার তাকে আমিষ খেতে বললেও তিনি খাননি।

---

---

বইটির ইংরেজি অনুবাদ 📖:-

Source

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেই তার কাব্যগ্রন্থ ইংরেজিতে অনূদিত করেছিলেন। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের প্রায় ৫৩টি গান Song offerings সংকলনে প্রকাশিত হয়। আসলে ব্রিটিশ কবি ও অনুবাদক জো উইন্টার এবং রবীন্দ্রনাথ দুজনে মিলে অনুবাদ করেছিলেন বেশ কিছু কবিতা।

এখানে গীতাঞ্জলি কাব্যের ১২৫ গানটি উপস্থাপন করা হয়েছে(সংগৃহীত):-

"আমার এ গান ছেড়েছে তার সকল অলংকার
তোমার কাছে রাখেনি আর সাজের অহংকার।
অলংকার যে মাঝে প’ড়ে
মিলনেতে আড়াল করে,
তোমার কথা ঢাকে যে তার মুখর ঝংকার।
তোমার কাছে খাটে না মোর কবির গরব করা–
মহাকবি, তোমার পায়ে দিতে চাই যে ধরা।
জীবন লয়ে যতন করি
যদি সরল বাঁশি গড়ি,
আপন সুরে দিবে ভরি সকল ছিদ্র তার।”

Source

---

---

গীতাঞ্জলি থেকে Song Offerings 📖:-

এটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম ইংরেজি ভাষায় অনূদিত প্রথম বই। এই গ্রন্থের প্রতিটি কবিতা বাইরের দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে গেঁথে যায়।

---

---

বইটির পাশ্চাত্যে সমালোচনা:-📖:-

Source

দ্য সং অফারিংস‎ প্রকাশনার পর লন্ডনের বিভিন্ন পত্রিকায় আলোচনা-সমালোচনা দুটিই করা হয়। লন্ডনে রথেনস্টাইনের ঘরে যখন কবি ইয়েটস্ বন্ধু-বান্ধবকে গীতাঞ্জলি পড়ে শুনিয়েছিলেন সেদিন ঐ স্থানে কবি সিনক্লেয়ার ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের কবিতা শুনে তিনি লিখেছিলেন : “রবীন্দ্রনাথের কবিতায় মানুষের আবেগ প্রকাশ হয়েছে যা অতুলনীয়।

দি টাইমস্ পত্রিকা তার টাইমস লিটারেরী সাপ্লিমেন্ট নামের ৭ নভেম্বর ১৯১২ সংখ্যায় (পৃ. ৪৯২) লিখেছিল সর্বপর্যায়ে যদি উত্তরণের প্রয়োজনীয় মানসিকশক্তি যদি না থাকে তাহলে কবিতা সবসময়ই এই দারিদ্র্যতা প্রকাশ হবে। যে-সমাজে আবেগের মাত্রা অনেক বেশি সে সমাজে শিল্প চর্চায় আর্ত সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। আবেগকে জয় করতে না-পারলে কাব্য পরিণত হ’বে গদ্যে। অতীতে কবিতা যেমন আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে বাস্তবতা তুলে ধরেছে, তেমনি কবিতাকে সেভাবে লিখতে হবে।

---

---

বইটি নিয়ে নিজের কিছু কথা 📖:-

রবীন্দ্রনাথের একটি অসাধারণ বই হচ্ছে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ। বইটি আমি বেশ কয়েকবার পড়েছি, আমার কাছে খুব চমৎকার লেগেছে। কবিতাগুলো পড়ার সময় আমার মনে হচ্ছিল আমি একটা আবেগময় অন্য জগতে চলে গিয়েছিলাম।
আমি একজন বই প্রেমী মানুষ বই পড়তে ভালোবাসি। সকলকে বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আজ শেষ করলাম।
🥀আল্লাহ হাফেজ 🥀

---

---

📖 T͜͡H͜͡A͜͡N͜͡K͜͡ Y͜͡O͜͡U͜͡ 📖