---

source

---

🎬 Movie name : Predestination (2014)

🔍 Genres : Action, Drama, Sci-Fi, Thriller
⏳ Runtime : 1h 37m
🤺 Director : Michael Spierig, Peter Spierig

🎥 Cinematographer : Ben Nott

🕴️ Cast : Ethan Hawke,
Sarah Snook and more...

⭐ Imdb : 7.5 (255,000+)
👍🏻 Google : 91%
🍎 Rotten Tomatoes : 84%

💵 Budget : $5 million
💰 Box Office : $5.4 million

⚠️ Warning : R (Restricted, Children Under 17)

---

         মুরগী আগে নাকি ডিম আগে?

টাইম ট্রাভেল" পদার্থবিজ্ঞান এ এখনো থিওরি হিসেবেই রয়েছে। হয়তো একারণেই রয়েছে অসংখ্য প্যারাডক্স। যেমন :

· The Grandfather paradox,
· The Bootstrap paradox,
· The Predestination paradox, etc.

---

প্যারাডক্স কি?

---

• প্যারাডক্স হচ্ছে সে ধরনের বাক্য বা উক্তি, যা থেকে অনন্য কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায় না।
  বরং এ সমস্যার বিবরণগুলো দুটি পরস্পরবিরোধী সমাধান তৈরি করে, যার একটি সত্য হলে অন্যটি অসম্ভব।

---

তবে আজকে বাকিসব থাক। আজ আলোচনা হবে "The Predestination paradox" নিয়ে।

---

🔁The Predestination paradox :

---

"Predestination" অর্থ পূর্বনির্ধারিত/ নিয়তি যাকে বলি। এই প্যারাডক্স অনুযায়ী সময়ের সব ঘটনাই পূর্বনির্ধারিত।

টাইম ট্রাভেল এর ক্ষেত্রে, আপনি যদি কোনো বর্তমান অবস্থা পরিবর্তনের জন্যে অতীতে যান,
তাহলে দেখবেন যে, আপনার অতীতে যাওয়ার কারণেই উক্ত ঘটনাটি ঘটেছিল।

মানে যা ঘটার তা ঘটবেই। পরিবর্তন করতে গেলে দেখা যাবে আপনিই ঘটনাটির সাথে জড়িয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, আপনার কারণেই উক্ত ঘটনাটি ঘটেছিল।

তবে ঘটনা উপলব্ধি করতে গেলে আপনি এর শুরু কিংবা শেষ কোথায় তা বুঝবেন না। কারণ এর শুরুই শেষ বা শেষই শুরু।

---

  “The snake that eats its own tail,
           Forever and ever.”
                  🐍

---

💡উদাহরণ দেওয়া যাক —

---

মনে করুন, একটি গাড়ি দুর্ঘটনার ফলে আপনার গার্লফ্রেন্ড মারা গেল। আপনি শোকে কাতর।
এই ঘটনার ২০ বছর পরে আপনি একটি টাইম মেশিন বানাতে সক্ষম হলেন।
আপনি উক্ত টাইম মেশিন ব্যাবহার করে ২০ বছর অতীতে পাড়ি জমালেন। দেখলেন দুর্ঘটনার খবরের আর বেশি দেরি নেই। গাড়ি চালিয়ে আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ড এর নিকট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
গাড়ি চালাচ্ছেন যত দ্রুত গতিতে চালানো যায়। হঠাৎই আপনার গাড়ির সাথে একটি গাড়ির দুর্ঘটনা ঘটল।
গাড়ি থেকে নেমে দেখলেন সেটি আপনার গার্লফ্রেন্ড এরই গাড়ি এবং আপনার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে!

---

🗓️এবার আসা যাক মুভির ইভেন্ট এ :

---

স্ক্রিনপ্লে যদিও জটিলভাবে করা হয়েছে আমি এক্সপ্লেইন করার সুবিধার্থে কিছুটা সহজভাবে স্ক্রিনপ্লে সাজিয়েছি।

---

Explaination : (Spoiler alert)

---

📃Plot :

---

➡️ সেপ্টেম্বর ১৩, ১৯৪৫ সাল। ক্লিভল্যান্ড অরফানেজ।

একজন ব্যাক্তি একটি মেয়ে শিশু কে অরফানেজ এর দ্বারে রেখে গেলো।

মেয়েটির নাম রাখা হলো "জেইন"।

---

source

---

বড় হওয়ার সাথে সাথে জেইন লক্ষ্য করল, সে শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে বিভ্রান্তিতে ভোগে। অন্যরকম কোনো অনুভূতি হয়। এমনকি সে অন্যমেয়েদের থেকেও ভিন্নরকম আচরণ করে।
জেইন মারামারি পছন্দ করত। অনেক বেশি মেধাবী ছিল গণিত এবং পদার্থবিজ্ঞানে।

---

অন্যরকম হওয়ার কারণেই হয়তো একদিন "রবার্টসন" নামের এক ব্যক্তি জেইন এর সাথে দেখা করতে এলেন।
বললেন, তিনি এমন একটি সরকারি সংস্থার সাথে যুক্ত যেখানে জেইন এর মতো গণিত এবং বিজ্ঞানে মেধাবী, শারীরিকভাবে শক্তিশালী মেয়ের প্রয়োজন।

---

জেইন কে "Spacecorp" হওয়ার ট্রেইনিং এর জন্যে জিজ্ঞেস করলে জেইন রাজি হয় এবং ট্রেনিং এ সবার থেকে ভালো পারফম্যান্স দেয়।

তবে অন্য একজন ট্রেইনির সঙ্গে মারামারির দরুন তাকে ডিসকোয়ালিফাই করা হয়। যদিওবা এর ভিন্ন কারণ ছিল, যেটি সংস্থা গোপন করেছে।

---

source

---

জেইন একটি বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ নেয়।
🍽️ পাশাপাশি রাতে স্কুলে যেত। ম্যানার্স শেখার স্কুলে। যাতে পরবর্তীতে আবার আবার ট্রেইনিং এ অংশগ্রহণ করতে পারে।

একদিন ক্লাস শেষে একজন লোকের সাথে জেইন এর দেখা হয়। তার সাথে ঘটনাক্রমে জেইনের শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরপর ওই লোকটি জেইন কে ছেড়ে চলে যায়।

---

জেইন একটি মেয়ে শিশুর জন্ম দেয়। তখনই তার একটি শারীরিক সমস্যা ধরা পড়ে।
যে তার মধ্যে "ফিমেইল সেক্স অর্গান" এর পাশাপাশি একজোড়া "মেইল সেক্স অর্গান"ও রয়েছে। যা ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠছে।

এখন তার কাছে একটি চয়েস আছে। যে তাকে জেন্ডার রিসাইনমেন্ট করতে হবে এবং পুরুষ হিসেবে জীবনধারণ করতে হবে।

---

একদিন হঠাৎই হাসপাতাল থেকে জেইন এর শিশুটি চুরি হয়ে যায়।

কয়েকটি অপারেশন এর পর জেইন ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি পায়। সে তার নাম পরিবর্তন করে "জন" রাখে। ধীরে ধীরে তার শারীরিক পরিবর্তন হতে থাকে।
তার চেহারা পুরুষালী হতে থাকে। কণ্ঠস্বর গম্ভীর হতে থাকে।

---

source

---

সে ওই লোককে খুঁজতে শুরু করে যে তাকে ফেলে চলে গিয়েছিল। তার জন্যেই জেইন এর এতো দুর্গতি।

⬅️ একদিন বারে জন এর সাথে একজন বারটেন্ডার আলাপ হয়।
বারটেন্ডারটি বলে যে, সে এমন একটি সরকারি সংস্থার সঙ্গে কাজ করে যে সংস্থাটি অতীতের বিভিন্ন অপরাধ এ বাঁধা দান করে।
সে এখন এমন একজন বোম্বার কে মারার চেষ্টা করছে যার পরবর্তী হামলায় নিউ ইয়র্কে প্রায় ১০ হাজার লোকের প্রাণ যাবে।

---

ঐ বারটেন্ডার জন কে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
বারটেন্ডার জন কে নিয়ে টাইম মেশিনের সাহায্যে ১৯৬৩ সালের ঐ সময়ে যায়, যেদিন জেইন এর সাথে ঐ লোকের দেখা হবে।

জেইন কে ড্রপ করে দিয়ে সে তার কাজ সম্পাদন করতে বেরিয়ে পড়ে ( ফিজল বোম্বার কে মারা)।

---

বারটেন্ডারটি যখন বম্ব ডিফিউজ করতে যায়। তখন তার সাথে ফিজল বোম্বার এর হাতাহাতি হয়। বারটেন্ডার সজোরে মাটিতে পড়ে।
যখন জ্ঞান ফেরে তখন গোলাগুলির আওয়াজ শুনে এগিয়ে যায়।
গিয়ে দেখে একজন লোক বম্ব টি ডিফিউস করতে চেয়েছিল। তার গায়ে আগুন জ্বলছে। লোকটি আর কেউই নয় জন!
বারটেন্ডার টাইম মেশিনটি জনকে এগিয়ে দেয়।

---

জন (জেইন এখন ছেলে) ঐ লোকের সাথে দেখা করার জন্যে স্কুলটির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। হঠাৎ তার অতীতের মেয়ে ভার্সন জেইন এর সাথে ধাক্কা লাগে।

জেইন কে সে চেনে যেহেতু তারই পূর্বরূপ। কিন্তু জেইন তাকে চিনে নি।
জন বুঝতে পারে সে নিজেই ছিল সেদিনের ঐ লোক!

