🇧🇩 আজ সামর্থ্য না থাকলেও ইচ্ছেটা আছে প্রেসিডেন্ট হবার।

🇧🇩 প্রেসিডেন্ট হয়ে যা যা করব তা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম

---

১. শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। তাই সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীর বাবা-মার সঙ্গে তার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে হবে। কোন সন্তান কে ছোটবেলায় স্কুলে ভর্তি করার আগে তার ভবিষ্যত চিন্তা ভাবনা নিয়েই তাকে পড়াশোনার দিকে মনোযোগি করতে হবে। কারন আমরা কেউই ছোটতে জানতাম না আমি কি হব? বা জীবন বলে কিছু একটা আছে!!
( ডাক্তার. ইন্জিনিয়ার. শিক্ষক. চাকুরী জীবি. ভালো মানুষ. উকিল যাই হোক না কেন ছোট্ট থেকেই তার জীবনের লক্ষ্য বাবা মা কেই ঠিক করতে হবে তা হলেই দেশ চালানোর ভালো মানুষ পাওয়া যাবে)

---

২. আমি এবার খোঁজ নেব সকল শিক্ষার্থীরা তার পাঠ্যবইটি কে কতটা সম্মান করছে? প্রতি বছর কোটি কোটি বই দেওয়া হয়। একটি বইও যেন অবহেলায় না থাকে ও ঝাল মুড়ির দোকানে কোন ভাবেই যেন বই গুলোকে টুকরো টুকরো না করা হয়।
যদি বইয়ের প্রতি ভালোবাসা থাকে????

(তাহলে পরের প্রজন্মের জন্য আমাকে নতুন করে বই তৈরি করতে হবে না )

---

৩. আমরা সচরাচর বাহিরে যেসব পথশিশু দেখতে পায়ই তারা অবশ্যই কোন না কোন বাবা-মায়ের সন্তান।
আমি তাদের উদ্দেশ্যে একটা আইন করতে চাই
যে বাবা মা সন্তানের দায়িত্ব নিতে পারবেনা পথশিশু বানিয়ে ছাড়বে কোমলমতি শিশু গুলোকে...সেই বাবা-মা গুলোকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে
তাহলে কেউ সাহস পাবে না দ্বিতীয় বিয়েকরার ও নিজ সন্তান কে অবহেলায় রাখার
যা আমরা সমাজের মাঝে দেখেই চলেছি।

---

৪.দুর্নীতি নিয়ে এবার কথা বলতে চাই সরকারি-বেসরকারি কাজে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সম্পত্তির হিসাব প্রতিনিয়ত যেন দুদক দেখতে থাকে। এবং আমার দেশে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. প্রতিনিয়ত আমাদের শ্বাস-নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ভিতরে কতগুলো ধুলোবালি যাচ্ছে আমরা নিজেরাও জানিনা!!
মানুষ যদি বেঁচে না থাকে তাহলে আমি প্রেসিডেন্ট হয়ে কি করব??
গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের প্রতিটি রাস্তা যেন পরিষ্কার থাকে। কোনভাবেই রাস্তার পাশে প্রচুর পরিমাণে জমে থাকা ধুলোবালু থাকতে দেবো না। প্রতিটা বাড়ির সামনেই পরিষ্কার রাখতে হবে যদি পরিষ্কার না রাখে তাহলে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তাহলে এমনিতেই আমার দেশের প্রতিটা জায়গাই পরিষ্কার থাকবে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সুন্দর একটা পরিবেশ পাবে।

---

৬. আমার কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক কে সব থেকে বেশি সুবিধা দিতে হবে। শুধু কৃষিবিদদের বিদেশে ট্রেনিং এর জন্য নয়! ৬৪ টি জেলার দুজন করে মোট ১২৮ জন কে বিভিন্ন ফসলের উপর অভিজ্ঞতা দিতে হবে এটি ৩ মাস পর পর চালিয়ে যেতে হবে।
তাহলে আমার দেশের কৃষক ও সোনার মত হয়ে যাবে কোন রকম ঘাটতি তে পরতে হবে না।

সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই প্রেসিডেন্ট এ কি সব কিছু করবে?! আপনাদের কেও অনেক কিছু করতে হবে তাহলে সত্যি আপনি আপনার পরিবারের একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সারা জীবন থেকেই যাবেন। # কোন ভাবেই যেন বাবা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে না রাখতে হয়

আমার লেখার মাঝে ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন