" আসসালামু আলাইকুম "
- শুরু করছি মহান আল্লাহ্র নামে ,
আশা করি আল্লাহ্র রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি। আজকে আমি @steem-bangladesh কর্তৃক আয়োজিত The Dairy Game কন্টেস্টটিতে অংশ নিতে যাচ্ছি। আমি আজকে একটি ডায়েরি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন শুরু করা যাক।
📖 " আমার ডায়েরি-০৪"📖
⌚ সকাল বেলা:
" জীবন যেন ছকে বাধা,ক্যালেন্ডারের কোন পাতা। "
আসলেই তাই সকাল নয় টায় অফিস , প্রতিদিনের মত সকাল ৮ঃ০০ ঘটিকায় ঘুম থেকে উঠলাম।দ্রুত ফ্রেশ হয়ে নিলাম।নাস্তা সেরে রেডি হয়ে হাটা দিলাম অফিসের উদ্দেশ্যে।অফিসে ঢুকে বসে পড়লাম ডেস্কের চেয়ারে।কাজ নেই তেমন হাতে, ফোন টা বের করে একটু ফেসবুকে ঢু মারলাম।এরই মধ্যে পিয়ন চা দিয়ে গেল ,চা শেষ করে স্লাইড ক্যালিপার্স হাতে নিয়ে রানিং কন্সট্রাকশন সাইটে চলে গেলাম।রডের ডায়া পরিমাপ করতে।
প্রজেক্টে উপস্থিত সকল রডের ডায়া নোট করে অফিসে চলে আসলাম। ও বস কে রিপোর্ট করলাম।লাঞ্চের সময় হয়ে এল।অফিস থেকে বের হলাম বাসার উদ্দেশ্যে।
⌚দুপুর বেলা:
বাসায় এসে লাঞ্চ সেরে খানিক বিশ্রাম। লাঞ্চের নির্ধারিত ১ ঘন্টা শেষ হবার পথে , আবার রওনা দিলাম অফিসের উদ্দশ্যে।অফিসে এসে দেখি নতুন ২ টা জব কার্ড এসেছে ।এক বসের রুমের জন্য রোলার ব্লাইন্ড (জানালার পর্দা) অর্ডার দিতে হবে। ঢাকার সাধারনত মহাখালিতে এসবের দোকান আগের পরিচিত দোকানদার হওয়াতে ফোনেই অর্ডার করে দেই।
এরই মদ্ধ্যে এক ছোট ভাই ফোন দিয়ে বলে আপনার রক্তের গ্রুপ কি ? আমি বললাম এ পজেটিভ। সে বলল তার এক রোগী আছে রক্ত দিতে হবে।বললাম ঠিক আছে দিব কিন্তু দুরের রাস্তা.৫৫ কি.মি. পথ তাই বাইক ছাড়া উপায় নেই কারন রাতে বাস পেতে সমস্যা হয়।
⌚বিকেল বেলা :
আসরের নামাজ শেষ করে সিটে বসলাম। বিকেলে কিছু না খেলে আমার হয় না।বাহির থেকে সোলা আনালাম।হঠাৎ আকাশ মেঘলা হয়ে আসল, হালকা বৃষ্টি হচ্ছে বাহিরে। অফিসের ডেস্কে পিসিতে বসে গান শুনছিলাম।
হঠাৎ ফোন বেজে উঠল বলল ৬ টার দিকে রওনা দিবে হাসপাতালে। সেজন্যে দ্রুত হাতে কাজ শেষ করে ফেললাম।অফিস শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।
⌚সন্ধ্যে বেলা:
বাইকের হেলমেট , চাবি ও সানগ্লাস সাথে নিয়ে ওর জন্যে অপেক্ষা করতে লাগলাম।ও আসলে ২ জন মিলে আল্লহর নাম নিয়ে রওনা দিলাম ৫৫ কি.মি. পথ , তেল পাম্প থেকে ২ লিটার অক্টেন নিয়ে চললাম। ঘন্টা খানিক চলার পরে চলে আসলাম নির্ধারিত হাসপাতালে।এটি ছিল মির্জাপুরের কুমুদিনি হাসপাতালে।
ওয়েটিং রুমে বসলাম ও চলে গেল রোগী ও ডাক্তার দের সাথে কথা বলতে, প্রায় ১ ঘন্টা পরে আসল।ওর সাথে একটি নার্স।
⌚ রাত:
নার্স বলল ডোনার কে ?
আমি বলে বলে উঠাতে বলল আসুন আমার সাথে।ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গেল রক্তের গ্রুপের কাগজ চাইল আমি ফোন থেকে সফট কপি টা দেখালাম । তিনি বললেন এগুলা এলাউ না হার্ড কপি লাগবে।তখন খুব রাগ উঠছিল ডাক্তারের উপর , কি আর করা আবার বাহিরে গিয়ে কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রিন্ট করে আনতে গেলাম।দোকান খুজতে অনেক বেগ পেতে হল ।বৃষ্টি হওয়াতে যাও ২/১ টা দোকান ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দিয়েছিল । যাই দোকান পেলাম খোজাখজির পর।কাজ সেরে আবার হাসপাতালে এসে ডাক্তার কে কাগজ দিলাম । উনি রক্তের স্যাম্পল নিয়ে রোগীর রক্তের সাথে ক্রসচেক করার কাজে লেগে পড়লেন।
৩৫ মিনিট পর আমাকে ডেকে কিছু প্রশ্ন সেরে রক্ত নেওয়া শুরু করলেন। কাজ শেষ হল রাত্রি ৯ঃ২০ ঘটিকায়।স্যালাইন পানি খেয়ে ৫/৭ মিনিট বসে ছিলাম , দেখলাম কোন সমস্যা হচ্ছে না। সময় নস্ট না করে বাইক নিয়ে রওনা দিলাম
১০ঃ১৮ মিনিটে বাসায় পৌছে গেলাম।খুব ক্লান্ত লাগছিল গোসল সেরে খাবার খেয়ে নিলাম। ২/৪ মিনিট ফোন টিপেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
তো বন্ধুরা এই ছিল আমার গতকালের ডায়েরি আশা করছি আপনাদের ভাল লেগেছে।আজকে এ পর্যন্তই ভাল থাকবেন সবাই ।
বাইক রাইডটি সুন্দর ছিল ভাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালো লিখেছেন। ফটোগ্রাফি সত্যি অসাধারণ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
রক্তদান করেছেন যেনে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালো একটা দিন ছিলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
It was undoubtedly a fruitful day in your life. Donating blood is really a nice deed. Best wishes for you.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit