শুক্রবারের সকালটা সব সময় আমার কাছে প্রিয়। আসলে শুক্রবারের সকাল শুধু বলা যাবে না বৃহঃস্পতিবার রাত থেকেই ভালো লাগে। ইচ্ছা মত ঘুমাও। সকালে তারাতারি ওঠার কোন টেনশন নাই। সকালে যত ইচ্ছা ঘুমাও। কোন তারা নেই অফিস যাওয়ার কোন টেনশন নেই। শুক্রবার বাদ দিয়ে প্রতিদিন সকালে এই তারাতারি উঠো গোসল কর দ্রুত খাওয়া দাওয়া করে দৌড় দাও।
আজও শুক্রবার ইচ্ছা মত ঘুমিয়েছি। মা গেছে মায়ের বাপের বাড়ি মানে আমার মামার বাসায়। একটাই মামা ভিশন অসুস্থ। তাই মামা কে দেখতে গেছে। সকালে দেরি করে উঠলেও কেউ কিছু বলার নাই। তাই ঘুমটাও ইচ্ছা মত হল।
ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথেই ফোনে ঢুকে পরলাম। স্টিমিটের পোস্ট গুলো দেখতেছিলাম। নিজের নটিফিকেশন চেক করলাম স্টিমকিউরেটর০১ ভোট দিল কিনা। সেই যে এক তারিখে ভোট দিয়েছে আছো আর দেখা পাওয়া গেলো না। শুধু কি আমিই স্টিমকিউরেটরকে খুঁজছি?
আমার মনে হয়ে ডায়েরি গেইমে পার্টিসিপেট যারা করেছে তারা সবাই স্টিমকিউরেটরের অপেক্ষায় আছে। কখন নটিফিকেশনে স্টিম কিউরেটর দেখতে পাবে। যাই হোক বিছানা থেকে উঠেই গোসল করে নাস্তা সেরে নিলাম। তারপর তো আর কাজ নেই। আবার স্টিমিট ফেসবুক, ডিসকোর্ড মেসেঞ্জারেই সময় দিচ্ছি।
আজ মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিন। সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে উত্তম হচ্ছে আজকের দিন। আজকের দিনটিকে ঈদের মতোই উপভোগ করা হয়।
জুম্মার আজান হল। ওজু করে মসজিদ। মসজিদ হতে নামাজ আদায় করে আজ বাবার কবর জিয়ারত করার জন্য কবরস্থান গেলাম। শুক্রবারে জুম্মার নামাছের পর অনেক লোকের সমাগম হয় কবরস্থানে। সবাই নিজের আত্মীয়স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে আসে। কেউ বাবার জন্য কেউ মা এর জন্য কেউ দাদা দাদী কেউ সন্তানের জন্য দোয়া করতে আসেন।
কবরস্থানে আসলেই যেন প্রাণের মধ্যে শিতল বাতাস প্রবাহিত হয়। মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়।
বাসায় এসে দুপুরের খাবার সেরে আবার রেস্ট। ফোন নিয়ে গুতাগুতি। শুক্রবারের সকালটা ভালো লাগলেও দুপুরটা আর ভালো লাগে না। কেমন কাজ কাম নাই বেকার শুয়ে বসেই কাটাতে হয়। তাছাড়া যা গরম পরেছে বাইরে কোথাও যাওয়ার মত ওয়েদারও নেই।
তাই বিকেলটাও শুয়ে বসে নেটে ঘাঁটাঘাঁটি করেই পার করলাম। মাগরিবের আজান হওয়ার সাথে সাথেই নামাজ আদায় করে একটু নাস্তা ও চা খেয়ে নিলাম। সারাদিন বাসায় আর ভালো লাগছিল না। তাই একটু বাইরে গেলাম। এখন আর রাতে ক্লাবে যাওয়াও হচ্ছিল না। তাই আজকে গেলাম। সবাই খেলছিল আমার অবশ্য খেলার ইচ্ছা ছিল না। এখন কেমন জানি মনমড়া হয়ে যাচ্ছি। বুঝতে পারতেছি নিজের মধ্যে চাঞ্চল্য ভাবটা অনুপস্থিত হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছি।
অনেক সুন্দর ডাইরি লিখেছেন ভাই।
লকডাউন এর কারণে বাসায় থেকে থেকে কোন দিন বৃহস্পতিবার কোন দিন শুক্রবার বোঝা যায় না। আমার কাছে সব দিনই এখন এ কি মনে হয়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমার কাছেও তাই মনে হত। তবে এখন একটু বিজি তাই ভালোই লাগতেছে। যদিও বা আগের মত ভালো নেই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Nice diary brother
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ মোডারেটর সাহেব।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তাহলে শুক্রবার আপনার ভালই ঘুম হই তাই না?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হো ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Great diary post, Keep posting every day.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit