The Diary Game: 11/08/2020:: অমনোযোগীsteemCreated with Sketch.

in hive-138339 •  4 years ago 

কাউয়া কাচাল মানে বুঝেন? হুম, নাই কামের ঝোগাড়া ঝাটি চিল্লাচিল্লি। আজ ঘুমটা ভেংগেছে এই কাউয়া কাঁচালের শব্দ শুনে। খুবেই বিরক্তিকর এইসবের কারণে ঘুম ভাঙ্গাটা। বৃষ্টিতে মজায় মজায় ঘুমাচ্ছিলাম। বলেন তো সারারাত বৃষ্টি হবে। টিনের চালে বৃষ্টির ঝন ঝন শব্দ। হালকা শিতল পরিবেশ। ঘুমের জন্য উত্তম একটা ওয়েদার। কিন্তু যদি ঘুমটা ভেঙ্গে যায় এইসবে তাহলে কেমন লাগে।

যাক চরম বিরক্ত হয়ে বেড থেকে উঠে ছোট রুমে গেলাম। আসলে ছোট রুমে বসে যে ভাবনাটা ভাববেন সেটা কিন্তু সব সময় কাজের। তো আজকের ভাবনাটি ছিল স্টিমিট নিয়ে। এই ভাবতে ভাবতে কাঁটায় কাঁটায় পাঁচ মিনিট লেগো গেলো। হঠাৎ আচমকা মনে হল দেরী হয়ে যাচ্ছে। তরিঘরি করে বার হয়ে গোসলটা সেরে নাস্তা খেয়ে সেন্টারের দিকে।

তবে নাস্তাটা আজ ভালোই হয়েছে। রুটি আর চিকন চিকন করে আলু কেটে একেবারে তেলে মচমচা করে ভাজলে খুবেই টেস্টি হয়। অন্যদের কাছে কেমন লাগে জানি না। তবে আমার কাছে ভালোই লাগে।

নাস্তার পর্ব শেষ করে পোশাক আশাক পরে আয়নায় নিজের চেহারাটা একটু দেখলাম। মাসুম চেহায়া চোখে ইমোশনাল একটা ভাব আছে 🤣 আয়নায় চেহারা দেখতে দেখতে এদিক যে ঘড়ির কাটা অনেক দুর এগিয়ে গেছে সেদিকে খেয়াল নেই।

যাক বাসা থেকে বার হলাম। রিক্সায় উঠে রওনা দিলাম। হালকা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। আসার সময় রাস্তায় চারিদিকে তাকাই। কে কি করে এইসব ভালো করেই লক্ষ করি। আসলে মানুষের জীবন জীবিকার জন্য বৃষ্টি বাদল কিছুই মানে না।

প্রতিদিনের মত সেন্টারে আসা। এটাই আমার বর্তমান জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ। করোনার কারণে ব্যবস্যা বানিজ্য একধরনের স্থবিরতা ছিল। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। সেটা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু এতো সহজে তো তা সম্ভব না। ঐদিক আবার কোচিং সেন্টার ও বন্ধ। সব মিলিয়ে আমরা ভালো নেই।

কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ক্লাস নিচ্ছিলাম। সেই সময় তিনটা পিচ্চি বাইরে থেকে তাকিয়ে আছে দেখছে কিভাবে কম্পিউটার চালায়। ইশারা করে ভিতরে ডাকতেই চলে আসলো।

20200809_140136.jpg

পিচ্চি মেহমানদের বসতে বললাম। তারা তিনজনেই খুব চালাচ। সব চেয়ে ছোটটা সব থেকে বেশি চালাক। তাদের বাসা জানতে চাইলে পিচ্চিটা সবার আগে তোতলাতে তোতলাতে বলে ফেললো গো..গো...গোলাহাত। মানে গোলাহাটে তাদের বাসা।
-এখানে কি করছো।
-আম্মু পার্লারে সাজতেছে।
-ও আর কে কে?
-আপু, চাচি আরো কয়েকজন।

আমার সেন্টারের আশে পাশে সব পার্লার। চারিদিকে আমাকে ঘিরে রাখেছে। তাই প্রায় দেখি কেউ বউকে ভিতরে ঢুকিয়ে দিয়ে বাইরে দাঁড়ায় অপেক্ষা করছে কেউ বোন কে কেউ শালীকে।

যাক শরীর ভালো লাগছেনা বাসায় দ্রুত চলে আসি। আসে প্রতিদিনের মত ফ্রেশ খাওয়া নামাজ রেস্ট এভাবেই রাত। রাতে স্টিমিট পোস্ট পরা। পোস্ট লেখা।

তবে শরীর ভালো না লাগার কারনে আজকে আর বেশি লিখতে পারছি না।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। খোদা হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  


The language used in your post was very nice. It was as if I was reading a book by an author. Anyway I want to give you some suggestions. So when you write about the morning, add a different paragraph and when you write about the afternoon, add a different paragraph. It looks beautiful. Your day was great. You'll be fine. Thanks
The reward from this comment is given in full 100% powerup. I urge you to do the same for the sake of the platform.

#onepercent #bangladesh

  ·  4 years ago (edited)

ধন্যবাদ ভাই। আপনার মূল্যবান সাজেশনের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টে ১০০% পাওয়ার আপ দেওয়া হয়েছে।

#onepercent #bangladesh

  ·  4 years ago (edited)

বাহ!
তবে একটা অনুরোধ ভাই, আগামী পোস্টে আপনার আয়নার সামনের ইমোশনাল ভাবের ছবি দেখতে চাই 😊

#onepercent #bangladesh

যাহ্ দুষ্ট! লজ্জা লাগে না 🤦‍♂️

#onepercent #bangladesh

লজ্জা লাগলেও দিতে হবে ভাই

দেওয়া আছে ভাই।

Really a very good post. You wrote this diary post like a story. I have felt very comfortable reading this post. Carry On.

#onepercent #bangladesh

Thank you very much for reading my post.

#onepercent #bangladesh

Nice post

Thank you very much.....