মহাকাশ নিয়ে সাধারণ কিছু তথ্য!!!

in hive-139293 •  3 years ago 


image.png
Image


মহাকাশ নিয়ে জানার কোনো শেষ নেই। আর আমরা এর সামান্য কিছু জানতে পেরেছি। তবে আশার কথা হচ্ছে, মহাকাশ গবেষণায় সাফল্য চোখে পরার মতো। আমরা আমাদের মহাসাগরের চেয়ে মহাকাশ নিয়ে বেশি জানি! এরকম সাধারণ কিছু তথ্য:


১. মহাবিশ্বের মাত্র ৫% দেখা যায়

মহাবিশ্বের প্রায় ৯৫% ই ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি। যা আমাদের চোখ এমনকি কোনো উন্নত যন্ত্র দিয়েও দেখা যায় না।

২. আমরা পৃথিবী থেকে চাঁদের কেবল একটি পাশ দেখতে পাই

যে হারে চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ঠিক একই হারে নিজ অক্ষের উপর ঘোরে। তাই আমরা চাঁদের কেবল নেয়ার সাইড দেখতে পাই। আর এখন পর্যন্ত সকল চন্দ্র মিশন নেয়ার সাইড এ হয়েছে। নিচের ছবিতে সব ক্লিয়ার করে দেওয়া আছে।

৩. মহাকাশ পুরোপুরি সাইলেন্ট

শব্দ তরঙ্গ শূন্যস্থানে চলতে পারে না, তাই গ্রহ ব্যাতিত অন্যান্য শূন্যস্থান নি:শব্দ।

৪. প্লুটোর ব্যাস অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে কম

পূর্ব-পশ্চিমে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাস ৩২৭৪ কিমি এবং উত্তর-দক্ষিণ দিকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাস ২৬২০ কিমি। অন্যদিকে প্লুটোর ব্যাস ২৩৭০ কিমি।

৫. চন্দ্রাভিযানের চিহ্ন এখনো চাঁদের মাটিতে দৃশ্যমান

যারা বিশ্বাস করেন মানুষ চাঁদে পা রাখতে পারেনি তারা একবার চাঁদ থেকে ঘুরে এলে এর সত্যতা পাবেন। চাঁদে বাতাস না থাকায় চাঁদে সব অভিযান সমেত নভোচারীদের পদচিহ্ন এখনো স্পষ্ট।



image.png
Image


৬. অতিথি বিমুখ গ্রহ

আপনি বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস কিংবা নেপচুনে গেলে সেখানে আপনার নভোযানটি ল্যান্ড করতে পারবেন না! কেননা এইসব গ্রহে মাটি নেই; পুরোটাই গ্যাস।

৭. লার্জ-লং অন মার্স

সৌরজগতের সবচেয়ে উচ্চতম পর্বত এবং সবচেয়ে বৃহৎ উপত্যকা মঙ্গল গ্রহে অবস্থিত।

৮. সৌরজগতের ৯৯% ভরই কেবল সূর্যের

সূর্যের এই বৃহদায়তন ভরের জন্য সৌরজগতের সব গ্রহের ঘূর্ণন কেন্দ্র সূর্য।

৯. ২০০০ বজ্রপাত

পৃথিবীতে প্রতি মুহূর্তে প্রায় ২০০০ টি বজ্রপাত হয়ে থাকে। বছরে সংখ্যায় ১.৬ কোটি!

১০. প্রথম ব্ল্যাকহোলের ছবি

নাসার প্রথম তোলা ব্ল্যাক হোলের ছবিটি আমরা প্রায় সবাই দেখেছি। এটি আমাদের পৃথিবীর প্রায় ৩০ লক্ষ গুণ বড়!



image.png
Image


১১. আমাদের সৌরজগতের বামন গ্রহ ৫ টি

প্লুটো সহ আমাদের সৌরজগতে ৫ টি বামন গ্রহ আছে। প্লুটোকে নিয়ে বিতর্ক ওঠার জন্য এরূপ নাম দেওয়া হয়।

১২. মহাশুন্যে কলম দিয়ে লেখা অসম্ভব

আমরা পৃথিবীতে কলম দিয়ে লিখতে পারি কেননা মহাকর্ষীয় ত্বরণ কেন্দ্রের দিকে কার্যকর। কিন্তু মহাশুন্যে মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় সেখানে কলম থেকে কালি বের হবে না। সিলিঙে খাতা রেখে লিখতে পারেন কিনা পরখ করে দেখুন।

১৩. বেল্ট

কেন্দ্র সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণনরত বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল এই চারটি স্থলজ গ্রহের চারপাশে ASTEROID বেল্ট এবং বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুনে এই চারটি গ্যাস দৈত্যের চারদিকে KUIPER বেল্ট।

১৪. বুধ বায়ুমণ্ডলহীন

সূর্যের সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ বুধের বায়ুমণ্ডল না থাকায় কোনো বাতাস বা আবহাওয়া নেই।

১৫. মঙ্গলের সূর্যাস্ত নীলাভ

মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর ১% হওয়ায় কেবল নীলাভ রং সেখান থেকে দেখা যায়।



image.png
Image


১৬. মহাবিশ্ব প্রসারণশীল

মহাবিশ্ব ক্রমাগত প্রসারণশীল এর প্রমাণ হল চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রতি বছর ১.৬ ইঞ্চি দূরে সরে যাচ্ছে।

১৭. ১০০০০০০০০০০০ তারা

হ্যাঁ, আমাদের আকাশগঙ্গা ছায়াপথে সূর্যের মতো প্রায় ১০ হাজার কোটি তারকা বিদ্যমান।

১৮. প্লুটোর অদ্ভুত বায়ুমণ্ডল

প্লুটোর প্রায় ২০ টি বায়ুস্তর আছে যাদের অধিকাংশ অদ্ভুত স্বভাবের।

১৯. অচেনা গ্রহ

ক্যালটেকের একদল বিজ্ঞানী গাণিতিকভাবে বের করেন আমাদের সৌরজগতের শেষপ্রান্তে একটা দৈত্যাকার অজানা গ্রহ বিদ্যমান।

২০. ভ্যান অ্যালেন বেল্ট

বিজ্ঞানীদের ধারণা পৃথিবীর চারপাশের ভ্যান অ্যালেন বেল্ট আমাদের ভাবনার চেয়েও আজব। মাঝে মাঝে এর বাইরে নতুন এক বেল্টের অস্তিত্বের প্রমান পাওয়া যায়।

২১. নেপচুন এর বিকিরণ

নেপচুন সূর্য থেকে যে পরিমাণ তাপ পায় তার চেয়ে বেশি পরিবেশে ছেড়ে দেয়।

২২. চাঁদ: আমাদের ত্রাণকর্তা

একটা অদ্ভুত তথ্য দিয়ে লেখা শেষ করবো। চাঁদ যদি কোথাও হারিয়ে যায় বা আমাদের চারপাশে না ঘোরে তবে আমাদের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। কেননা জোয়ার ভাটার পাশাপাশি চাঁদ আমাদের পৃথিবীর গতি নিয়ন্ত্রণ করে। আর এর ফলে আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত হয়।




Contribution to the community.
image.png
Screenshot

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!