পৃথিবীর এই বিষাক্ত কোলাহল আমার সহ্য সীমা অতিক্রম করেছে। আমি এই পৃথিবী নামক উদ্ভট গ্রহ থেকে মুক্তি পেতে চাই।
মাঝেমাঝে ভাবি, ইশ! যদি এমন হতো। আসছে শুক্রবার রাতে তাহাজ্জুদের পর আমি সূরা কাহাফ তেলাওয়াত শেষে মোনাজাত করে তাসবীহ জপতে জপতে জায়নামাজেই ঘুমিয়ে গেছি। মুয়াজ্জিন সাহেব ফযরের সময় মসজিদের মাইকে ডাকছে,
এসো নামাজের দিকে!
এসো কল্যাণের দিকে!
ঘুমের চেয়ে নামাজ উত্তম!
ঠিক সেই সময় আম্মু এসে দরজায় কড়া নেড়ে আমায় ডাকছে। হামিদুর, আজান হয়ে গেছে নামাজ পড়তে উঠো। কিন্তু আমার কোনো সাড়া শব্দ নেই। আমি তলিয়ে গেছি গভীর ঘুমে। কিছুক্ষণ ডাকার পর আমার শরীরে হাত রেখে দেখলো, শরীরটা ঠান্ডা হয়ে গেছে। নিথর দেহটা মাটির নিচে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।
ততক্ষণে পরিবার- পরিজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে আকাশ-পাতাল। মোয়াজ্জিন সাহেব আবার মাইকে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছে, আমার প্রস্থানের ঘোষণা!
আবার পরক্ষণেই বুকটা কেঁপে উঠে, এইভাবে ঘুমের ঘোরে পৃথিবী ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার আশা নিয়ে দিনাতিপাত করার জন্য কি আমার রব আমায় সৃষ্টি করেছেন?
মরেই সুযোগ বেঁচে যাবার
~ হামিদুর রহমান হিমু ~