---

source

---

জেইন এবং জন এর মধ্যে আলাপচারিতা হয়। জেইনের একাকিত্ব জন এর মনে পরে। আগে সে কতটা দুঃখে দিনাতিপাত করেছিল একা একা।

জেইন তার পুরুষ ভার্সন জন এর প্রতি আকৃষ্ট হয়। জন ও জেইন কে না করতে পারেনি। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
অর্থাৎ, জেইন তারই পুরুষ ভার্সন এর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে!

---

বারটেন্ডারটি ওই সময়ে জাম্প করে যখন জেইন এর শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছিল। সে জেইন এর শিশুটিকে চুরি করে।
তারপর ২০ বছর ব্যাক জাম্প করে। অর্থাৎ, ১৯৪৫ সালে।

---

সেখানে গিয়ে মেয়ে শিশুটিকে ক্লিভল্যান্ড অরফানেজ এর দরজায় দিয়ে আসে।
মানে বুঝতে পারছেন?

• এই শিশুটিই বড় হয়ে জেইন হবে!

---

পার্কে জন এবং জেইন এর মধ্যে কথার এক পর্যায়ে ঐ বারটেন্ডার উপস্থিত হয়। সে জন কে নিয়ে ১৯৮৫ সালে ফরওয়ার্ড জাম্প করে সংস্থার অফিসে। জন অসুস্থ হয়ে পরে।

---

source

---

♣️ বারটেন্ডার অবসরে যাওয়ার সময়ই টাইম মেশিনে "ERROR" দেখায়। সে দেখে যে ফিজল বোম্বার কে ধরার জন্যে রবার্টসন কিছু ক্লু দিয়ে গেছে।

---

🧩 ফিজল বোম্বার একটি ইলেকট্রনিক্স শপ থেকে বের হয়ে লন্ড্রি তে গিয়েছে।

বারটেন্ডার লন্ড্রি তে গিয়ে দেখে ফিজল বোম্বার আসলে তার নিজেরই পরবর্তী ভার্সন।

---

“What if I could put him in front of you?
         The man that ruined your life?
                  If I could guarantee,
             That you'd get away with it.
                  Would you kill him?”

---

ফিজল বোম্বার বারটেন্ডার এর সাথে তর্কাতর্কি করে।
বলে যে, তুমিই তো আমি। তুমি যদি এখন আমাকে মারো, তাহলে ভবিষ্যতে তুমি আমার স্থানে আসবে। আমি তো অনেক লোক কে বাঁচিয়েছি। তার বদলে এখন কিছু মারছি।
কিন্তু বারটেন্ডার তাকে মেরে দেয়।

---

➡️ জন এর এখন কিছুই করার নেই। সে জানে তার কারণেই তার জীবনের এই অবস্থা। কিন্তু সে এখনো বাচ্চা চুরি করা মানুষটির ব্যাপারে জানে না
এখন তার বেচেঁ থাকার জন্যে একটি লক্ষ দরকার। বারটেন্ডারটি তার জন্য একটি রেকর্ডিং রেখে গিয়েছে। কিভাবে কি করতে হবে।

---

source

---

তার লক্ষ্য এখন 'ফিজল বোম্বার" কে খুঁজে বের করা। এবং নিউ ইয়র্কের সেই বোম্বিং রোধ করা।

জন বম্ব ডিফিউস করতে যায়। কিন্তু ঘটনাক্রমে শরীরে আগুন ধরে যায়।
তার প্লাস্টিক সার্জারি করতে হয়। চেহারা পরিবর্তিত হয়ে যায়। সে গ্লাসে তাকিয়ে দেখে তার চেহারা এখন সেই বারটেন্ডার এর মতই!

অর্থাৎ, জন এরই প্লাস্টিক সার্জারির পরের ভার্সন ছিল বারটেন্ডার।

---

🤏 সারাংশ :

---

জেইন — জন — বারটেন্ডার — ফিজল বোম্বার

পুরুষ জন তার অতীতের মেয়ে ভার্সন জেইন এর সাথে মিলিত হয়। তাদের সন্তান হয়। বারটেন্ডার তাদের সন্তানকে অরফানেজ এ দিয়ে আসে এবং ফিজল বোম্বার কে মেরে দেয়।
অরফানেজ এ দিয়ে আসা ওই শিশুই বড় হয়ে জেইন হয়!!!

---

এখন ঘটনাটা এমন "Jane comes from nothing"!

বললাম না? এটা প্যারাডক্স। এর শুরু বা শেষ আপনি খুঁজেই পাবেন না।

এতকিছু কেন ঘটেছে জানেন? বারটেন্ডার অর্থাৎ জনের পরবর্তী ভার্সন এর একটি ভুল জাম্প এর কারণে।

---

          ❤️“Happy Watching”💙

---