আমার একটা বদ অভ্যাস ছিল। আগে ঘুম ভাঙ্গলেই বালিশের পাশে রাখা ফোনে হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকে পরতাম। মাঝে মাঝে এমন ও হত যে, রাতে ফোন চালাতে চালাতে কখন ঘুমায় পরি তার কোন হুশ নেই। ঘুম থেকে উটে বালিসের পাশে ফোনের খোঁজে হাতরাতে থাকতাম। কখনো তো আমি ফোনের উপরে আবার কখনো ফোন লুঙ্গির ভিতরে। ফোন যদি লুঙ্গির ভিতরে চলে যায় তাহলে বলেন কি যন্ত্রণায় না হয়। এখন ফোনেরে কে বুঝাবে ঐ টার সাথে ওর কোন সম্পর্ক নাই। লুঙ্গির ভিতরে ঢুকে লাভ ও নাই।
যাই হোক যে কথাটা বলতে চাচ্ছিলাম তাই বলি। সকালে ঘুম ভাঙ্গার সাথেই ফোন হাতে নিয়ে ফেবুতে ঢুকি। আসলে ফেবুতে ঢুকি নিই গত রাতে ফেবু চালাতে চালাতে ঘুমায় পরছিলাম। সে কারনে ফোন হাতে নিতেই ফেসবুকের নিউজ ফিড চোখে ভাসতে থাকে।
হুট করে সামনে আসে নোমানী ভাইয়ের স্ট্যাটাস। ঐ স্ট্যাটাস পরে আমার হাসি আর আটকিয়ে রাখতে পারি না। খুক খুক করে হেসেই ফেললাম। হাসিটা মুখ চেপে ধরলেও আটকাতে আর পারি নিই। হাসির শব্দে মা আসে উঁকি মারে। যাক আর হাসা যাবে না।
তারাতারি উঠতে হবে মায়ের ভাষন শুরু হওয়ার আগেই। যাক উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে প্রতিদিনের মতোই বার হলাম অফিসের দিকে। রিক্সা ড্রাইভারের সাথে খোশ গল্প করতে করতে চলে আসলাম।
আজ কে সেন্টার আসার পর দিনটা ভালোই গেলো। দুজন নতুন স্টুডেন্ট ভর্তি হল। এই আকালের দিনে নতুন স্টুডেন্ট ভর্তি হওয়া খারাপ না।
যাক সারা দিন স্টুডেন্টদের ক্লাস সাথে কয়েক জনকে স্টিমিট সম্পর্কে বুঝালাম। এরেই ফাঁকে নামাজ আদায় করে নিয়েছি। দুনিয়াবি কাজের ফাঁকে ফাঁকে আখিরাতের জন্যও কিছু করতে তো হবে। শুধু দুনিয়া নিয়ে পরে থাকলেই তো চলবে না।
এরেই মধ্যে পেটের ভিতরে ইঁদুরের হাঁক ডাক শুরু। মানে ক্ষুধায় হুকফুকি বন্ধ। বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বার হব। হাঁটেই রওনা দিব নাকি রিক্সায় এমনটা ভাবতে ভাবতে হাটতেই শুরু করলিম। আমাকে আবার মাঝে মধ্যে হাঁটতেই ভালো লাগে।
অবশেনে বাসায় আসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া শেরে ফেললাম। আসরের নামাজ আদায় করে একটু রেস্ট নিলাম। রেস্ট নিতে নিতে কত কিছু ভাবলাম। ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা যেন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। এইসব ভাবতে ভাবতেই মাগরিবের আজান শুনা যাচ্ছে। মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম।
নামাজ শেষে বেডে হেলান দিয়ে স্টিমিটে পোস্ট দেখছিলাম এরেই মধ্যে নাস্তা আর চা হাজির। আজকে আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় আর বাহিরে বার হওয়া হয় নিই।
স্টিমিট ফেসবুক নিউজ ফিড ঘাটাঘাটি সাথে ডিসকোর্ড আর ফেবু মেসেঞ্জারের চ্যাট করতে করতেই বাকি সময় টুকু শেষ।
ইসার নামাজ ও ডিনার শেষ করে শুয়ে শুয়ে পোস্ট লিখতে শুরু করলাম। এভাবেই আরেকটি দিনের সমাপ্তি ঘটলো। আমাদের সময় গুলো এভাবেই শেষ হয়ে যাচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না। আমাদের এই সময় গুলো কাজে লাগানো উটিত। হয়তো ডাইরী গেমের ১০০০ দিন এভাবেই হয়তো লিখে লিখেই শেষ করবো। কিন্তু ১০০০ দিনের ফলাফল বার করতে পারবো না। আমাদের এই ১০০০ দিনের ডাইরী গেইমের পাশাপাশি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার একটা লক্ষ্য ঠিক করা উচিত। আমরা গন্তব্যহীন পথেই যেন পা না বাড়াই।
দুইদিন ধরে খুব ব্যাস্ত ছিলাম তাই পোস্ট দিতে দেরি হল। ব্যবস্ততার কারন অবশ্যই পরের পোস্টে জানতে পারবেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবার হাজির হব নতুন পোস্ট নিয়ে।
Nice dairy . Have a good day .
You write very well.
Thank you.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Thank you very much bro....
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You are most welcome
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Write a great blog. If anyone is upset, you should definitely read your blog post once and I do.
#onepercent
#bangladesh
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই। আমি লিখতে ভালোবাসি তাই লিখি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Hi @unicode !
I think you missed the date . I think it should be 21/08/2020.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit