আস্সালামুআলাইকুম কমিউনিটি
কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। গত দিনের মত আজকেও হাজির হয়েছি আমার দিনলিপি বর্ণনা করতে। গত দিন আমি অনেক অসুস্থ ছিলাম। তাই গত পোষ্টে আমার সুস্থতার কামনার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় আজকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছি। তাই মহান আল্লাহর নিকট অশেষ ধন্যবাদ দিয়ে আজকের দিনলিপি বর্ণনা করতে যাচ্ছি।
ভোর ৬টার সময় ঘুম থেকে উঠেছি। সাধারনত আমি খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠি। গত কয়েক দিন ঈদের আমেজ থাকায় সকালে ঘুম থেকে উঠতে পারি নি। কিন্তু আজকের দিনটা তেমন ব্যতিক্রম হয়নি। ঘুম থেকে উঠেই বুঝতে পারলাম আমি আর অসুস্থ নেই । শরীরটাকে একদম ফ্রেশ লাগছে। কিন্তু হঠাৎ করেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। পরক্ষনেই বুঝতে পারলাম গত কয়েকদিন হলো ফজরের নামাজ পড়া হচ্ছে না। মুসলিম জাতি হিসেবে নামাজ পড়া আবশ্যক। যখন থেকে কোভিড-১৯ এর প্রভাব সারা পৃথীবিতে ছড়িয়ে পড়েছে তখন থেকেই ভাবলাম অনেকতো সময় অপচয় করেছি এবার না হয় শ্রষ্ঠার প্রতি নিজেকে সমর্পণ করা যাক। সেদিন থেকেই শপথ করেছিলাম যে নামায ছাড়বো না। কিন্তু রমজান মাসে সেটা কন্টিনিউ করতে পারলেও ঈদের পর আর সেটা কন্টিনিউ করতে পারি নি। এটা ভেবেই মনটা খারাপ হয়ে গেল পরক্ষনেই। কিছুক্ষন এভাবেই কেটে গেল। তারপর মনে হলো প্রচন্ড গরম পড়েছে আজকে সকাল বেলাই। গরম সহ্য করতে না পেরে একটু বাইরে বের হলাম একটু হাটা হাটি করতে। যদি বাইরে একটু ঠান্ডা বাতাশে গরমটা কম অনুভুতি হয়। কিন্তু বাইরে বের হয়েও কোন লাভ হলো না। কারণ বন্যার কারণে সকল রাস্তা-ঘাট, মাঠ সবই তলিয়ে গেছে। তখন সূর্যটা পূর্ব দিক থেকে মাত্র উদিত হচ্ছে। দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। তখনি ক্যামেরা বের করে ছবি তুলতে ভুললাম না। কোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য আমাকে মুগ্ধ করলে আমি ছবি তুলতে ভুলি না। এটা আর একটা অভ্যাস বলতে পারেন। তারপর বাড়িতে আসলাম।
৮টার সময় দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেস হয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। গতকাল অসুস্থতার কারণে কোথাও যাওয়া হয়নি। তাই ভাবলাম আজকে কোথাও যাওয়া যাক। ঠিক তখনি ফুফাতো ভাই আসাদুল ফোন করল।
বলল যে,
-কোথায় আছ?
- বাড়িতেই আছি।
-ঠিক আছে থাকো, আমি আসছি তোমাদের বাড়িতে।
বলেই ফোনটা কেটে দিলো। তারপর অপক্ষো করছিলাম যে কখন আসবে। কোথাও একটা শুনেছিলাম অপক্ষোর প্রহর শেষ হতে চায় না। আমার অবস্থাও সেরকম মনে হচ্ছিলো। ভাবছিলাম যে বলেছে একদম ঠিক বলেছে।
অপেক্ষা করতে করতে দুপুর ১২টার দিকে আসল। সাথে আরেকজন ফুফাতো ভাই সঙ্গে আছে। তারপর কুসলাদি বিনিময় করে তাদের আমন্ত্রন করলাম। তারপর কিছুক্ষন ৩ জন ৩ গেম লুডু খেলে সময় পর করাম। গেমে আমি জয়ী হয়েছি ২ বার আর একজন ১বার আর অন্যজন ৩ বার হেরেছে। যাই হোক ২টার সময় দুপুরের খাবার শেষ করে ভাবলাম কোথাও বেরাতে যাওয়া যায় কিনা। অবশেষে ঠিক হলো শলপ যাওয়া। অতপর ৪টার দিকে ৫জন বের হলাম শলপের ঘাল খাওয়ার উদ্দ্যেশ্যে। তাপমাত্র অতিরিক্ত গরম।
ঘোল খেয়ে অন্তত একটু সস্তি পাওয়া যেতেই পারে। ৫টার সময় শলপ গিয়ে পৌছলাম। ঘোল খাওয়ার সময় একটা ট্রেন যাচ্ছিলো। তখন ছবি নিতে ভুল করলাম না।
ঘোল খেয়ে অনেকটাই শস্তি বোধ করলো। ঘোল খেয়ে আসার সময় দেখলাম স্টেশনে একজন কাঠল বিক্রি করছে খুব কম দামে।
কাঠাল আমাদের জাতিয় ফল হলেও আমি একদম খেতে পছন্দ করি না। মাঝে মাঝে ভাবি কিভাবে এটা আমাদের জাতীয় ফল হলো। তারপর আবার বাড়ির দিকে রওনা হলাম। তখন সূর্য পশ্চিম দিগেন্তে অস্ত যাচ্ছে।
মনে হচ্ছিলো সারা আকাশ জুরে শরষের তেলের মেতা ক্যানভাসে সূর্যটা আজকের দিনরে মতো বিদায় জানাচ্ছে। পশ্চিম আকাশে সেই বিদায়ের রং যেন বিষন্নতা আর বিচ্ছেদের এক অদ্ভত মিষেল। অতপর ৭টার দিকে বাড়িতে পৌছলাম।
আপনার পোস্টটি খুবই চমৎকার হয়েছে .তোমার পোস্ট তুমি টুইটার ফেসবুক শেয়ার করতে পারো। এতে করে নতুন নতুন মেম্বার এখানে যোগদান করবে।
All Time Follow Now @steemitblog
Greeting From @bd-steemian Team
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পরে
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
You have been upvoted by @tarpan A Country Representative from BANGLADESH we are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the newcomers coming into steemit.
Follow @steemitblog for the latest update on Steem Community and other writing challenges and contest such as The diary game
Also join LUCKY 10S
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit