কেমন আছেন আমার বিউটি অফ ক্রিটিভিটি ব্লগ এর বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আমার জিন্দা পার্কে ঘুরাঘরের কিছু মুহূর্ত নেই। ঘোরাঘুরি করতে বরাবরের মতোই আমার অনেক ভালো লাগে।
প্রত্যেক মাসেই আমি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করে থাকি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ এক দর্শনীয় স্থান হল জিন্দা পার্ক। ঢাকার মধ্যে এরকম একটি পার্ক সত্যিই আর কোথাও নেই ।পার্কটি আমার ভীষণ প্রিয়। কারণ এখানে কৃত্রিমতার চেয়ে প্রাকৃতিক জিনিসের আমারও খুব বেশি লক্ষ্য করা যায। এই পার্কে বেশ অনেক প্রজাতির গাছপালা আছে এবং রয়েছে অনেক জলধারাও।
আমি বেশ কয়েক মাস আগে আমার পরিবারসহ জিন্দা পার্কে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম। এই পার্টিতে কুড়িল বিশ্বরোড হয়ে যেতে হয়। কুড়িল রেললাইনের পাশেই আছে বিআরটিসি কাউন্টার সেখান থেকে টিকিট কেটে বিআরটিসি বাস ধরে কাঞ্চন ব্রিজের কাছেএই পার্কটিতে আমরা গিয়েছিলাম। পার্টিতে প্রবেশের টিকিট মূল্য ১০০ টাকা। তো আমি এবং আমার স্ত্রীর জন্য ২ টি টিকিট কেটে নিলাম। আর আমার মেয়ে অনেক ছোট হওয়ার কারণে তার কোন টিকিট কাটতে হয়নি।
এটি হলো জিন্দা পার্কের প্রবেশের গেট । আমরা ভিতরে প্রবেশ করলাম এবং ঘুরতে শুরু করলাম। শুরুতেই আমাদের চোখে পড়ল অনেক বড় একটি মাঠ এবং মাঠের পরে একটি স্কুল।
এই পার্কটি সপ্তাহে সাত দিনই খোলা থাকে। এই পার্কটির মধ্যে একটি সুন্দর মসজিদ আছে। মসজিদটি দেখতে অনেকটা পুরনো আমলের মত। মসজিদ দেখতে আমাদের বেশ ভালই লাগলো। খাওয়া দাওয়া করার জন্য এই পার্কের মাঝে একটি অসাধারণ রেস্টুরেন্ট আছে। এত সুন্দর রেস্টুরেন্টে দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছিলাম।
জিন্দা পার্কের মাঝে অসাধারণ একটি লাইব্রেরী আছ। লাইব্রেরীতে প্রবেশের মূল্য মাত্র ১০ টাক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা যখন পার্কটিতে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলাম তখন ওই লাইব্রেরীটি বন্ধ ছিল । তাই আর ভিতর প্রবেশ করে দেখা হয়নি শুধু বাইরে থেকেই দেখেছিলাম।
জিন্দা পার্কে পানির উপরে একটি অসাধারণ ব্রিজ আছে।এই ব্রিজটি ড্রাম এবং কাঠের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। এটি ভাসমান একটি ব্রিজ।এই ব্রিজটিতে উঠে আমরা অনেক এনজয় করেছিলাম এবং অনেক ফটোগ্রাফিও করেছিলাম।
জিন্দা পার্ক এ বেশ কিছু মাটির ঘর আছে। যে ঘর গুলো দেখতে সত্যিই অসাধারণ।এই মাটির ঘর গুলো দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছিল এবং আমি এখানে বেশ কিছু ছবি ও উঠেছিলাম ।
এই পার্কটিতে ঘোরাঘুরি করতে পেরে সত্যিই আমার অনেক ভালো লেগেছিল। পার্কের ভেতরে সবুজ গাছপালা আমার অনেক ভালো লেগেছিল। আমরা ঘুরতে ঘুরতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা আর বেশি দেরি না করে ওখান থেকে বের হয়ে একটি সিএনজি রিজার্ভ করে বাড়িতে চলে আসে।
বন্ধুরা আমার এই জিন্দা পার্কে ভ্রমণের ব্লগটি আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন। আর আপনারা যারা ঢাকার মধ্যে আছেন সময় পেলে এই পার্কটিতে ঘুরে আসতে পারেন আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আজকে এ পর্যন্তই পরবর্তীতে হাজির হব আবারো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ইনশাআল্লাহ। এ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই কর। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।